কলকাতা, 27 এপ্রিল : সুপার কাপে না খেলার জন্য ফেডারেশনের শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে আই লিগ জোটের ক্লাবগুলো । ইতিমধ্যেই তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে বক্তব্য রাখার ব্যবস্থা করেছে ফেডারেশন । গতকাল বিকেলে মোহনবাগানের দুই শীর্ষকর্তা ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ।
ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের আশ্বাস সত্ত্বেও কেন তারা সুপার কাপে খেলল না তার জবাবদিহি দিতে হবে আই লিগের ক্লাবগুলোকে । শাস্তি যে হচ্ছেই তা বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারছে ক্লাবগুলো । নিজের মতো করে ঘুটি সাজাচ্ছে তারা। গতকাল বিকেলে মোহনবাগানের দুই শীর্ষকর্তা ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন । সেখানে শাস্তির ধরন নিয়ে আলোচনা হয় । শোনা যাচ্ছে, বিরাট পরিমাণ আর্থিক জরিমানার হতে পারে ক্লাবগুলোর । প্রায় এক কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে । এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক দায় নিয়ে আই লিগের ক্লাবগুলোর ক্লাব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মোহনবাগানে স্পনসর নেই। ফলে আর্থিক জরিমানা হলে তা কর্তাদের পকেট থেকে যাবে । বকেয়াও রয়েছে ফুটবলারদের। তাই সবুজ মেরুনের দুই শীর্ষকর্তা ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসে পথ খোঁজার চেষ্টা করেছেন । একই সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতে আই লিগের ক্লাবগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা ব্যাখ্যা করেন । ফেডারেশন কর্তা আশ্বাস দিলেও কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি ।
মোহনবাগানের মতো ইস্টবেঙ্গলও শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে নিজেদের বক্তব্য রাখবে । প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা সুপার কাপে খেলার ব্যাপারে রাজি ছিলেন । তাই ফের ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগকারী সংস্থা ও ক্লাব কর্তাদের মধ্যে ফাটল সামনে আসার সম্ভাবনা আছে । ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা ISL -এ খেলতে চাওয়ার ইচ্ছের কথা বিনিয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছে । কিন্তু তার বাস্তবায়ন নতুন মরশুমে সম্ভব নয়, তা বিনিয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন । আর্থিক জরিমানার আশঙ্কা ইস্টবেঙ্গলেও । সেক্ষেত্রে আই লিগ রানার্স হওয়ার জন্য পুরস্কারের টাকা ও সেরা আয়োজকের পুরস্কারের অর্থ মিলিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার ভাবনা লাল হলুদে । তবে গ্রহণযোগ্য সমঝোতার পথ খোঁজা হচ্ছে ।