বর্ধমান , 7 অক্টোবর : বেসরকারি হাসপাতালের গাফিলতির জেরে রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৷ এই অভিযোগ তুলে অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালাল রোগীর আত্মীয় পরিজন । বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন এলাকার ঘটনা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ । সেখানে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ানকে আটক করেছে । চালক পলাতক ।
বর্ধমানের সাতগেছিয়ার বাসিন্দা স্বপন দাস (45) শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে বর্ধমানের দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন । ওই হাসপাতলে চিকিৎসার খরচ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রোগীর পরিবারের লোকেরা রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় । সেইমতো বর্ধমানের বাম চাঁদাইপুরের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেশি অঙ্কের টাকা দিয়ে ভেন্টিলেটর যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তাঁরা । রোগীর পরিবারের অভিযোগ, রোগীকে ওঠানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্স খারাপ হয়ে যায় । ফলে ফের নতুন করে অ্যাম্বুলেন্স আনা হয় ৷ কিন্তু কিছুটা যেতে না যেতেই ফের অ্যাম্বুলেন্স খারাপ হয়ে যায় । এমনকী, ভেন্টিলেটরের কাজ বন্ধ হয়ে যায় । এরইমধ্যে রোগী মারা যান । পরিবারের অভিযোগ অক্সিজেনের অভাবেই রোগী মারা গেছেন । এরপরই উত্তেজিত পরিবার এবং আশেপাশের লোকজন অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর করে । ড্রাইভার সেখান থেকে পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ । অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ান আটক হয়েছে । যদিও টেকনিশিয়ানের দাবি অ্যাম্বুলেন্স খারাপ হলেও ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়নি ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুচিকিৎসার জন্য সামান্য রাস্তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে কুড়ি হাজার টাকা ভাড়া দিতেও রাজি হয়ে যান তাঁরা । অথচ অ্যাম্বুলেন্স চলতে না চলতেই সেটা খারাপ হয়ে যায় । এমনকী, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা যান । এর ফলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবেন সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা ।