ETV Bharat / city

স্বামীর সাহায্য নিয়ে প্রেমিককে খুন !

স্বামীর সহযোগিতায় প্রেমিককে খুন ৷ স্বীকারোক্তি গৃহবধূর ৷ আজ তাঁদের পূর্ব-বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হবে ৷

স্বামীর সহযোগিতায় প্রেমিককে খুন গৃহবধূর
author img

By

Published : Aug 4, 2019, 11:33 AM IST

বর্ধমান, 4 অগাস্ট : দিন ছয়েক আগে রেললাইনের ধারে মিলেছিল ক্ষতবিক্ষত এক যুবকের দেহ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের নাম কার্তিক ঘোষ ৷ কার্তিককে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় আশা রায় নামে এক মহিলা ও তাঁর স্বামী বাপি রায়কে । দু'জনেই পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছেন । আজ তাঁদের পূর্ব-বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হবে ৷

বর্ধমানের নেড়োদিঘি ভোতার পাড় এলাকার বাসিন্দা আশা রায় ও বাপি রায় । একই পাড়ায় বাড়ি কার্তিকেরও ৷ কার্তিক জামশেদপুরে কাজ করতেন ৷ কিন্তু কয়েকমাস হল তিনি বাড়িতেই আছেন ৷ এরই মধ্যে আশার সঙ্গে কার্তিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান বাপি ৷ শুরু হয় অশান্তি ৷ প্রতিবেশীরাও কার্তিক ও আশার মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ৷ যার জেরে অশান্তি চরমে ওঠে ৷ অশান্তির জেরে মাস চারেক আগে আশা ও বাপি বর্ধমানের বাড়ি ছেড়ে শক্তিগড়ে চলে যান ৷ সেখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন । কার্তিকের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চেয়েছিলেন আশা ৷ কিন্তু কার্তিক হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে দেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁকে । এমন কী সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাঁদের বর্ধমানের বাড়িতে ও পাড়ায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন । এদিকে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দিনের পর দিন ভাড়া বাড়িতে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠছিল আশা ও বাপির । এর থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য 28 জুলাই কার্তিককে দেখা করতে বলেন আশা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আশা যেখানে কার্তিককে দেখা করতে বলেছিলেন সেখানে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিলেন বাপি ৷ কার্তিক সেখানে পৌঁছাতেই ধারালো কাস্তে নিয়ে হামলা চালান বাপি ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় কার্তিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইট ও সিমেন্টের চাং দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন বাপি ৷ বাপিকে সাহায্য করেন আশাও ৷ পরে দেহ রেললাইনের পাশে ফেলে পালিয়ে যান দু'জনে ৷

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, তদন্তে নেমে পুলিশ কার্তিকের সঙ্গে আশার সম্পর্কের কথা জানতে পারে । সেই সূত্র ধরে কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ আশা রায়কে গ্রেপ্তার করে ৷ আশা খুনের কথা স্বীকার করলে তাঁর স্বামী বাপিকে মেমারি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ পথের কাঁটা সরাতেই স্বামীর সঙ্গে শলা-পরামর্শ সেরে উভয়ে মিলে খুন করে কার্তিককে ৷

বর্ধমান, 4 অগাস্ট : দিন ছয়েক আগে রেললাইনের ধারে মিলেছিল ক্ষতবিক্ষত এক যুবকের দেহ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের নাম কার্তিক ঘোষ ৷ কার্তিককে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় আশা রায় নামে এক মহিলা ও তাঁর স্বামী বাপি রায়কে । দু'জনেই পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছেন । আজ তাঁদের পূর্ব-বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হবে ৷

বর্ধমানের নেড়োদিঘি ভোতার পাড় এলাকার বাসিন্দা আশা রায় ও বাপি রায় । একই পাড়ায় বাড়ি কার্তিকেরও ৷ কার্তিক জামশেদপুরে কাজ করতেন ৷ কিন্তু কয়েকমাস হল তিনি বাড়িতেই আছেন ৷ এরই মধ্যে আশার সঙ্গে কার্তিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান বাপি ৷ শুরু হয় অশান্তি ৷ প্রতিবেশীরাও কার্তিক ও আশার মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ৷ যার জেরে অশান্তি চরমে ওঠে ৷ অশান্তির জেরে মাস চারেক আগে আশা ও বাপি বর্ধমানের বাড়ি ছেড়ে শক্তিগড়ে চলে যান ৷ সেখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন । কার্তিকের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চেয়েছিলেন আশা ৷ কিন্তু কার্তিক হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে দেখা করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁকে । এমন কী সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাঁদের বর্ধমানের বাড়িতে ও পাড়ায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন । এদিকে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় দিনের পর দিন ভাড়া বাড়িতে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠছিল আশা ও বাপির । এর থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য 28 জুলাই কার্তিককে দেখা করতে বলেন আশা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আশা যেখানে কার্তিককে দেখা করতে বলেছিলেন সেখানে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিলেন বাপি ৷ কার্তিক সেখানে পৌঁছাতেই ধারালো কাস্তে নিয়ে হামলা চালান বাপি ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় কার্তিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইট ও সিমেন্টের চাং দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন বাপি ৷ বাপিকে সাহায্য করেন আশাও ৷ পরে দেহ রেললাইনের পাশে ফেলে পালিয়ে যান দু'জনে ৷

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানান, তদন্তে নেমে পুলিশ কার্তিকের সঙ্গে আশার সম্পর্কের কথা জানতে পারে । সেই সূত্র ধরে কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ আশা রায়কে গ্রেপ্তার করে ৷ আশা খুনের কথা স্বীকার করলে তাঁর স্বামী বাপিকে মেমারি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ পথের কাঁটা সরাতেই স্বামীর সঙ্গে শলা-পরামর্শ সেরে উভয়ে মিলে খুন করে কার্তিককে ৷

Intro:প্রেমিককে খুন করতে স্বামীরই সাহায্য নিয়েছিল আশা

পুলক যশ , বর্ধমান

দিন চারেক আগে রেললাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছিল বছর তিরিশের কার্তিক ঘোষের। সেই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করল কার্তিকের প্রেমিকা আশা রায় ও তার স্বামী বাপী রায়কে। দুজনেই পুলিশের কাছে খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

কি কারণে এই খুনের ঘটনা

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বর্ধমানের নেড়োদিঘি ভোতার পাড় এলাকায় থাকতেন আশা রায় ও তার স্বামী বাপী রায়। ওই এলাকাতেই থাকতেন কার্তিক ঘোষ। কার্তিক জামসেদপুরে কাজ করতেন। এরই মধ্যে গৃহবধূ আশার সঙ্গে কার্তিক অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিনের মধ্যেই আশার স্বামী ঘটনার কথা জানতে পারে। পাড়া প্রতিবেশীদের কানেও যায় সে কথা। আশার পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চরমে উঠলে মাস চারেক আগে আশা ও তার স্বামী বর্ধমান ছেড়ে শক্তিগড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে।আশা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল কিন্তু কার্তিক মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ম্যাসেজ করে দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকি সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাকে বর্ধমানের বাড়িতে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেয় কার্তিক। এদিকে আশার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ থাকায় দিনের পর দিন ভাড়া বাড়িতে থাকা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছিল। এদিকে কার্তিক দিনের পর দিন চাপ দিতে থাকায় আশা কার্তিককে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। যেখানে দেখা করার কথা ছিল সেই বাড়িতে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল আশার স্বামী বাপী রায়। সেই বাড়িতে কার্তিক ঢুকতেই ধারালো কাস্তে নিয়ে হামলা করে বাপী। রক্তাক্ত অবস্থায় কার্তিক লুটিয়ে পড়লে ভারী ইট ও সিমেন্টের চাঙ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে থাকে বাপী। তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী আশা। এরপরেই তার দেহ রেললাইনের পাশে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ কার্তিকের সঙ্গে আশার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে। সেই সূত্র ধরে কললিস্ট ধরে পুলিশ আশা রায়কে গ্রেফতার করে। আশা খুনের কথা স্বীকার করলে তার স্বামী বাপী রায়কে মেমারি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূলত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল আশা। কিন্তু কার্তিক তাকে হুমকি দিতে থাকে সম্পর্ক ছিন্ন করলে তাকে বর্ধমানের বাড়িতে ফিরতে দেবে না। এদিকে আশার পরিবার খুব গরীব হওয়ায় তাদের পক্ষে ভাড়া বাড়িতে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পথের কাঁটা সরাতেই স্বামীর সঙ্গে শলাপরামর্শ করে এই খুনের ঘটনা ঘটায়।Body:প্রেমিককে খুন Conclusion:করতে স্বামীর সাহায্য
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.