বেঙ্গালুরু, 3 জুন : সাদা কাপড়ে মোড়া এবং তাতে একটা করে স্টিকারে সাঁটানো নম্বর ৷ এমনই অসংখ্য মাটির হাঁড়ি জমা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর সুমনাহাল্লি শ্মশানঘাটে ৷ এখানেই শেষকৃত্য করা হয় কোভিডে মৃত ব্যক্তিদের ৷ তাঁদের চিতাভষ্ম সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে এই হাঁড়িতে ৷ যাঁদের কোনও দাবিদার নেই ৷ বুধবার এই সমস্ত চিতাভষ্মই নদীতে বিসর্জন করা হয় ৷ যার সংখ্যা ছিল 1 হাজার 200 !
মর্মান্তিক এই দৃশ্যই স্পষ্ট করে দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই কতটা কঠিন ভারতের কাছে ৷ বুধবার কর্নাটকের কাবেরী নদীর তীরে যখন করোনা আক্রান্তদের চিতাভষ্ম বিসর্জন দেওয়া হচ্ছিল, সেই দৃশ্য ছিল হৃদয় বিদারক ৷ তথ্য বলছে, গত আট সপ্তাহেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গিয়েছে 1 লাখ 60 হাজার ভারতীয়র ৷ অতিমারির এই দাপট বেআব্রু করে দিয়েছে দেশের বেহাল চিকিৎসা পরিকাঠামো ৷
আরও পড়ুন : অটোয় চড়ে গ্রামে ফিরলেন করোনায় ‘মৃত’ বৃদ্ধা !
সূত্রের খবর, করোনায় যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সকলের পক্ষে কাছের মানুষের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি ৷ এমনকী, এঁদের একাংশ এতটাই দরিদ্র যে শ্মশানঘাটে আসার সামর্থটুকুও নেই ৷ এছাড়াও রয়েছে মৃত্য়ুভয় ৷ যিনি গেছেন, তাঁকে তো ফিরে পাওয়া যাবে না ৷ কিন্তু সেই মানুষটার শেষকৃত্যে অংশ নিতে গিয়ে যদি আবার কেউ আক্রান্ত হন ? যদি তাঁকেও হারাতে হয় ? এই ভয়েই অনেকে প্রিয়জনের শেষকৃত্যে সামিল হননি ৷