ETV Bharat / briefs

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সাক্ষাৎকার - BJP leader

ইনাডু গ্রুপকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন নরেন্দ্র মোদি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
author img

By

Published : Apr 9, 2019, 12:25 PM IST

Updated : Apr 9, 2019, 4:15 PM IST

দিল্লি, 9 এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনের আগে ইনাডু গ্রুপকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে BJP-র ইস্তাহার থেকে শুরু করে পাঁচ বছরে সরকারের কাজের খতিয়ান, সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি।

1. BJP সরকারের সবথেকে বড় সাফল্য কী?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা নিশ্চিত করেছি যাতে আমাদের বহুমুখী কৌশল প্রতিটি সরকারি বিভাগের কাজকে আরও সুবিধাজনক ও স্বচ্ছ করে। তাই আমরা কোনও বিভাগ ছাড়িনি। আমরা সংস্কার, সঞ্চালন ও রূপান্তরে বিশ্বাস করি। আমরা এই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছি।

সাধারণত একটি সরকার ২-৩ টে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের উপর নজর দেয়। যেমন পূর্ববর্তী সরকার শুধুমাত্র MNREGA প্রকল্পের উপর নজর দিয়েছিল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাকে কাজে লাগিয়ে আমি বহুমুখী ফোরামে কাজ করতে বেশি আগ্রহী।

আমি জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। আমার মনে হয় সঠিকভাবে একটি দেশ চালানোর জন্য সমস্ত বিষয়গুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা উচিত।

2. আপনার মতে এই পাঁচ বছরে সবথেকে সন্তোষজনক সংস্কার কোনটি?

নরেন্দ্র মোদি : 2014 সালের আগে দেশের মানুষ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কথা শুনে হতাশ হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ আশাবাদী। মানুষ আমাদের সরকারের উপর ভরসা করে। এই বিষয়টি আমার কাছে সন্তোষজনক।

3. মহাজোট নিয়ে আপনার কী বক্তব্য?

নরেন্দ্র মোদি : মানুষ গত পাঁচ বছরে আমার কাজ দেখেছে। তিন দশক পর তারা একটি স্থিতিশীল সরকারের সাক্ষী থেকেছে। মানুষ বিশ্বাস করে ভারতে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন। তাই তারা মহাজোটকে সমর্থন করবে না।

4. বিরোধীরা বেকারত্ব ও কৃষি সংকটের মতো বিষয় তুলে ধরছে, নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়বে?

নরেন্দ্র মোদি : বর্তমানে সোশাল মিডিয়াগুলিতে সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা হয়। আগে রাজনীতিকরা সহজেই সকলকে বোকা বানাতে পারতেন। কিন্তু এখন সময় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ খুব সহজেই বিভিন্ন তথ্য জানতে পারে। রাস্তা নির্মাণ, রেল লাইন ইত্যাদি আগের তুলনায় বেশি হয়েছে কি না এই বিষয়ে তারা সহজেই জানতে পারে। কর্মসংস্থানের বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য মানুষ জানতে পারে। এমন কী বিদেশি বিনিয়োগও আগের তুলনায় বেশি করা হয়েছে যাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। মুদ্রা প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই ঋণ পাচ্ছে।

5. আপনি দেশের কৃষকদের সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করবেন?

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষকদের ফসলের ১.৫ গুণ টাকা কৃষকদের দেওয়া হবে। আমরা পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় কৃষকদের থেকে বেশি পরিমাণ ফসল কিনেছি। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করেছি যাতে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিকাজ করতে পারে। আমরা কৃষকদের জন্য পেনশন স্কিম আনব। আমরা সয়েল হেলথ কার্ড ও ই-নাম নামে আরও দুটি প্রকল্প চালু করেছি যা কৃষকদের সাহায্য করবে।

6. নোটবাতিল নিয়ে কংগ্রেস অনেক প্রশ্ন তুলেছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, এটি একটি কেলেঙ্কারি। এই বিষয়ে কী বলবেন?

নরেন্দ্র মোদি : নোটবাতিলের প্রস্তাব এই দেশে অনেক আগেই তোলা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধির সময় এই প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, "এই প্রস্তাব অর্থনৈতিকভাবে উপযুক্ত। কিন্তু রাজনৈতিক বিভ্রান্ত সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমরা ভোটে জিততে পারব না।" যদি সেইসময় এই সিন্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে রোগটা এতদূর ছড়িয়ে পড়ত না।

আমরা UPI ডিজিটাল লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছি। আমি যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশে ডিজিটাল লেনদেন ছিল দিনে ৩ লাখ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে মাসে ৮০ কোটি টাকা হয়েছে। এটি নোটবাতিলের জন্য সম্ভব হয়েছে। দেশ সততার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

7. বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি এবং নীরব মোদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, কিন্তু BJP সরকার কি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ?

