কালনা, 20 মে : লকডাউন শুরুর আগে নদিয়ার মাজদিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিলেন গুরুপদ হালদার । পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার শাসপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি । কিন্তু লকডাউন চলতে থাকায় বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন । কিছুটা হেঁটে তারপর ভাগীরথী নদীতে সাঁতার কেটে কালনা ঘাটে পৌঁছান । কিন্তু নদিয়া থেকে আসায় তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । অগত্যা বাধ্য হয়ে গ্রামের পাশে একটা আমবাগানে আশ্রয় নিয়েছেন গুরুপদবাবু ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় ঠিকা শ্রমিক গুরুপদ হালদার । লকডাউনের আগে নদিয়ার মাজদিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিলেন । এরপর লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানে আটকে পড়েন। হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন । নদিয়ার নৃসিংহপুরের ঘাটে এসে দেখেন ফেরিঘাট বন্ধ । ফলে, সাঁতার কেটে নদী পার করবেন বলে মনস্থির করেন গুরুপদবাবু । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাগীরথী নদীতে সাঁতার কেটে কালনার ঘাটে পৌঁছান তিনি । কিন্তু গ্রামে আসার পর কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা তাঁকে বাধা দেন । ফলে গ্রামবাসীদের কথামতো গ্রামের বাইরে একটি আমবাগানে 14 দিন কোয়ারানটিনে থাকতে শুরু করেন । আমবাগানেই একটা অস্থায়ী টালির ছাউনি করে দিন কাটাচ্ছেন তিনি ।
গুরুপদ হালদার বলেন, " আত্মীয়ের বাড়িতে আটকে গেছিলাম । ফলে তাঁরাও সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিই । সাহস করে সাঁতার কেটে নদী পারাপার করার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু গ্রামে এসে শুনি যেহেতু অন্য জেলায় ছিলাম, সেখানে অনেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাই গ্রামবাসীরা আমবাগানে 14 দিন থাকার পরামর্শ দেন । সেইমতো 6 দিন ধরে এখানে কাটাচ্ছি । সারাদিন বাড়ির লোকেরা সামাজিক দূরত্ব মেনে খাবার দিয়ে যাচ্ছেন ।"
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি ।