ETV Bharat / briefs

মাধ্যমিকে ৬৬৩, দৃষ্টিহীন আঁধারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ! - blind student

নাম শুভদীপ । দুর্গাপুরের ছেলে । এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে । শুভদীপ নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র ।

শুভদীপ মণ্ডল
author img

By

Published : May 22, 2019, 4:53 AM IST

দুর্গাপুর, 22 মে : নাম শুভদীপ । দুর্গাপুরের ছেলে । এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে । শুভদীপ নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র । মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৩ । শতাংশের হিসেবে ৯৫% ।

শুভদীপের বাবা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সেন্ট্রাল স্টোর্স বিভাগের কর্মী আদিত্য মণ্ডল । আদিত্যবাবুর দুই সন্তান । মেয়ে সুষমা স্নাতকোত্তরের ছাত্রী । শুভদীপ জন্মান্ধ । ছোটো থেকেই সে নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র । সেখানেই থাকতে সে । মা তনুশ্রী নিয়মিত দুর্গাপুর থেকে নরেন্দ্রপুর যেতেন শুভদীপের সঙ্গে দেখা করতে ।

শুভদীপ শুধু রাজ্যে দৃষ্টিহীনদের মধ্যেই প্রথম হয়নি । আরও একটি রেকর্ড করেছে সে । তার প্রাপ্ত নম্বর নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ইতিহাসেও একটি রেকর্ড । শুভদীপের আগে আর কেউ এত নম্বর পায়নি । অসমর্থিত সূত্রের দাবি, সম্ভবত রাজ্যেও এর আগে আর কোনও দৃষ্টিহীন পড়ুয়া মাধ্যমিকে এত নম্বর পায়নি ।

শুভদীপ যে নম্বর পেয়েছে, তা অনেক চক্ষুষ্মান ছেলেমেয়ের কাছেও স্বপ্ন ।
সে জানায়, কখনও নিজেকে প্রতিবন্ধী বলে ভাবেনি। ওর এই মানসিকতা তৈরিতে অ্যাকাডেমি ওকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে । না, আর পাঁচজনের মতো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে শুভদীপ নেই । তার ইচ্ছে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া । শুভদীপ বলে, "কৃষ্ণচন্দ্র দে-র পরে সেইস্তরের দৃষ্টিহীন কোনও সঙ্গীতশিল্পী বাংলা গানের জগতে আসেননি। আমি সেই মাত্রার একজন সঙ্গীতশিল্পী হতে চাই।"

শুভদীপের সাফল্যে শুধু তার পরিবার নয়, গোটা দুর্গাপুর গর্বিত । অনেক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়, হীনমন্যতায় ভোগেন । শুভদীপের সাফল্য তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে দিতে বাধ্য ।

দুর্গাপুর, 22 মে : নাম শুভদীপ । দুর্গাপুরের ছেলে । এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে । শুভদীপ নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র । মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৩ । শতাংশের হিসেবে ৯৫% ।

শুভদীপের বাবা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সেন্ট্রাল স্টোর্স বিভাগের কর্মী আদিত্য মণ্ডল । আদিত্যবাবুর দুই সন্তান । মেয়ে সুষমা স্নাতকোত্তরের ছাত্রী । শুভদীপ জন্মান্ধ । ছোটো থেকেই সে নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ছাত্র । সেখানেই থাকতে সে । মা তনুশ্রী নিয়মিত দুর্গাপুর থেকে নরেন্দ্রপুর যেতেন শুভদীপের সঙ্গে দেখা করতে ।

শুভদীপ শুধু রাজ্যে দৃষ্টিহীনদের মধ্যেই প্রথম হয়নি । আরও একটি রেকর্ড করেছে সে । তার প্রাপ্ত নম্বর নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ইতিহাসেও একটি রেকর্ড । শুভদীপের আগে আর কেউ এত নম্বর পায়নি । অসমর্থিত সূত্রের দাবি, সম্ভবত রাজ্যেও এর আগে আর কোনও দৃষ্টিহীন পড়ুয়া মাধ্যমিকে এত নম্বর পায়নি ।

