ETV Bharat / briefs

পারিপার্শ্বিক চাপ থেকেই আত্মহত্যা ? কৃত্তিকা মৃত্যু রহস্যের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা

তদন্তের শুরু থেকেই একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছেন তদন্তকারীদের । বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন তাঁরা ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 22, 2019, 3:11 PM IST

Updated : Jun 22, 2019, 3:26 PM IST

কলকাতা, 22 জুন : ক্রমেই রহস্য বাড়ছে ছাত্রী কৃত্তিকা পালের মৃত্যু ঘিরে । নেহাতই আত্মহত্যা না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য, ঘটনার 24 ঘণ্টা পরেও সেই উত্তরই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা । যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছে ক্লাস টেনের এই ছাত্রী ।

গতকাল দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল কৃত্তিকাকে । কিন্তু, কেন এমন পরিণতি হাসিখুশি স্বভাবের মেয়েটির ? সেই প্রশ্নই খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে একাধিক তথ্য । কৃত্তিকার সহপাঠীরা জানাচ্ছে, ঘটনার দিন ক্লাসে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি তার মধ্যে । প্রথম পাঁচটি ক্লাসে বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাকে । কিন্তু, তারপরই হঠাৎই পরিবর্তন দেখা যায় তার চোখেমুখে । মাথাব্যথা করছে বলে ছয় নম্বর ক্লাসটি না করে সিক রুমে চলে যায় সে । সেসময়ের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই উঠে আসছে নানা প্রশ্ন ।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সেসময় শৌচালয়ের দিকে যাচ্ছিল কৃত্তিকা । কিন্তু, কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা করছিল সে । প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ব্লেড ও প্লাস্টিক জাতীয় কিছু । যদিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই জানাতে পারছেন না তাঁরা ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কলকাতার নামী স্কুলের বাথরুমে রক্তাক্ত ছাত্রী, নার্সিংহোমে মৃত্যু

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শৌচালয়ের দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ ছিল । আর তাই আত্মহত্যার তত্ত্বটির উপরই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা । কিন্তু, এখানেই উঠে আসছে আর একটি প্রশ্ন ।
কৃত্তিকার মুখে প্লাস্টিক জড়াল কে ? নিজেই নিজের মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল ? যদিও তা করার মতো ক্ষমতা কৃত্তিকার ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে । আর এখানেই তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির প্রসঙ্গটি জোরালো হচ্ছে । সন্দেহ তৈরি হচ্ছে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটটি ঘিরে । কৃত্তিকা নিজেই সেই নোটটি লিখেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বিচার করা হচ্ছে হাতের লেখা ।

এপ্রসঙ্গেই উঠে আসছে, কৃত্তিকার পারিবারিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ নিয়ে । বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র । হায়দরাবাদে কর্মরত । স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের মৃত্যু সংবাদে আকস্মিকতা হারিয়েছেন বাবা-মা । গতকাল রাতেই তেলাঙ্গানা থেকে শহরে ফিরেছেন । তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই না কি ছিল মেধাবী ছাত্রীটি । ভালো স্কুলে ভরতি হওয়ার একটা চাপ তার মধ্যে কাজ করত । ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে পড়তে চায় সে । মেধাবী কৃত্তিকার মনের উপর এটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছিল কি না সেই প্রশ্নই উঠে আসছে । কারণ প্রায়শই বাবা-মায়ের এই প্রসঙ্গই উত্থাপন করত কৃত্তিকা । এমনকী, স্বপ্ন সার্থক করার লড়াইয়ে রাতের পর রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারত না অনেকসময়ে ।

