ETV Bharat / city

আমফান দুর্যোগে বৃষ্টি ভিজে খালি পায়েই বাড়ির পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা - migrant labour

পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের চেষ্টায় বিভিন্ন গাড়ির সাহায্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ । তাই দুর্যোগকে মাথায় নিয়েই 60 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে চেকপোস্টে যে সরকারি বাস দেখা গিয়েছিল, সেই বাসেরও দেখা নেই এখন। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে আমফান । নিজের জীবন বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা পরিযায়ী শ্রমিকদের।

migrant
পরিযায়ী শ্রমিক
author img

By

Published : May 20, 2020, 5:04 PM IST

আসানসোল,20 মে :আকাশে দুর্যোগ ঘনাতেই হেঁটে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন । মাথায় টিনের বাক্স। কাঁধে ঝোলা অথবা ব্যাগ। ঝড়-বৃষ্টিতে 60 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অন্যদিকে, ঝড় বৃষ্টিতে আটকে পড়া অধিকাংশ শ্রমিকদের ঠাঁই এখন গাছতলায়। রাস্তার ধারে থাকা পেট্রল পাম্পে আশ্রয় নিলেও তার মেয়াদ হচ্ছে না বেশিক্ষণ। কোরোনা আতঙ্কে পাম্পের কর্মীরা হঠিয়ে দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের। অমানবিক এই দৃশ্যের দেখা মিলল জামুড়িয়ায়।Etv ভারতের ক্যামেরায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্তি ধরা পড়ল ।

লকডাউনের অন্যান্য দিন যেভাবে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল , আমফান আসতেই কাউকেই আর দেখা যাচ্ছে না। ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের চেষ্টায় বিভিন্ন গাড়ির সাহায্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ । তাই দুর্যোগকে মাথায় নিয়েই 60 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে চেকপোস্টে যে সরকারি বাস দেখা গিয়েছিল, সেই বাসেরও দেখা নেই এখন। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে আমফান । জীবন বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা পরিযায়ী শ্রমিকদের।

পরিযায়ী শ্রমিক রমেশ যাদব বলেন " মুম্বইয়ে গিয়েছিলাম কাজ করতে । লকডাউন হওয়াই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । কারখানা বন্ধ হওয়াতে কাজকর্ম বন্ধ হয় । জমা টাকা শেষ হতে থাকে । টাকা পয়সা না থাকায় খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছিল । সকলে মিলে বাড়ির দিকে রওনা হই । মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য । কোনও প্রকারে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পৌঁছায় । এরপর আজ সকাল থেকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় । নিজের জীবন বাঁচাতে ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ির দিকে পায়ে হেঁটেই রওনা । রাস্তায় কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি । ঝড়-বৃষ্টিতে কীভাবে বাড়ি পৌঁছাব সেই নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে ।"

আসানসোল,20 মে :আকাশে দুর্যোগ ঘনাতেই হেঁটে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন । মাথায় টিনের বাক্স। কাঁধে ঝোলা অথবা ব্যাগ। ঝড়-বৃষ্টিতে 60 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অন্যদিকে, ঝড় বৃষ্টিতে আটকে পড়া অধিকাংশ শ্রমিকদের ঠাঁই এখন গাছতলায়। রাস্তার ধারে থাকা পেট্রল পাম্পে আশ্রয় নিলেও তার মেয়াদ হচ্ছে না বেশিক্ষণ। কোরোনা আতঙ্কে পাম্পের কর্মীরা হঠিয়ে দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের। অমানবিক এই দৃশ্যের দেখা মিলল জামুড়িয়ায়।Etv ভারতের ক্যামেরায় পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্তি ধরা পড়ল ।

লকডাউনের অন্যান্য দিন যেভাবে প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল , আমফান আসতেই কাউকেই আর দেখা যাচ্ছে না। ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের চেষ্টায় বিভিন্ন গাড়ির সাহায্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে তাঁদের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ । তাই দুর্যোগকে মাথায় নিয়েই 60 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে চেকপোস্টে যে সরকারি বাস দেখা গিয়েছিল, সেই বাসেরও দেখা নেই এখন। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে আমফান । জীবন বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা পরিযায়ী শ্রমিকদের।

পরিযায়ী শ্রমিক রমেশ যাদব বলেন " মুম্বইয়ে গিয়েছিলাম কাজ করতে । লকডাউন হওয়াই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় । কারখানা বন্ধ হওয়াতে কাজকর্ম বন্ধ হয় । জমা টাকা শেষ হতে থাকে । টাকা পয়সা না থাকায় খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছিল । সকলে মিলে বাড়ির দিকে রওনা হই । মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্য । কোনও প্রকারে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পৌঁছায় । এরপর আজ সকাল থেকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় । নিজের জীবন বাঁচাতে ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ির দিকে পায়ে হেঁটেই রওনা । রাস্তায় কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি । ঝড়-বৃষ্টিতে কীভাবে বাড়ি পৌঁছাব সেই নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.