নয়াদিল্লি, 4 জুলাই : ফের একবার ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রকাশ করার অভিযোগ উঠল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে ৷ যেখানে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারতের বাইরে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর প্রথমবারের মত এবারও টুইটারের কেরিয়ার সেকশন ‘টুইপ লাইফ’এ সেটি পোস্ট করা হয়েছে ৷ আর এই ঘটনা নজরে আসতে ফের একবার নেট নাগরিকদের সমালোচনার মুখে পড়ল টুইটার কর্তৃপক্ষ ৷ ক্ষুব্ধ টুইটার ব্যবহারকারী ভারতীয়রা মাইক্রোব্লগিং সাইটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ৷
এর আগে গত 28 জুন টুইটারের কেরিয়ার সেকশন ‘টুইপ লাইফ’এ একই ভুল করেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ ৷ যে ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয় ৷ এমনকি বিষয়টিতে টুইটার ইন্ডিয়ার এমডি মণীশ মহেশ্বরী এবং নিউজ পার্টনারশিপ হেড অমৃতা ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে এফআইআর দায়ের করা হয় বজরং দলের তরফে ৷ সেই ঘটনায় এক সপ্তাহ না পেরোতেই ফের একবার একই ঘটনায় ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷
এক টুইটার ব্যবহারকারী এর সমালোচনায় লিখেছেন, ‘‘পাখির ডানা কেটে দাও! ফুর-ফুর করে খুব লাফাচ্ছে ৷’’ আরেক নেট নাগরিক টুইটারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির করার দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘ রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং প্রধানমন্ত্রী টুইটারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে কেন এত সংকোচ ? টেবিলের তলা দিয়ে কী এমন চুক্তি হয়েছে যে টুইটার এত সাহসী হয়ে উঠেছে ? দিনের পর দিন নৈরাজ্যবাদী আচরণ করে চলেছে ৷ ভারতের গণতান্ত্রিক মানচিত্রকে বিকৃত করছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন : Twitter : জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, টুইটার ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে কং
বিবেক মানে নামে এক টুইটার ব্য়বহারকারী লিখেছেন, ‘‘টুইটার আরও একবার তাদের ভারতের ভুল মানচিত্র দেখিয়ে তাদের আসল চেহারাটা প্রকাশ করে দিল ৷ আর আপনারা এখনও টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়ার অপেক্ষা করছেন ৷ এবার ওদের আসল জায়গাটা দেখানো দরকার ৷’’
আরও পড়ুন : মানচিত্র বিতর্কে ভারতে টুইটারের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর
এ নিয়ে মোট তিনবার ভারতের ভুল মানচিত্র প্রকাশ করেছে টুইটার ৷ এর আগে অক্টোবর 2020-তে ভারতের ভুল মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ সে বার ভারতরী ভূখণ্ডের অংশ লাদাখের লে-কে চিনের মানচিত্রের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ সে বার টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসে-কে সাবধান করে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল ভারত সরকার ৷ যে ঘটনায় টুইটারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ভারতের তরফে ৷
আরও পড়ুন : ভারতে টুইটারের অন্তর্বর্তী অভিযোগগ্রহণকারী আধিকারিকের ইস্তফা
আর বর্তমানে ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষের ৷ এমনকি এ নিয়ে সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফে টুইটার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছিল ৷ যেখানে সংস্থার কাছে নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ৷