স্কুলশিক্ষিকা থেকে শুরু করে অনেকের ধারণা, পড়াশোনার একটা চাপ তৈরি হচ্ছিল কৃত্তিকার মধ্যে । বিশেষ করে ইদানিং ক্লাস টেনে ও টুয়েলেভের পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর পেয়েও মনের মতো স্কুলে সুযোগ পায়নি অনেকে । ক্লাস টেনের ছাত্রী কৃত্তিকা । তার মনেও এর চাপ পড়েছিল কি না সেই বিষয়টিও ঘুরেফিরে আসছে । পডু়য়াদের উদ্বেগের বিষয়টি দিনদিন যে মানসিক যন্ত্রণার কারণে পরিণত হচ্ছে তা বারবার মেনে নিয়েছেন মনোবিদরা । কৃত্তিকার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় ভালো ফল করার চাপ, ভালো স্কুলে ভরতি হওয়ার চাপ, উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাওয়ার চাপ কীভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছিল সেইদিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।

আবার বাবা-মায়ের সম্পর্ক নিয়েও উঠে আসছে প্রশ্ন । বাব দীর্ঘদিন হায়দরাবাদে থাকতেন । বাবা-মায়ের এই দূরত্ব, বা তৃতীয় সম্পর্কের উপস্থিতি ছিল কি না সেই বিষয়টিও উঠে আসছে । কৃত্তিকাকে কোনওভাবে একাকীত্ব গ্রাস করেছিল কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা । বাবার অনুপস্থিতিতে মা'কে কৃত্তিকাকে ঠিকমতো পাশে পেত কি না সে বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ।

প্রশ্ন হাজারও । প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা । দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে । সুইসাইড নোটে হাতের লেখা খতিয়ে দেখছেন হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞরা । প্রয়োজনে মনোবিদদের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে । কৃত্তিকার সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও আলাদা-আলাদা করে কথা বলতে চান তদন্তকারীরা ।

এক-একটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরই তদন্ত গোটাতে শুরু করবেন তাঁরা । তারপরই মেধাবী ছাত্রী কৃত্তিকার মৃত্যুর আসল রহস্য সামনে বলেই মনে করছেন তাঁরা ।

কলকাতা, 22 জুন : ক্রমেই রহস্য বাড়ছে ছাত্রী কৃত্তিকা পালের মৃত্যু ঘিরে । নেহাতই আত্মহত্যা না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য, ঘটনার 24 ঘণ্টা পরেও সেই উত্তরই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা । যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যাই করেছে ক্লাস টেনের এই ছাত্রী ।

গতকাল দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয় থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল কৃত্তিকাকে । কিন্তু, কেন এমন পরিণতি হাসিখুশি স্বভাবের মেয়েটির ? সেই প্রশ্নই খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে একাধিক তথ্য । কৃত্তিকার সহপাঠীরা জানাচ্ছে, ঘটনার দিন ক্লাসে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি তার মধ্যে । প্রথম পাঁচটি ক্লাসে বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাকে । কিন্তু, তারপরই হঠাৎই পরিবর্তন দেখা যায় তার চোখেমুখে । মাথাব্যথা করছে বলে ছয় নম্বর ক্লাসটি না করে সিক রুমে চলে যায় সে । সেসময়ের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই উঠে আসছে নানা প্রশ্ন ।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সেসময় শৌচালয়ের দিকে যাচ্ছিল কৃত্তিকা । কিন্তু, কিছু একটা লুকানোর চেষ্টা করছিল সে । প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ব্লেড ও প্লাস্টিক জাতীয় কিছু । যদিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই জানাতে পারছেন না তাঁরা ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : কলকাতার নামী স্কুলের বাথরুমে রক্তাক্ত ছাত্রী, নার্সিংহোমে মৃত্যু

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শৌচালয়ের দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ ছিল । আর তাই আত্মহত্যার তত্ত্বটির উপরই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা । কিন্তু, এখানেই উঠে আসছে আর একটি প্রশ্ন ।
কৃত্তিকার মুখে প্লাস্টিক জড়াল কে ? নিজেই নিজের মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিল ? যদিও তা করার মতো ক্ষমতা কৃত্তিকার ছিল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে । আর এখানেই তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির প্রসঙ্গটি জোরালো হচ্ছে । সন্দেহ তৈরি হচ্ছে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটটি ঘিরে । কৃত্তিকা নিজেই সেই নোটটি লিখেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বিচার করা হচ্ছে হাতের লেখা ।

