ইসলামপুর, 18 এপ্রিল : "আমি অন্যান্য বুথে যাব বলে আমার গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আমার গাড়ির চালকের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।" আজ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর উপর হামলার অভিযোগ করলেন বামফ্রন্ট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। বলেন, "আমার উপর আক্রমণ করতে চেয়েছে। রড নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করেছে।"
সেলিম বলেন, "পাটাগড়ার বুথে এসে দেখলাম, মস্তানরা বুথ ঘিরে রয়েছে। এমন কী বুথের লাইনেও মস্তানরা রয়েছে। বুথের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে সবার ভোট দেখে নিচ্ছে। নিজের লোক ভোট দিলেও দেখে দিচ্ছে। আমি অন্যান্য বুথে যাব বলে আমার গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। আমার গাড়িচালকের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি বলেন, "বুথের ১০০ মিটার দূরে আমার গাড়ি রেখে এসেছিলাম। একাই বুথে ঢুকেছি। কোনও পুলিশ মস্তানদের ধরছে না। মস্তানরা অস্ত্র নিয়ে আছে। আমার উপর আক্রমণ করতে চেয়েছে। রড নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। আমার সাথে যে সাংবাদিক ছিল সে মার খেয়েছে। মস্তানরা এলাকা ঘিরে রেখেছিল। আমি একাই মাঠের মাঝে দাঁড়িয়েছিলাম। চাইছিলাম কেউ গুলি বা বোমা মারুক। কিন্তু কেউ সেই সাহস করেনি। এটা গোটা কেন্দ্রের চিত্র নয়। বেশিরভাগ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ইসলামপুর মহকুমাতেও বেশিরভাগ জায়গা শান্তিপূর্ণ।"
তিনি আরও বলেন, "মাটিকুণ্ডা ও পাটাগড়ার কয়েকটা জায়গায় স্থানীয় মস্তানদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা বানিয়ে দিয়েছেন। তারা পঞ্চায়েত থেকে নিজেদের মস্তানি কায়েম রাখার জন্য সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে রেখেছে। যেখানে ভোট লুট করতে পারবে সেখানে পুলিশ সুপার ও প্রশাসন দুজন করে কনস্টেবল দিয়েছে। পোলিং এজেন্টদের মারধর করেছে। যারা মস্তানি করে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছিল তারাই বুথে অস্ত্র নিয়ে ভোট করাচ্ছে। প্রিজ়াইডিং অফিসার বুথের ভিতরে চুপচাপ বসে আছেন। বুথ দখলের অভিযোগ করা হলেও দু'ঘণ্টার মধ্যেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেক্টর অফিসার অসহায়। পুলিশ অবজ়ারভারকে বলেছি, যে বুথগুলি দখল হয়েছে সেগুলিতে পুর্নির্বাচন করতে হবে। আমি দাঁড়িয়ে ভোট করাব।"