নরেন্দ্র মোদি : প্রথমত, যখন কংগ্রেস এই বিষয়ে কথা বলে তখন আমি চাই আমার মিডিয়া-বন্ধুরা কংগ্রেসের ৭০ বছরের আমলে যাঁরা পালিয়ে গেছেন তাঁদের নাম তুলুক। দ্বিতীয়ত, আমাদের সরকার দীপক তলওয়ার, ক্রিশ্চিয়ান মিশেল ও রাজীব সাক্সেনাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। তার মানে আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমরা কঠোর আইন বানিয়েছি। এবং প্রচুর বেআইনি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

8. গত পাঁচ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আপনি কি এই বিষয় সম্পর্কে একমত? এবিষয়ে আপনার মতামত কী?

নরেন্দ্র মোদি : কিছু মানুষ আছে যারা খারাপ উদ্দেশ্যে গল্প তৈরি করে। এর ফলে সরকারের ভালো কাজগুলি ধামাচাপা পড়ে যায়। কংগ্রেসের সরকারের আমলে সবথেকে নৃশংস হিংসার ঘটনা হয়েছে। সেই সময় সবথেকে বেশি সংখ্যালঘু হত্যা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

9. রাফাল চুক্তি নিয়ে আপনি অনেকবার বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট এবং CAG-র পক্ষ থেকে সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, দেনার দায়ে যে কম্পানি রয়েছে তাকে কী ভাবে অফসেট ওয়ার্কের কাজ দেওয়া হল? সেই কম্পানি কি নিরাপত্তা বিভাগের কাজ পাওয়ার যোগ্য?

নরেন্দ্র মোদি : প্রথমত, এই সব মিথ্যা কথা। আমরা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা করেছি। সংসদে আমরা কম্পানি এবং অফসেটের ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা একই কথা CAG এবং সুপ্রিম কোর্টকে বলেছি। আমরা সব জায়গা থেকে ক্লিনচিট পেয়েছি। তাও রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ মিথ্যা কথা বলছে।

10. পাঁচ বছরে আপনার সরকার রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারেনি, তাহলে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আপনার বর্তমান প্রতিশ্রুতি কী ভাবে মানুষ বিশ্বাস করবেন?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা আমাদের অবস্থান আদালতকে জানিয়েছি। আমরা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল যাতে 2019 সালে রায় ঘোষণা না করা হয়। কংগ্রেস কী ভাবে আদালতকে প্রভাবিত করতে পারে? এটি খুবই চিন্তার বিষয়।

11. BPL হোল্ডারদের উপর কংগ্রেসের 'ন্যায়' প্রকল্প কী প্রভাব ফেলবে?

নরেন্দ্র মোদি : কংগ্রেস অনিচ্ছাকৃতভাবে মেনে নিয়েছে যে তারা দেশের গরিব মানুষের সাথে অবিচার করেছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের যুবকদের বিচার হয়েছে? কংগ্রেস বলেছিল তারা এই সব রাজ্যের বেকার যুবকদের ভাতা দেবে। তারা কংগ্রেসের কাছ থেকে 'ন্যায়'বিচার চাইছে। কৃষকরাও 'ন্যায়'বিচার চাইছে।

12. সময়ের সাথে সাথে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি কি মনে করেন এর ফলে BJP-র নির্বাচনী সম্ভাবনাও বেড়েছে?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা রাজনীতির জন্য এসব করি না। আমরা দেশপ্রেম এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করি।

13. পরবর্তী সরকার গঠন করলে অগ্রাধিকারের কোনও পরিবর্তন হবে ?

নরেন্দ্র মোদি : দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমার একমাত্র অগ্রাধিকার। জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা এবং তাঁদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুযোগ দেওয়াই হবে আমার অগ্রাধিকার।

দিল্লি, 9 এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনের আগে ইনাডু গ্রুপকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে BJP-র ইস্তাহার থেকে শুরু করে পাঁচ বছরে সরকারের কাজের খতিয়ান, সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি।

1. BJP সরকারের সবথেকে বড় সাফল্য কী?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা নিশ্চিত করেছি যাতে আমাদের বহুমুখী কৌশল প্রতিটি সরকারি বিভাগের কাজকে আরও সুবিধাজনক ও স্বচ্ছ করে। তাই আমরা কোনও বিভাগ ছাড়িনি। আমরা সংস্কার, সঞ্চালন ও রূপান্তরে বিশ্বাস করি। আমরা এই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছি।

সাধারণত একটি সরকার ২-৩ টে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের উপর নজর দেয়। যেমন পূর্ববর্তী সরকার শুধুমাত্র MNREGA প্রকল্পের উপর নজর দিয়েছিল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাকে কাজে লাগিয়ে আমি বহুমুখী ফোরামে কাজ করতে বেশি আগ্রহী।

আমি জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। আমার মনে হয় সঠিকভাবে একটি দেশ চালানোর জন্য সমস্ত বিষয়গুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা উচিত।

2. আপনার মতে এই পাঁচ বছরে সবথেকে সন্তোষজনক সংস্কার কোনটি?

নরেন্দ্র মোদি : 2014 সালের আগে দেশের মানুষ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির কথা শুনে হতাশ হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ আশাবাদী। মানুষ আমাদের সরকারের উপর ভরসা করে। এই বিষয়টি আমার কাছে সন্তোষজনক।

3. মহাজোট নিয়ে আপনার কী বক্তব্য?

নরেন্দ্র মোদি : মানুষ গত পাঁচ বছরে আমার কাজ দেখেছে। তিন দশক পর তারা একটি স্থিতিশীল সরকারের সাক্ষী থেকেছে। মানুষ বিশ্বাস করে ভারতে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন। তাই তারা মহাজোটকে সমর্থন করবে না।

4. বিরোধীরা বেকারত্ব ও কৃষি সংকটের মতো বিষয় তুলে ধরছে, নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়বে?

নরেন্দ্র মোদি : বর্তমানে সোশাল মিডিয়াগুলিতে সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা হয়। আগে রাজনীতিকরা সহজেই সকলকে বোকা বানাতে পারতেন। কিন্তু এখন সময় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ খুব সহজেই বিভিন্ন তথ্য জানতে পারে। রাস্তা নির্মাণ, রেল লাইন ইত্যাদি আগের তুলনায় বেশি হয়েছে কি না এই বিষয়ে তারা সহজেই জানতে পারে। কর্মসংস্থানের বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য মানুষ জানতে পারে। এমন কী বিদেশি বিনিয়োগও আগের তুলনায় বেশি করা হয়েছে যাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। মুদ্রা প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই ঋণ পাচ্ছে।

5. আপনি দেশের কৃষকদের সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করবেন?

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষকদের ফসলের ১.৫ গুণ টাকা কৃষকদের দেওয়া হবে। আমরা পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় কৃষকদের থেকে বেশি পরিমাণ ফসল কিনেছি। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করেছি যাতে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিকাজ করতে পারে। আমরা কৃষকদের জন্য পেনশন স্কিম আনব। আমরা সয়েল হেলথ কার্ড ও ই-নাম নামে আরও দুটি প্রকল্প চালু করেছি যা কৃষকদের সাহায্য করবে।

6. নোটবাতিল নিয়ে কংগ্রেস অনেক প্রশ্ন তুলেছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, এটি একটি কেলেঙ্কারি। এই বিষয়ে কী বলবেন?

নরেন্দ্র মোদি : নোটবাতিলের প্রস্তাব এই দেশে অনেক আগেই তোলা হয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধির সময় এই প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, "এই প্রস্তাব অর্থনৈতিকভাবে উপযুক্ত। কিন্তু রাজনৈতিক বিভ্রান্ত সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আমরা ভোটে জিততে পারব না।" যদি সেইসময় এই সিন্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে রোগটা এতদূর ছড়িয়ে পড়ত না।

আমরা UPI ডিজিটাল লেনদেনের প্রস্তাব দিয়েছি। আমি যখন ক্ষমতায় আসি তখন দেশে ডিজিটাল লেনদেন ছিল দিনে ৩ লাখ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে মাসে ৮০ কোটি টাকা হয়েছে। এটি নোটবাতিলের জন্য সম্ভব হয়েছে। দেশ সততার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

7. বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি এবং নীরব মোদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, কিন্তু BJP সরকার কি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ?

নরেন্দ্র মোদি : প্রথমত, যখন কংগ্রেস এই বিষয়ে কথা বলে তখন আমি চাই আমার মিডিয়া-বন্ধুরা কংগ্রেসের ৭০ বছরের আমলে যাঁরা পালিয়ে গেছেন তাঁদের নাম তুলুক। দ্বিতীয়ত, আমাদের সরকার দীপক তলওয়ার, ক্রিশ্চিয়ান মিশেল ও রাজীব সাক্সেনাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। তার মানে আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমরা কঠোর আইন বানিয়েছি। এবং প্রচুর বেআইনি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

8. গত পাঁচ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আপনি কি এই বিষয় সম্পর্কে একমত? এবিষয়ে আপনার মতামত কী?

