সেওনি (মধ্যপ্রদেশ), 16 মে: 12 বছরের এক কিশোরকে ঠান্ডা মাথায় খুনের অভিযোগ তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে ৷ যাদের প্রত্যেকেই নাবালক ৷ যাদের মধ্যে একজনের বয়স 11 বছর ৷ এমনই হাড়হিম করা খুনের ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার বারঘাটে ৷ সোমবার সেওনি পুলিশের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে ৷ অভিযোগ রবিবারের ঘটনায় সাইকেলের চেন দিয়ে প্রথমে তার শ্বাসরোধ করা হয় ৷ এরপর পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ও ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে অভিযুক্ত 3 নাবালক ৷ এদের মধ্যে দুই ভাইও রয়েছে ৷
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাবালকরা খুনের পর কিশোরের দেহ একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বাড়ির কাছে পাথরের স্তূপের উপরে ফেলে দেয় ৷ তবে, ঘটনাটি জানাজানি হয় গত রবিবার ৷ যখন এক মহিলা প্লাস্টিকের ওই ব্যাগের উপর রক্তের দাগ দেখতে পান ৷ তিনি স্থানীয়দের এবং পুলিশকে বিষয়টি জানান ৷ এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তা খুলতেই তার ভিতর থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার করে ৷ পুলিশের অনুমান চারজনের মধ্যে আগে কোনও বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল ৷ আর সেই থেকে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটায় বাকি তিন নাবালক ৷
বারঘাট পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত নাবালকদের বয়স যথাক্রমে 16, 14 ও 11 বছর ৷ তাদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ রবিবার তিন অভিযুক্ত 12 বছরের কিশোরকে গ্রামের একটি শুনশান জায়গায় ডাকে ৷ জায়গাটি জেলা পুলিশের হেড কোয়ার্টার থেকে প্রায় 28 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৷ তিনি জানান, কিশোরকে রীতিমতো পেশাদার খুনিদের মতো পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ময়নার বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই
পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন নাবালক জানিয়েছে, কিশোরকে 2 জন পিছন থেকে চেপে ধরে এবং একজন সাইকেলের চেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে ৷ ব্যাথায় যখন সে চিৎকার করে ওঠে, তখন পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় ৷ এরপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মাংস কাটার জন্য ব্যবহার হওয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটেছে ওই তিনজন ৷ তবে, কীভাবে ওই তিন নাবালক ধরা পড়ল ? তা জানায়নি পুলিশ ৷ তিন অভিযুক্তকে আদালতের পেশ করা হলে বিচারক 14 দিনের জুভেনাইল কাস্টডির নির্দেশ দিয়েছেন ৷ পুলিশ পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে ৷