ETV Bharat / bharat

Congress Chinese link: চিনের টাকায় দেশ ভাগ করছে কংগ্রেস, রাহুলের প্রত্যাবর্তনের দিনে সংসদে অভিযোগ বিজেপি সাংসদের

সংসদে দাঁড়িয়ে নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেন, যে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' এবং কিছু মিডিয়ার নাম করা হয়েছে, যা ভারতবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য বহিরাগত শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে। এক্ষেত্রে সরাসরি রাহুল গান্ধি এবং সোনিয়া গান্ধিকেও আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ ৷

Etv Bharat
চিনের থেকে টাকা নিয়ে দেশ ভাগ করছে কংগ্রেস
author img

By

Published : Aug 7, 2023, 8:40 PM IST

নয়াদিল্লি, 7 অগস্ট: লোকসভায় রাহুল গান্ধির প্রত্যাবর্তনে যখন উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস, তখন পালটা হাত শিবিরের সঙ্গে চিনের সংযোগ নিয়ে সোচ্চার হল বিজেপি ৷ এই ইস্যুতে সোমবার সংসদেও বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করে বিজেপি ৷ যার জেরে মুলতুবিও হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশনও ৷

এদিন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে দেশকে 'বিভক্ত' করা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশবিরোধীদের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলেন ৷ যার জেরে এদিন দুপুর দু'টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, 'চিনা প্রোপাগান্ডা' নিয়ে কাজ করছে কংগ্রেস ৷ যা নিয়ে প্রথমসারির মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে, প্রতিবেদনে এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের নামও উল্লেখ করা রয়েছে, যা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত করছে ৷

সংসদে দাঁড়িয়ে নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেন, যে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' এবং কিছু মিডিয়ার নাম করা হয়েছে, যা ভারতবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য বহিরাগত শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেসকে অর্থ দিচ্ছে চিন। দুবের মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেস নেতারা 2016 সালে চিনের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিনের সঙ্গে কংগ্রেসের এই গোপন যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরে নিশিকান্ত দুবে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও তদন্ত চেয়েছেন। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, যে ডোকলাম অচলাবস্থার সময় রাহুল গান্ধি তৎকালীন চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আর তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ কক্ষ ৷ বিরোধী সদস্যরা বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের প্রতিবাদে হট্টগোল শুরু করলে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ ৷

  • Nishikant Dubey raises issue of Chinese Funding to NewsClick in Parliament.

    Alleged that Abhisar Sharma, Rohini Singh, Swati Chaturvedi recieved money.

    Rahul was sitting, didn't speak a word against Chinese funding. pic.twitter.com/blEfK7KZnB

    — Ankur Singh (@iAnkurSingh) August 7, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, "তারা (কংগ্রেস) চিনা বাহিনী এবং কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতকে বিভক্ত করতে চায় ৷" তাঁর আরও অভিযোগ, "2005 থেকে 2014, সংকটের সময় কংগ্রেস চিন থেকে অর্থ পেয়েছে। 2008 সালে তারা সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি উভয়কেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। 2016 সালে তারা ডোকলাম সঙ্কটের সময় চিনাদের সঙ্গেও কথা বলছিল ৷” তিনি কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এবং রণদীপ সুরজেওয়ালার নাম করেও এদিন অভিযোগ করেন ৷ তাঁর দাবি, যে এনওয়াইটি রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে মাওবাদী এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 137 দিন পর সংসদে ফিরলেন সাংসদ রাহুল, স্বাগত জানাল ‘ইন্ডিয়া’

কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন লোকসভার স্পিকারের কাছে দলের পক্ষে চিঠি লিখে লোকসভায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের 'মানহানিকর' মন্তব্যকে রেকর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিধি 380-এর অধীনে দাবি করছি যে তাঁর মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হোক লোকসভার রেকর্ড থেকে ৷ পাশাপাশি কীভাবে এই ধরনের অভিযোগ রেকর্ডে উত্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও তদন্ত করা হোক ৷"

নয়াদিল্লি, 7 অগস্ট: লোকসভায় রাহুল গান্ধির প্রত্যাবর্তনে যখন উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস, তখন পালটা হাত শিবিরের সঙ্গে চিনের সংযোগ নিয়ে সোচ্চার হল বিজেপি ৷ এই ইস্যুতে সোমবার সংসদেও বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করে বিজেপি ৷ যার জেরে মুলতুবিও হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশনও ৷

এদিন বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে দেশকে 'বিভক্ত' করা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশবিরোধীদের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলেন ৷ যার জেরে এদিন দুপুর দু'টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, 'চিনা প্রোপাগান্ডা' নিয়ে কাজ করছে কংগ্রেস ৷ যা নিয়ে প্রথমসারির মার্কিন সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেইসঙ্গে, প্রতিবেদনে এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের নামও উল্লেখ করা রয়েছে, যা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত করছে ৷

সংসদে দাঁড়িয়ে নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেন, যে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে 'টুকরে টুকরে গ্যাং' এবং কিছু মিডিয়ার নাম করা হয়েছে, যা ভারতবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য বহিরাগত শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেসকে অর্থ দিচ্ছে চিন। দুবের মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেস নেতারা 2016 সালে চিনের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চিনের সঙ্গে কংগ্রেসের এই গোপন যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরে নিশিকান্ত দুবে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও তদন্ত চেয়েছেন। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, যে ডোকলাম অচলাবস্থার সময় রাহুল গান্ধি তৎকালীন চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আর তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ কক্ষ ৷ বিরোধী সদস্যরা বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের প্রতিবাদে হট্টগোল শুরু করলে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ ৷

  • Nishikant Dubey raises issue of Chinese Funding to NewsClick in Parliament.

    Alleged that Abhisar Sharma, Rohini Singh, Swati Chaturvedi recieved money.

    Rahul was sitting, didn't speak a word against Chinese funding. pic.twitter.com/blEfK7KZnB

    — Ankur Singh (@iAnkurSingh) August 7, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, "তারা (কংগ্রেস) চিনা বাহিনী এবং কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতকে বিভক্ত করতে চায় ৷" তাঁর আরও অভিযোগ, "2005 থেকে 2014, সংকটের সময় কংগ্রেস চিন থেকে অর্থ পেয়েছে। 2008 সালে তারা সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি উভয়কেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। 2016 সালে তারা ডোকলাম সঙ্কটের সময় চিনাদের সঙ্গেও কথা বলছিল ৷” তিনি কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং এবং রণদীপ সুরজেওয়ালার নাম করেও এদিন অভিযোগ করেন ৷ তাঁর দাবি, যে এনওয়াইটি রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে মাওবাদী এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 137 দিন পর সংসদে ফিরলেন সাংসদ রাহুল, স্বাগত জানাল ‘ইন্ডিয়া’

কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন লোকসভার স্পিকারের কাছে দলের পক্ষে চিঠি লিখে লোকসভায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের 'মানহানিকর' মন্তব্যকে রেকর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমরা বিধি 380-এর অধীনে দাবি করছি যে তাঁর মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হোক লোকসভার রেকর্ড থেকে ৷ পাশাপাশি কীভাবে এই ধরনের অভিযোগ রেকর্ডে উত্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও তদন্ত করা হোক ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.