শুভদীপ যে নম্বর পেয়েছে, তা অনেক চক্ষুষ্মান ছেলেমেয়ের কাছেও স্বপ্ন ।
সে জানায়, কখনও নিজেকে প্রতিবন্ধী বলে ভাবেনি। ওর এই মানসিকতা তৈরিতে অ্যাকাডেমি ওকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে । না, আর পাঁচজনের মতো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে শুভদীপ নেই । তার ইচ্ছে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া । শুভদীপ বলে, "কৃষ্ণচন্দ্র দে-র পরে সেইস্তরের দৃষ্টিহীন কোনও সঙ্গীতশিল্পী বাংলা গানের জগতে আসেননি। আমি সেই মাত্রার একজন সঙ্গীতশিল্পী হতে চাই।"

শুভদীপের সাফল্যে শুধু তার পরিবার নয়, গোটা দুর্গাপুর গর্বিত । অনেক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়, হীনমন্যতায় ভোগেন । শুভদীপের সাফল্য তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে দিতে বাধ্য ।

Intro:দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সেন্ট্রাল স্টোর্স বিভাগের আদিত্য মন্ডলের ছেলে শুভদীপ মন্ডল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে।
শুভদীপ জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। আদিত্য মন্ডলের বড় মেয়ে সুষমা এখন মাস্টার্স করছে। শুভদীপ কনিষ্ঠ সন্তান।

জন্মান্ধ শুভদীপের জন্য খুব মনখারাপের সাথেই আদিত্য মন্ডল পিতার দায়িত্ব পালন করেছেন। খুব ছোটবেলায় শুভদীপকে নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে তার বাবা-মা। ক্লাস ওয়ান থেকেই সেখানে শিক্ষালাভ শুভদীপের। মা তনুশ্রী মন্ডলকে নিজের সন্তানকে দূরে রেখে বাড়িতে মনখারাপ নিয়ে থাকতেন।মা নিয়মিত দুর্গাপুর থেকে নরেন্দ্রপুর যেতেন।মা ও বাবা শুভদীপকে সবসময় প্রেরনা যোগাতেন।

আর আজ সেই শুভদীপ মন্ডল এক ইতিহাস তৈরি করল।সে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় এরাজ্যের দৃষ্টিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের সবাইকে পিছনে ফেলে সর্বচ্চ প্রায় ৯৫% নম্বর পেয়ে দৃষ্টিহীনদের মধ্যে রাজ্যে প্রথম হলো।মোট ৭০০ নাম্বারের পরীক্ষায় শুভদীপের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৬৩।
আর নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত শুভদীপের এই নম্বর সর্বোচ্চ নম্বার ।এমনকি সম্ভাব্য এরাজ্যে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতিহাসেও শুভদীপের নম্বর এক নয়া রেকর্ড।

শুভদীপ যে নম্বর পেয়েছে, তা অনেক চক্ষুষ্মান ছেলে মেয়ের কাছে স্বপ্ন।
দৃষ্টিহীন শুভদীপ আজ তার ফলাফলে অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে।শুভদীপ জানায় সে কখনও নিজেকে প্রতিবন্ধী বলে ভাবেই নি। ওর স্কুল এই মানসিকতা তৈরিতে ওকে পুর্ন সহযোগিতা করেছে। শুভদীপের খুব ইচ্ছে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া। দৃৃড় আত্মবিশ্বাসী শুভদীপের কথায় কৃষ্ণচন্দ্র দে'র পরে সেই স্তরের দৃষ্টিহীন সঙ্গীতশিল্পী বাংলা গানের জগতে আজও আসে নি। ও হতে চায় সেই মাত্রার একজন সঙ্গীতশিল্পী।
শুভদীপের সাফল্যে তার পরিবার শুধু নয় গোটা দুর্গাপুর গর্বিত।শুভদীপ এর এই সাফল্যে শিল্পশহরের বহু মানুষের কাছেই যে প্রেরনা বিশেষ করে দৃষ্টিহীন সন্তানদের অভিভাবকরা যারা হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের সবাইকে আজ জন্মান্ধ শুভদীপ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল "" ইচ্ছেশক্তির কাছে সব শক্তিই পরাজিত।""Body:কপিConclusion:কপি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.