আগরা (উত্তরপ্রদেশ), 27 ডিসেম্বর: তাজমহল (Taj Mahal) যাতে রাত 10টার মধ্যে খুলে রাখা যায়, সেই প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) মন্ত্রী পরিষদের এক সদস্য । উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আগরায় কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী এসপি সিং বাঘেলের (Minister SP Singh Baghel) সভাপতিত্বে সোমবার সন্ধ্যায় কালেক্টরেট অডিটোরিয়ামে জেলা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক পরিষদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় । সেখানেই তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন ৷
কেন এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ? কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাজমহল যদি বছরের 365 দিন রাতে খোলা থাকে, তাহলে শহরে রাতের সংস্কৃতি বাড়বে । পর্যটকদের রাত্রি যাপনের ফলে পর্যটন ব্যবসা জমবে । কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে । তাজমহলের চারপাশে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ।’’
এছাড়া ওই বৈঠকে আরও অনেক প্রস্তাব রাখা ৷ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয় ৷ আলোচ্য বিষয়গুলি এখন রাজ্য সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি রামবাগ থেকে মেহতাব বাগ পর্যন্ত যমুনা রিভারফ্রন্ট নির্মাণের বিষয়ে জেলা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক পরিষদের বৈঠকে চুক্তি হয়েছে ।
অন্যদিকে পোকামাকড় ও মথ আসে না, এমন আলো তাজমহলের মধ্যে ব্যবহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । রামবাগ থেকে তাজমহল এবং রামবাগ থেকে দয়ালবাগ পর্যন্ত রিভারফ্রন্টের উন্নয়ন ছাড়াও ইতমাদ্দৌলা ফতেহপুর সিক্রি ও আগরা ফোর্টে একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো পরিচালনার কথা বলেছেন মন্ত্রী । বৈঠকে যমুনার ওপর ব্যারেজ নির্মাণের প্রস্তাবও পেশ করা হয় । কাউন্সিলের সদস্যরা এ ধরনের সব প্রস্তাবে সম্মত হন । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান যে শীঘ্রই এই প্রস্তাবগুলি কাউন্সিলের তরফে সরকারের কাছে পাঠানো উচিত ।
জেলা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভায় আলোচনা হয়, তাজমহলের পেছন দিকে নাগলা পাইমা গ্রামে ঘন জঙ্গল রয়েছে । সেখানে মালয়েশিয়ার আদলে নাইট সাফারি গড়ে তোলা যেতে পারে । যেখানে বন্য প্রাণীদেরও বাস । ফতেপুর সিক্রিতে তাজ মহোৎসবের অনুষ্ঠান আয়োজন করা উচিত ।
জেলা পর্যটন ও সাংস্কৃতিক পরিষদের বৈঠকে পর্যটন দফতর জানিয়েছে, জেলার বটেশ্বর, জৈন তীর্থস্থান শৌরীপুর, বটেশ্বর মন্দির কমপ্লেক্স, বটেশ্বর ইকো-ট্যুরিজম সাইট, স্পিরিচুয়াল আর্ট গ্যালারি, ফতেপুর সিক্রির সাহানপুর গ্রামের হাভেলি হনুমান মন্দির, কৈলাস মন্দির, ফতেহাবাদ তহসিলের শালা মেবলি খুর্দ এবং মুদ্গলপুরা গ্রামে প্রাচীন পুরামুদ্গল ঋষি প্রণীত মাতার মন্দির সংস্কার-সহ অন্যান্য প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে । এখানেও পর্যটনের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার কাজ করা হবে ।
আরও পড়ুন: সাক্ষী তাজমহল, হিন্দুমতে বিয়ে ইতালিয় দম্পতির