এপ্রসঙ্গেই উঠে আসছে, কৃত্তিকার পারিবারিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ নিয়ে । বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র । হায়দরাবাদে কর্মরত । স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের মৃত্যু সংবাদে আকস্মিকতা হারিয়েছেন বাবা-মা । গতকাল রাতেই তেলাঙ্গানা থেকে শহরে ফিরেছেন । তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই না কি ছিল মেধাবী ছাত্রীটি । ভালো স্কুলে ভরতি হওয়ার একটা চাপ তার মধ্যে কাজ করত । ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটে পড়তে চায় সে । মেধাবী কৃত্তিকার মনের উপর এটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছিল কি না সেই প্রশ্নই উঠে আসছে । কারণ প্রায়শই বাবা-মায়ের এই প্রসঙ্গই উত্থাপন করত কৃত্তিকা । এমনকী, স্বপ্ন সার্থক করার লড়াইয়ে রাতের পর রাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারত না অনেকসময়ে ।

স্কুলশিক্ষিকা থেকে শুরু করে অনেকের ধারণা, পড়াশোনার একটা চাপ তৈরি হচ্ছিল কৃত্তিকার মধ্যে । বিশেষ করে ইদানিং ক্লাস টেনে ও টুয়েলেভের পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর পেয়েও মনের মতো স্কুলে সুযোগ পায়নি অনেকে । ক্লাস টেনের ছাত্রী কৃত্তিকা । তার মনেও এর চাপ পড়েছিল কি না সেই বিষয়টিও ঘুরেফিরে আসছে । পডু়য়াদের উদ্বেগের বিষয়টি দিনদিন যে মানসিক যন্ত্রণার কারণে পরিণত হচ্ছে তা বারবার মেনে নিয়েছেন মনোবিদরা । কৃত্তিকার ক্ষেত্রে পড়াশোনায় ভালো ফল করার চাপ, ভালো স্কুলে ভরতি হওয়ার চাপ, উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাওয়ার চাপ কীভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছিল সেইদিকটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।

আবার বাবা-মায়ের সম্পর্ক নিয়েও উঠে আসছে প্রশ্ন । বাব দীর্ঘদিন হায়দরাবাদে থাকতেন । বাবা-মায়ের এই দূরত্ব, বা তৃতীয় সম্পর্কের উপস্থিতি ছিল কি না সেই বিষয়টিও উঠে আসছে । কৃত্তিকাকে কোনওভাবে একাকীত্ব গ্রাস করেছিল কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা । বাবার অনুপস্থিতিতে মা'কে কৃত্তিকাকে ঠিকমতো পাশে পেত কি না সে বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ।

প্রশ্ন হাজারও । প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা । দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে । সুইসাইড নোটে হাতের লেখা খতিয়ে দেখছেন হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞরা । প্রয়োজনে মনোবিদদের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে । কৃত্তিকার সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও আলাদা-আলাদা করে কথা বলতে চান তদন্তকারীরা ।

এক-একটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার পরই তদন্ত গোটাতে শুরু করবেন তাঁরা । তারপরই মেধাবী ছাত্রী কৃত্তিকার মৃত্যুর আসল রহস্য সামনে বলেই মনে করছেন তাঁরা ।

