ETV Bharat / city

"জয়শ্রীরাম" বলতে বাধ্য করায় খুন, দাবি অভিযুক্তর

"জয়শ্রীরাম" বলতে বাধ্য করায় খুন সুরজকে ৷ ক্যামেরার সামনে দাবি করল অভিযুক্ত মহম্মদ কালিম ইলিয়াস, ওরফে ছোটু ৷

মহম্মদ কালিম ইলিয়াস
author img

By

Published : Jul 29, 2019, 7:18 PM IST

Updated : Jul 29, 2019, 7:38 PM IST

আসানসোল, 29 জুলাই: "জয়শ্রীরাম" বলতে বাধ্য করায় খুন সুরজকে ৷ ইটিভি ভারতের ক্যামেরার সামনে দাবি করল অভিযুক্ত মহম্মদ কালিম ইলিয়াস, ওরফে ছোটু ৷

আসানসোলের সুরজ বাহাদুর হত্যা মামলায় নতুন মোড় । গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় সুরজ খুনে মূল অভিযু্ক্ত মহম্মদ কালিম ইলিয়াসকে ৷ পুলিশের দাবি, সুরজকে খুনের কথা স্বীকার করেছে কালিম ৷ আজ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরার সামনে কালিম বলে, "জয়শ্রীরাম " বলতে বাধ্য করায় সুরজকে খুন করে সে ৷ যদিও পরমুহূর্তেই জানায়, ভুল করে খুন করে ফেলেছে ৷

চলতি মাসের 23 তারিখ আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত শিবলাল ডাঙার কাছে রেলপারে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন । স্থানীয়রা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় আসানসোল উত্তর থানায় ৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ ৷ কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়াই সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ অন্যদিকে সেদিনই সুরজ বাহাদুর নামে এক যুবকের পরিবার আসানসোল উত্তর থানায় একটি মিসিং ডায়রি করে ৷ পরে মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকই সুরজ ৷ এরপর 24 তারিখ বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে সুরজের মৃতদেহ সরাসরি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরিবারের উপস্থিতিতে সৎকার হয় ৷

আরও পড়ুন : আসানসোলে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে

22 জুলাই হিরাপুরের কালাঝরিয়াতে এক ফেরিওয়ালাকে জোর করা “জয়শ্রীরাম” বলানোর চেষ্টায় মারধর, এদিকে সুরজের হত্যা । দুই মিলিয়ে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । গুজব ছড়াতে শুরু করে সোশাল মিডিয়ায় । যার জেরে পুলিশ বাধ্য হয়ে 30 জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ।

এরপর 27 জুলাই সুরজের বাড়ি গেছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি । পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ গতকাল গেছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক । পরে বেলার দিকে যায় BJP-র প্রতিনিধি দল ৷ BJP-র পক্ষ থেকে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করা হয় ৷ এরপর গতকাল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ কালিমকে গ্রেপ্তার করে ৷ তার বাড়ি ধাদকার কালালি এলাকায় ।

এবিষয়ে BJP-র আসানসোলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনা শাসকদলের চক্রান্ত ৷ যে কোনও ঘটনা হলেই এখন "জয়শ্রীরাম"-কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এটা সাজানো মিথ্যে ঘটনা ৷ এরা আগুন নিয়ে খেলছে ৷

অন্যদিকে পশ্চিম-বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যপার ৷ এবিষয়ে রাজনৈতিক কোনও মন্তব্য তিনি করতে চাননি ৷

আসানসোল, 29 জুলাই: "জয়শ্রীরাম" বলতে বাধ্য করায় খুন সুরজকে ৷ ইটিভি ভারতের ক্যামেরার সামনে দাবি করল অভিযুক্ত মহম্মদ কালিম ইলিয়াস, ওরফে ছোটু ৷

আসানসোলের সুরজ বাহাদুর হত্যা মামলায় নতুন মোড় । গতকাল গ্রেপ্তার করা হয় সুরজ খুনে মূল অভিযু্ক্ত মহম্মদ কালিম ইলিয়াসকে ৷ পুলিশের দাবি, সুরজকে খুনের কথা স্বীকার করেছে কালিম ৷ আজ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরার সামনে কালিম বলে, "জয়শ্রীরাম " বলতে বাধ্য করায় সুরজকে খুন করে সে ৷ যদিও পরমুহূর্তেই জানায়, ভুল করে খুন করে ফেলেছে ৷

