ছিন্দওয়ারা (মধ্যপ্রদেশ), 7 মে: মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলা এবং তাঁর দুই পুত্র সন্তানের ৷ ছিন্দওয়ারা জেলার বিচুয়ার থোটামাল গ্রামে দুই সন্তানকে ডুবতে দেখে তাদের বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেন মহিলা ৷ কিন্তু দুই সন্তানকে তো তিনি বাঁচাতে পারেনইনি, উলটে দুই সন্তানের সঙ্গে কুয়োর জলে ডুবে মারা যান মহিলাও ৷ শনিবার বিকেলের এই ঘটনায় পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য গ্রামের জল সংকটকেই দায়ী করেছেন বাসিন্দারা ৷
গ্রামের বাইরে অস্থায়ী কুয়োতে ডুবে মৃত্যু মা ও 2 সন্তানের
জানা গিয়েছে, থোটামাল গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা বাড়ির কাজকর্ম সেরে গ্রামের শেষ প্রান্তে অস্থায়ী কুয়োতে কাপড়জামা ধুতে যাচ্ছিলেন ৷ মহিলাকে যেতে দেখে তাঁর দুই পুত্র সন্তান চঞ্চলেশ (7) এবং চিরাগ (5) মায়ের সঙ্গ নেয় ৷ বিচুয়া থানার আধিকারিক জানিয়েছেন, কুয়োর কাছাকাছি পৌঁছতেই ওই দুই শিশু কুয়োর দিকে দৌড় দেয় ৷ সেখানে গিয়ে জলে নেমে পড়ে তাঁরা ৷ কিন্তু, সাঁতার না-জানায় ডুবতে শুরু করে দু’জনে ৷ দুই ছেলেকে ডুবতে দেখে মহিলাও জলে ঝাঁপ দেন ৷ কিন্তু, জলের গভীরতা বেশি হওয়ায় তিনজনেই ডুবে মারা যান ৷
ঘটনার খবর পেয়ে বিচুয়া থানার পুলিশ গ্রামে পৌঁছয় ৷ সেখানে গ্রামবাসীদের সাহায্যে ওই দুই শিশু এবং মহিলার দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ গ্রামবাসীদের থেকে ঘটনা সম্পর্কে সব তথ্য নথিভুক্ত করেছে পুলিশ ৷ তিনজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ আজ অর্থাৎ, রবিবার দেহগুলির ময়নাতদন্ত হবে ৷
আরও পড়ুন: একে অপরকে বাঁচাতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু দুই মেয়ে ও বাবা'র
গ্রামবাসীরা এই ঘটনার জন্য জলের অভাবকেই দায়ী করেছেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, গরমে গ্রামে জলের অভাব প্রকট হয় ৷ গ্রামে যে ট্যাপ কল রয়েছে, সেখান জল খুব সামান্য আসে ৷ তাই জামাকাপড় ধোয়ার জন্য আশেপাশের অস্থায়ী কুয়োতে যেতে হয় মহিলাদের ৷ শনিবারেও ওই মহিলা জামাকাপড় ধুতে গ্রামের শেষ প্রান্তে থাকা অস্থায়ী কুয়োতে গিয়েছিলেন ৷ তার জেরেই এই চরম পরিণতি ৷