দিল্লি, 2 মার্চ : দিল্লি হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল দিল্লি পুলিশ। অত্য়ন্ত গোপনীয় একটি রিপোর্ট মিডিয়ার হাতে চলে যাওয়ায় দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়।
গত বছরের শুরুতেই দিল্লিতে হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় জামিয়া মিলিয়া ইসামিয়ার এক পড়ুয়াকে। যার নাম আশিফ ইকবাল তানহা।
গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় আশিফ। এরপর সেই জবানবন্দি মিডিয়ার কাছে চলে যায়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশও করে বেশ কিছু সংবাদমাধ্য়ম। আশিফের অভিযোগ, সেই রিপোর্ট বাইরে চলে যায় এবং তা নিয়ে অপব্য়াখ্যা করা হয়। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লি আদালত। তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দেয় আদালত।
আরও পড়ুন- দিল্লি হিংসায় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ
এরপরেই আজ সেই মামলার শুনানিতে আদালত দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। বলে, ওই মামলার তদন্ত রিপোর্ট "অপ্রয়োজনীয় তথ্য়" ও "অর্ধ সত্য"। সাধারণ ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট থেকেও এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আরও খারাপ। এবং তদন্ত রিপোর্ট ক্যুরিয়র না করে কেন হাতে হাতে পাঠানো হল সেবিষয়েও জানতে চায় আদালত। দিল্লি পুলিশ এ-বিষয়ে জানায়, তারা গোপন জবানবন্দি দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়েছিল। এর বাইরে অন্য় কোথাও পাঠায়নি তারা।
আদালত একটি রিপোর্ট দিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল বেশ কিছু তথ্য়। কিন্তু সেগুলি না পেয়ে, "সিনিয়র আই পি এস অফিসার থাকতেও কেন তারা তদন্ত করেননি। তাঁদের পরিবর্তে কে এই তদন্ত করেছে ? এই বিষয়ে কোনও কিছু তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ নেই।"