Intro:কলকাতা, ২২ জুন: অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত। তবে প্রাথমিকভাবে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, আত্মহত্যা করেছিলেন নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কৃতি ছাত্রী কৃত্তিকা পাল। সূত্র জানাচ্ছে, যোধপুর পার্কের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে যে অপিনিয়ন দিয়েছেন, তাতে ওই কিশোরীর হাতের আঘাত নিজেই করেছেন। অন্য কেউ যদি হাতের শিরা কেটে দেয়, তবে যে ধরনের চিহ্ন থাকে তা এটি ছিল না। পাশাপাশি, পুলিশ জানতে পেরেছে বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সঙ্গে পাওয়া সুইসাইড নোটের হাতের লেখাও কৃত্তিকারই বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা। Body:জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে পাঁচটি ক্লাস সে স্বাভাবিকভাবেই করেছে। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই সময় তাকে হাসি খুশি দেখাচ্ছিল। ছ'নম্বর পিরিয়ডে “মাথাব্যথা করছে" বলে সে ক্লাস থেকে সিকরুমের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, বাথরুমে যাওয়ার সময় কিছুটা পাল্টে গিয়েছিল তার চোখ-মুখ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাথরুমে যাওয়ার সময় সে কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, ব্লেড এবং প্লাস্টিকের প্যাকেটে লুকোনোর চেষ্টা করছিল সে। সুইসাইড নোটটিও সে বাথরুমে বসেই লিখেছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। বাথরুমে উদ্ধার হয়েছে পেনও। সমস্ত পারিপার্শ্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, বাথরুমের দরজা বন্ধ করে সুইসাইড নোট লেখার পর, পেন্সিল কাটার ব্লেড দিয়ে প্রথমে হাতের শিরা কাটে কৃত্তিকা। পরে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে প্লাস্টিক পেঁচিয়ে নেয়। যদিও ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই বোঝা যাবে রক্তক্ষরণ নাকি শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। আদৌ সে আত্মহত্যা করেছে নাকি এই মৃত্যুর পেছনে আছে অন্য কিছু।

এখন প্রশ্ন হল কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন কৃত্তিকা?

জানা গেছে ওই কিশোরীর বাবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কর্মসূত্রে হায়দারাবাদে থাকতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তেলেঙ্গানার রাজধানী থেকে শহরে ফিরতে তার বেশ রাত হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তখন পুলিশ তার সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে, ওই কিশোরীর মা মেয়ের মৃত্যুশোকে একেবারেই সুস্থ ছিলেন না। কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র কর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, “ ওর মা অনেকটাই ট্রমাটাইজড ছিল। তাই ইন্টারোগেশন যেটাকে বলে সেটা করা যায়নি। অনেক কথাবার্তা বলার পরে উনি শুধুমাত্র বলেছেন, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট ভর্তির বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে থাকত কৃত্তিকা। মাঝেমধ্যেই সে বলতো, আদৌ সুযোগ পাবে কিনা। যদিও তার বাবা অভয় দিতেন। বলতেন ওই পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া কোনও ব্যাপারই নয় কৃত্তিকার কাছে। আমরা শুধুমাত্র ওই কথাটুকুই বলতে পেরেছি। প্রতিকার সুইসাইড-নোট টুকুও দেখিয়ে, তারই হাতের লেখা কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা সেই মুহূর্তে সম্ভব ছিল না। ওই নোট হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যদিও শিক্ষক এবং সহপাঠীরা জানিয়েছেন ওই হাতের লেখা তারই।" Conclusion:সূত্র জানাচ্ছে, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে সুযোগ পাওয়ার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল দশম শ্রেণীর ছাত্রী কৃত্তিকা। এই প্রস্তুতির জন্যই সে এতটাই মানসিক চাপে ছিল যে, মাঝেমধ্যে রাত্রে ঘুমোতো না পর্যন্ত। তবে তিন পাতা সুইসাইড নোটের বেশ কয়েকটি বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তার বাবা যদি, আইএসআইয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয়ে সাহস দিত, তবে কেন সে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্বের কথা লিখেছে? কি এমন ঘটেছিল যার জন্য তার বাবা-মার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল? কেন সে একাকীত্বে ভুগত? পাশাপাশি কৃত্তিকার কল লিস্ট চেক করছে তদন্তকারীরা। এর মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে চলছে পুলিশি তৎপরতা।
Last Updated : Jun 22, 2019, 3:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.