বর্ধমান, 28 নভেম্বর : 100 দিনের কাজ করেও বকেয়া টাকা মিলছে না । সেই টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন জবকার্ডধারীরা। জেলা প্রশাসনের কাছে তারা আবেদন করছে তাদের বকেয়া টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে গড় কর্মদিবসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর আবেদন করেছেন তারা। চিত্রটা পূর্ব বর্ধমান জেলার।
পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে 100 দিনের কাজে পুকুর কাটা, বাগান তৈরি, চাষের কাজ, মাছ চাষ সহ একাদিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ করার পরেও বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও বকেয়া টাকা মেলেনি। এখন চাষের মরশুম চলছে। ফলে সাময়িক ভাবে বন্ধ আছে জেলায় 100 দিনের কাজ। এদিকে বকেয়া টাকা না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন জবকার্ডধারীরা । তারা সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া সারা বছর কাজ মেলে না বলে অভিযোগ তাদের। অথচ এই 100 দিনের কাজের উপরেই তাদের সংসার চলে। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার 100 দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দেওয়ার কারণেই সময় মতো টাকা পৌঁছে দেওয়া যায় না। টাকা হাতে এলেই মাসখানেকের মধ্যেই সেই টাকা জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হয়। মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীন রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পের (MGNREGA) গোড়াপত্তন 2005 সালে ৷ তৎকালীন UPA সরকারের হাত ধরে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামাঞ্চলে পরিবার পিছু 100 দিনের কাজের মাধ্যমে কৃষি মজুরদের আর্থিক অবস্থাকে কিছুটা ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে কোরোনা পরিস্থিতির জেরে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে এসেছিল । সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা অংশকে 100 দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন প্রশাসন। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেসব পরিযায়ী শ্রমিক কাজ চাইবে তাদের সেই কাজ দেওয়া হবে । সেই কারণে 100 দিনের কাজের প্রকল্পে নিত্য নতুন কাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রশাসনের দাবি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে যে কাজগুলো এর আগের সময়ে কখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি সেই কাজগুলোকে 100 দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল কিভাবে মানুষকে 100 দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায় ।এমনকি যাদের জবকার্ড নেই তাদেরকেও দ্রুত বানিয়ে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে । পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জবকার্ডধারীদের কাজ দেওয়া এবং বেশি সংখ্যক কর্ম দিবস সৃষ্টি করাই জেলা প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য । লকডাউন পরিস্থিতিতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে 100 দিনের কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল। 2013 সালে বর্ধমান জেলা 100 দিনের কাজের সেরা জেলার পুরস্কার পেয়েছিল। 2017-18 অর্থবর্ষে দেশের 18 টি জেলার সঙ্গে ফের পুরস্কার পায় পূর্ব বর্ধমান জেলা । জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল, মূলত কর্মদিবস তৈরি করা, টাকা খরচ করা ,পরিবার পিছু কাজ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যতিক্রমী কিছু কাজের জন্য সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
একশো দিনের কাজ করেও মিলছে না বকেয়া, অভিযোগ জবকার্ডধারীদের - একশো দিনের কাজ
2013 সাল ৷ 100 দিনের কাজের সেরা হয়েছিল বর্ধমান জেলা ৷ আজ সেই জেলাতেই একশো দিনের কাজের বকেয়া মিলছে না ৷ সমস্যায় পড়েছেন জবকার্ডধারীরা। এই অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা ৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে ৷
বর্ধমান, 28 নভেম্বর : 100 দিনের কাজ করেও বকেয়া টাকা মিলছে না । সেই টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন জবকার্ডধারীরা। জেলা প্রশাসনের কাছে তারা আবেদন করছে তাদের বকেয়া টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে গড় কর্মদিবসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর আবেদন করেছেন তারা। চিত্রটা পূর্ব বর্ধমান জেলার।
পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে 100 দিনের কাজে পুকুর কাটা, বাগান তৈরি, চাষের কাজ, মাছ চাষ সহ একাদিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ করার পরেও বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও বকেয়া টাকা মেলেনি। এখন চাষের মরশুম চলছে। ফলে সাময়িক ভাবে বন্ধ আছে জেলায় 100 দিনের কাজ। এদিকে বকেয়া টাকা না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন জবকার্ডধারীরা । তারা সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এছাড়া সারা বছর কাজ মেলে না বলে অভিযোগ তাদের। অথচ এই 100 দিনের কাজের উপরেই তাদের সংসার চলে। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার 100 দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে দেওয়ার কারণেই সময় মতো টাকা পৌঁছে দেওয়া যায় না। টাকা হাতে এলেই মাসখানেকের মধ্যেই সেই টাকা জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হয়। মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীন রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পের (MGNREGA) গোড়াপত্তন 2005 সালে ৷ তৎকালীন UPA সরকারের হাত ধরে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল গ্রামাঞ্চলে পরিবার পিছু 100 দিনের কাজের মাধ্যমে কৃষি মজুরদের আর্থিক অবস্থাকে কিছুটা ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে কোরোনা পরিস্থিতির জেরে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে এসেছিল । সেইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা অংশকে 100 দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন প্রশাসন। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেসব পরিযায়ী শ্রমিক কাজ চাইবে তাদের সেই কাজ দেওয়া হবে । সেই কারণে 100 দিনের কাজের প্রকল্পে নিত্য নতুন কাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রশাসনের দাবি সাধারণ মানুষের কথা ভেবে যে কাজগুলো এর আগের সময়ে কখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি সেই কাজগুলোকে 100 দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল কিভাবে মানুষকে 100 দিনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা যায় ।এমনকি যাদের জবকার্ড নেই তাদেরকেও দ্রুত বানিয়ে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে । পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে জবকার্ডধারীদের কাজ দেওয়া এবং বেশি সংখ্যক কর্ম দিবস সৃষ্টি করাই জেলা প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য । লকডাউন পরিস্থিতিতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে 100 দিনের কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল। 2013 সালে বর্ধমান জেলা 100 দিনের কাজের সেরা জেলার পুরস্কার পেয়েছিল। 2017-18 অর্থবর্ষে দেশের 18 টি জেলার সঙ্গে ফের পুরস্কার পায় পূর্ব বর্ধমান জেলা । জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল, মূলত কর্মদিবস তৈরি করা, টাকা খরচ করা ,পরিবার পিছু কাজ দেওয়ার পাশাপাশি ব্যতিক্রমী কিছু কাজের জন্য সেই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।