ETV Bharat / briefs

একের ফারাক, প্রথম দশে স্থান হল না শিলিগুড়ির ঊর্যস্বী, সপ্তদীপার - siliguri

এবার মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম দশে ৫১ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেও তাদের মধ্যে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার কেউ নেই । শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে ঊর্যস্বী পাল ও সপ্তদীপা হালদার ।

সপ্তদীপা হালদার
author img

By

Published : May 22, 2019, 5:31 AM IST

Updated : May 22, 2019, 2:49 PM IST

শিলিগুড়ি, 22 মে : রয়ে গেল আক্ষেপ। মাত্র এক নম্বরের জন্য প্রথম দশে স্থান হল না শিলিগুড়ি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঊর্যস্বী পাল এবং বাণীমন্দির রেলওয়ে হাইস্কুলের সপ্তদীপা হালদারের ।

২০১৮ - ১৯ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেল না শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলা । শিক্ষামহলের একাংশের দাবি শিলিগুড়িতে এই প্রজন্মের মেধাবী পড়ুয়ারা ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে । তাই ইংরেজি মাধ্যমের সর্বভারতীয় বোর্ডগুলির পরীক্ষায় শিলিগুড়ির ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করলেও বাংলা মাধ্যমের বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল কার্যত তলানিতে ।

এবার মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম দশে ৫১ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেও তাদের মধ্যে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার কেউ নেই । শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে হাতিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা ঊর্যস্বী ও সাউথ আম্বেদকর কলোনির সপ্তদীপা । দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০।

ঊর্যস্বীর বাবা রামকৃষ্ণ পাল শিলিগুড়ি বুদ্ধভারতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক । মা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা । গান ও ছবি আঁকায় ঊর্যস্বীর ঝোঁক রয়েছে । সঙ্গে পড়াশোনা চলে সমানতালে । সে বলে, "ভালো ফল আশা করেছিলাম। তবে এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেলাম না এটা আক্ষেপের।"

urjasi
ঊর্যস্বী পাল

শিলিগুড়ির সাউথ আম্বেদকর কলোনির বাসিন্দা সপ্তদীপা হালদারের বাবা আশিস কুমার হালদার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক । বাড়িতেই প্রাক্টিস করেন । মা সুমি হালদার ফিজ়িওথেরাপিস্ট । তবে মেয়ের পড়াশোনার প্রতি নজর দিতে বছর দুই আগে সেই পেশা ছেড়েছেন। সপ্তদীপা বলে, "ভালো ফল আশা করেছিলাম। এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেলাম না । পরীক্ষার মাত্র ১৫ দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় হাতে ও মুখে চোট লেগেছিল । পড়াশোনা একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সেসময় মা পড়ে শোনাত । আমি শুনে শুনে মনে রাখতাম। হাতে চোট থাকায় বাংলা পরীক্ষা খুব একটা ভালো দিতে পারিনি । "

শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা ব্যানার্জি বলেন, "মেধা তালিকায় নাম নেই স্কুলের । এমনকি শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলাও স্থান পায়নি । তবে আমাদের স্কুলের ছাত্রী জেলায় প্রথম হয়েছে । ভালো লাগছে। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা সোশাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটাচ্ছে । তার কুপ্রভাব পড়ছে পড়াশুনোয় । ফলত মান কমছে । "

সপ্তদীপা হালদারের বক্তব্য

অন্যদিকে, বাণীমন্দির রেলওয়ে হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল ইনচার্জ পিটার সেলস্টাইন খালকো বলেন, "মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এখন বেশি করে ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে । তাই জেলায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ফল ভালো হচ্ছে কিন্তু বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলির ফল তলানিতে ।"

শিলিগুড়ি, 22 মে : রয়ে গেল আক্ষেপ। মাত্র এক নম্বরের জন্য প্রথম দশে স্থান হল না শিলিগুড়ি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঊর্যস্বী পাল এবং বাণীমন্দির রেলওয়ে হাইস্কুলের সপ্তদীপা হালদারের ।

২০১৮ - ১৯ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে প্রথম দশে স্থান পেল না শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলা । শিক্ষামহলের একাংশের দাবি শিলিগুড়িতে এই প্রজন্মের মেধাবী পড়ুয়ারা ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে । তাই ইংরেজি মাধ্যমের সর্বভারতীয় বোর্ডগুলির পরীক্ষায় শিলিগুড়ির ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করলেও বাংলা মাধ্যমের বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল কার্যত তলানিতে ।

এবার মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম দশে ৫১ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেও তাদের মধ্যে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার কেউ নেই । শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে হাতিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা ঊর্যস্বী ও সাউথ আম্বেদকর কলোনির সপ্তদীপা । দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০।