চলতি মাসের 23 তারিখ আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত শিবলাল ডাঙার কাছে রেলপারে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন । স্থানীয়রা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় আসানসোল উত্তর থানায় ৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ ৷ কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়াই সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ অন্যদিকে সেদিনই সুরজ বাহাদুর নামে এক যুবকের পরিবার আসানসোল উত্তর থানায় একটি মিসিং ডায়রি করে ৷ পরে মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকই সুরজ ৷ এরপর 24 তারিখ বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে সুরজের মৃতদেহ সরাসরি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরিবারের উপস্থিতিতে সৎকার হয় ৷

আরও পড়ুন : আসানসোলে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রাজনীতি তুঙ্গে

22 জুলাই হিরাপুরের কালাঝরিয়াতে এক ফেরিওয়ালাকে জোর করা “জয়শ্রীরাম” বলানোর চেষ্টায় মারধর, এদিকে সুরজের হত্যা । দুই মিলিয়ে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । গুজব ছড়াতে শুরু করে সোশাল মিডিয়ায় । যার জেরে পুলিশ বাধ্য হয়ে 30 জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ।

এরপর 27 জুলাই সুরজের বাড়ি গেছিলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি । পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন ৷ গতকাল গেছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক । পরে বেলার দিকে যায় BJP-র প্রতিনিধি দল ৷ BJP-র পক্ষ থেকে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল আসানসোল উত্তর থানা ঘেরাও করা হয় ৷ এরপর গতকাল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ কালিমকে গ্রেপ্তার করে ৷ তার বাড়ি ধাদকার কালালি এলাকায় ।

এবিষয়ে BJP-র আসানসোলের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, এই ঘটনা শাসকদলের চক্রান্ত ৷ যে কোনও ঘটনা হলেই এখন "জয়শ্রীরাম"-কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এটা সাজানো মিথ্যে ঘটনা ৷ এরা আগুন নিয়ে খেলছে ৷

অন্যদিকে পশ্চিম-বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যপার ৷ এবিষয়ে রাজনৈতিক কোনও মন্তব্য তিনি করতে চাননি ৷

Intro:
আসানসোলে সুরজ বাহাদুর হত্যা মামলায় নতুন মোড়। গ্রেপ্তার করা হল সুরজ খুনের মামলায় অভিযু্ক্তকে। ধৃতের নাম মহম্মদ কবির। পুলিশের দাবি ধৃত কবির স্বীকার করেছে সুরজকে খুনের কথা। আজ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় চাঞ্চল্যকর দাবি করে অভিযুক্ত। জোর করে “জয়শ্রীরাম” বলতে বাধ্য করানোর জন্যই নাকি সুরজকে খুন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত জানায়, ভুল করে খুন করে ফেলেছে সে।
গত কয়েকদিন ধরেই এক যুবকের খুনের ঘটনায় উত্তাল আসানসোল। গত ২৩ জুলাই আসানসোল উত্তর থানার শিবলাল ডাঙা এলাকার যুবক সুরজ বাহাদুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। বাড়ি থেকে কিছুদুরে একটি জঙ্গলে পুলিশ উদ্ধার করে সুরজ বাহাদুরের দেহ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এই ঘটনায় অশান্তি ছড়াতে পারে ভেবে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২৪ জুলাই সরাসরি হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে এসে পরিবারের উপস্থিতিতে মৃতদেহের সত্কার করা হয়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়নি দেহ। একদিকে ২২ জুলাই হীরাপুরের কালাঝরিয়াতে এক ফেরিওয়ালাকে জোর করা “জয়শ্রীরাম” বলানোর চেষ্টায় মারধর, অন্যদিকে সুরজের হত্যা। দুইয়ে মিলে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গুজব ছড়াতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ বাধ্য হয় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে।
অন্যদিকে গত পরশু সুরজ বাহাদুরের বাড়ি যান আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি। গতকাল মন্ত্রী মলয় ঘটক ও বিজেপির প্রতিনিধিরা সুরজের বাড়ি যান পৃথক পৃথক ভাবে। প্রত্যেকেই সুরজের হত্যাকারীর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এরপরেই গতকাল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ সুরজ বাহাদুরের হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে মহম্মদ কবিরকে গ্রেপ্তার করে। কবিরের বাড়ি ধাদকা কালালি এলাকায়। পুলিশের দাবি সুরজকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে কবির।
আজ আসানসোল মহকুমা আদালতে তোলা হয় মহম্মদ কবিরকে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় কবির জানায় “ভুল করে খুন করে ফেলেছি। আমাকে জয়শ্রীরাম বলতে বলছিল। বেশ কয়েকবার সুরজ সেটা করে বিভিন্ন জায়গায়। তাই রাগে ইঁট দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলেছি।”
Body:..Conclusion:
Last Updated : Jul 29, 2019, 7:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.