রত্নাগিরি (মহারাষ্ট্র), 24 অগস্ট : মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) চড় মারার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি ! আর সেই কারণেই বেকায়দায় পড়তে হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রাণেকে ৷ মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তবে রাতে তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিন পান তিনি ৷ উল্লেখ্য, এবারের স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়, এটা কত তম স্বাধীনতা দিবস, তা গুলিয়ে ফেলেন উদ্ধব ! আর তাঁর সেই আচরণকে হাতিয়ার করেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন রাণে ৷ ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কত সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটাই জানেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ৷ এটি কত তম স্বাধীনতা দিবস, তা জানতে পিছনে ঝুঁকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয় তাঁকে ৷ আমি যদি ওখানে উপস্থিত থাকতাম, তাহলে আমি ওঁকে (মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে) ঠাটিয়ে একটা চড় মারতাম !’’
আরও পড়ুন : criminal charges : ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত 363 জনপ্রতিনিধি, তালিকায় বিজেপির 83-তৃণমূলের 25
সোমবার রায়গড় জেলায় ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা’য় অংশগ্রহণের সময়েই উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন নারায়ণ রাণে ৷ আর তারপর থেকেই এ নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা ৷ রাণের মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হন অনেকেই ৷ তৎপর হয় পুলিশও ৷ বিজেপির দলীয় কর্মসূচির (জন আশীর্বাদ যাত্রা) মাঝেই তাঁকে পাকড়াও করে হেফাজতে নেয় রত্নাগিরি জেলার পুলিশ ৷ স্থানীয় সঙ্গমেশ্বর থানায় আটকে রাখা হয় তাঁকে ৷ সূত্রের খবর, এরপর থানাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ রাণের দাবি ছিল, তাঁর রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে ৷ হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জন্য সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করে পুলিশ ৷
পরবর্তীতে , গোটা ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয় ৷ তারই ভিত্তিতে রাণের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নাসিকের পুলিশ কমিশনার ৷ ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য ৷ মহারাষ্ট্রের নানা প্রান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি ও শিবসেনার কর্মীরা ৷ পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন রাণে ৷ বম্বে হাইকোর্টে (Bombay high court) রাণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর চ্যালেঞ্জ করেন তাঁর আইনজীবী ৷ মক্কেলের গ্রেফতারি ঠেকাতে রক্ষাকবচও দাবি করেন তিনি ৷ এফআরটি-কেও খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় রাণের তরফে ৷
আরও পড়ুন : Union Minister Narayan Rane: অপমানজক মন্তব্যের জন্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানেকে গ্রেফতার করতে বিশেষ টিম
এরপর বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং বিচারপতি এন জে জমাদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার অবিলম্বে শুনানির দাবি জানানো হয় ৷ কিন্তু বিচারপতিরা সেই মামলা শুনতে অস্বীকার করেন ৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল, মামলার দ্রুত শুনানি করাতে গেলে যেসব নিয়ম মানতে হয়, এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি ৷ তাই রাণের আইনজীবীকে আইন মাফিকই মামলার দ্রুত শুনানি আবেদন জানাতে বলেন তাঁরা ৷