ঊর্যস্বীর বাবা রামকৃষ্ণ পাল শিলিগুড়ি বুদ্ধভারতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক । মা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা । গান ও ছবি আঁকায় ঊর্যস্বীর ঝোঁক রয়েছে । সঙ্গে পড়াশোনা চলে সমানতালে । সে বলে, "ভালো ফল আশা করেছিলাম। তবে এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেলাম না এটা আক্ষেপের।"

urjasi
ঊর্যস্বী পাল

শিলিগুড়ির সাউথ আম্বেদকর কলোনির বাসিন্দা সপ্তদীপা হালদারের বাবা আশিস কুমার হালদার হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক । বাড়িতেই প্রাক্টিস করেন । মা সুমি হালদার ফিজ়িওথেরাপিস্ট । তবে মেয়ের পড়াশোনার প্রতি নজর দিতে বছর দুই আগে সেই পেশা ছেড়েছেন। সপ্তদীপা বলে, "ভালো ফল আশা করেছিলাম। এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান পেলাম না । পরীক্ষার মাত্র ১৫ দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় হাতে ও মুখে চোট লেগেছিল । পড়াশোনা একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সেসময় মা পড়ে শোনাত । আমি শুনে শুনে মনে রাখতাম। হাতে চোট থাকায় বাংলা পরীক্ষা খুব একটা ভালো দিতে পারিনি । "

শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা ব্যানার্জি বলেন, "মেধা তালিকায় নাম নেই স্কুলের । এমনকি শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলাও স্থান পায়নি । তবে আমাদের স্কুলের ছাত্রী জেলায় প্রথম হয়েছে । ভালো লাগছে। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা সোশাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটাচ্ছে । তার কুপ্রভাব পড়ছে পড়াশুনোয় । ফলত মান কমছে । "

সপ্তদীপা হালদারের বক্তব্য

অন্যদিকে, বাণীমন্দির রেলওয়ে হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল ইনচার্জ পিটার সেলস্টাইন খালকো বলেন, "মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এখন বেশি করে ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে । তাই জেলায় ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে ফল ভালো হচ্ছে কিন্তু বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলির ফল তলানিতে ।"

Intro:বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরনের অভিযোগে প্রাক্তণ বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের!

শিলিগুড়ি, ১৭ মেঃ এক বছর আগেই বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ধরেছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস না পেয়ে ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছিল বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। যা নিয়ে একসময় শুরু হয় আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরে বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায় অন্যান্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও। ঘটনায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তদন্তের নির্দেশ জারি করল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আজ কর্ম সমিতির বিশেষ বৈঠকে উপাচার্যের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্তে হয়, ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তণ বিচারপতি দ্বারা একক কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।

তৎকালীন বাংলা বিভাগের প্রধান মঞ্জুলা বেরার বিরুদ্ধে বর্ণ বৈষম্যমূলক আচরনের অভিযোগে তুলে ছাত্রছাত্রীরা সরব হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাতে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল। যদিও নাছোরবান্দা ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পারদ ক্রমশ উর্ধমুখী হতেই বিশ্ববিদ্যালয় একপ্রকার অচল হতে শুরু করায় নড়েচড়ে বসে কতৃপক্ষ। প্রথমেই বিভাগীয় প্রধানকে দ্বায়িত্ব থেকে সরানো হয়। যদিও ছাত্রছাত্রীদের দাবী মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ওই মঞ্জুলা বেরাকে সরানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এক বছর আগে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তার নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ফের একবার বিক্ষোভে সামিল হয় ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেই তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। অন্যদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিনই কর্ম সমিতির বৈঠক বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ছাত্রছাত্রীদের যে অভিযোগ রয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।
এবিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের দাবী তদন্ত হোক তাতে কোন আপত্তি নেই। তবে তার আগে মঞ্জুলা বেরাকে সাসপেন্ড করা হোক। এরপর তদন্ত হবে। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবিরেশ ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তণ বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে। সম্মতি চাওয়ার জন্য ইমেল মারফৎ চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তার সঙ্গে সাক্ষাৎও করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের তরফে। সম্মতি মিলতেই বিচারপতির নির্দেশ মোতাবেক তদন্তে সাহায্য করব আমরা। অন্যদিকে, তদন্ত চলাকালীন বাংলা বিভাগের পরীক্ষা নিরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত কাজের দ্বায়িত্ব থাকবে বিঞ্জান বিভাগের ডীন বিকাশ পাল ও কলা বিভাগের ডীন সঞ্চারি রায় মুর্খার্জীর ওপর।

Body:.Conclusion:.
Last Updated : May 22, 2019, 2:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.