নরেন্দ্র মোদি : কিছু মানুষ আছে যারা খারাপ উদ্দেশ্যে গল্প তৈরি করে। এর ফলে সরকারের ভালো কাজগুলি ধামাচাপা পড়ে যায়। কংগ্রেসের সরকারের আমলে সবথেকে নৃশংস হিংসার ঘটনা হয়েছে। সেই সময় সবথেকে বেশি সংখ্যালঘু হত্যা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

9. রাফাল চুক্তি নিয়ে আপনি অনেকবার বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট এবং CAG-র পক্ষ থেকে সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, দেনার দায়ে যে কম্পানি রয়েছে তাকে কী ভাবে অফসেট ওয়ার্কের কাজ দেওয়া হল? সেই কম্পানি কি নিরাপত্তা বিভাগের কাজ পাওয়ার যোগ্য?

নরেন্দ্র মোদি : প্রথমত, এই সব মিথ্যা কথা। আমরা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আলোচনা করেছি। সংসদে আমরা কম্পানি এবং অফসেটের ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা একই কথা CAG এবং সুপ্রিম কোর্টকে বলেছি। আমরা সব জায়গা থেকে ক্লিনচিট পেয়েছি। তাও রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ মিথ্যা কথা বলছে।

10. পাঁচ বছরে আপনার সরকার রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারেনি, তাহলে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আপনার বর্তমান প্রতিশ্রুতি কী ভাবে মানুষ বিশ্বাস করবেন?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা আমাদের অবস্থান আদালতকে জানিয়েছি। আমরা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল যাতে 2019 সালে রায় ঘোষণা না করা হয়। কংগ্রেস কী ভাবে আদালতকে প্রভাবিত করতে পারে? এটি খুবই চিন্তার বিষয়।

11. BPL হোল্ডারদের উপর কংগ্রেসের 'ন্যায়' প্রকল্প কী প্রভাব ফেলবে?

নরেন্দ্র মোদি : কংগ্রেস অনিচ্ছাকৃতভাবে মেনে নিয়েছে যে তারা দেশের গরিব মানুষের সাথে অবিচার করেছে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের যুবকদের বিচার হয়েছে? কংগ্রেস বলেছিল তারা এই সব রাজ্যের বেকার যুবকদের ভাতা দেবে। তারা কংগ্রেসের কাছ থেকে 'ন্যায়'বিচার চাইছে। কৃষকরাও 'ন্যায়'বিচার চাইছে।

12. সময়ের সাথে সাথে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি কি মনে করেন এর ফলে BJP-র নির্বাচনী সম্ভাবনাও বেড়েছে?

নরেন্দ্র মোদি : আমরা রাজনীতির জন্য এসব করি না। আমরা দেশপ্রেম এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করি।

13. পরবর্তী সরকার গঠন করলে অগ্রাধিকারের কোনও পরিবর্তন হবে ?

নরেন্দ্র মোদি : দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমার একমাত্র অগ্রাধিকার। জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা এবং তাঁদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুযোগ দেওয়াই হবে আমার অগ্রাধিকার।

Intro:New Delhi: The Bharatiya Janata Party (BJP's) stand over the Citizenship Amendment Bill (CAB) might have a "negative impact" into the party's poll prospect in Assam, but the stand was taken keeping a larger interest in mind.


Body:Senior party leader and Union Home Minister Rajnath Singh on Monday said, "We will try to pass the Citizenship amendment bill in the Parliament."

Singh said this while releasing BJP's election manifesto at the party headquarter in New Delhi.

The inclusion of CAB, however, could be a strategic policy of the saffron brigade keeping a larger interest in mind.

"BJP included CAB issue and emphasised on it keeping the Hindu vote bank of West Bengal. This is also true that implementation of this bill is largely dependent on the state government too," said senior journalist and an expert on Northeast affairs Deepak Diwan.

The BJP manifesto said that "we are committed to the enactment of the Citizenship amendment bill for the protection of individuals and religious minority communities from neighbouring countries escaping religious persecution. We will make all efforts to clarify the issues to the sections of populations from the northeast who have expressed apprehensions."

"This is an emotional issue in Northaast and it's good that BJP has said, they will reach to the people and discuss with stakeholders," said Diwan.


Conclusion:Diwan said that though the CAB will not have any impact in Arunachal Pradesh, Mizoram and Nagaland, in other states there are strong objections from the ruling party too.

"In Arunachal Pradesh, Mizoram and Nagaland they have inner line permit (ILP) so I don't think CAB is a threat. Meghalaya Governmnet is against the bill and it may have impact in Assam result too," said Diwan.

ILP is required to visit in these northeastern states following government's regulations over movements in certain areas located near the international border.

end.
Last Updated : Apr 9, 2019, 4:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.