দিল্লি, 2 জানুয়ারি : আজ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে কোরোনার প্রতিষেধকের মহড়া । আগামী 6-8 মাসের মধ্যে ভারতের প্রায় 30 কোটি নাগরিককে কোরোনার প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র । শুরু করা হবে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশকর্মী ও অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধাদের নিয়ে ।
কীভাবে কোরোনা ভ্যাকসিনের বণ্টন হবে তা নিয়ে এতদিনে বিস্তর জল্পনা তৈরি হয়েছে । এবার জবাব দিলেন এইমসের ডিরেক্টর জেনেরাল রণদীপ গুলেরিয়া । যাঁদের শরীরে টিকাকরণের প্রয়োজন বেশি, তাঁদের যাতে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র । যে রোগীদের শরীরে কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের চিহ্নিতকরণের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন গুলেরিয়া ।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, " আমি একটি কমিটির সভাপতিত্ব করছি । আমরা কিছু মাপকাঠি তৈরি করেছি । কারও মধ্যে ডায়াবেটিস আছে কি না, বা কারও মধ্যে ক্রনিক রেনাল ডিজ়িজ় আছে কি না, বা কারও ক্রনিক রেসপিরেটরি ডিজ়িজ় আছে কি না । যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কাকে আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে, তা এই মাপকাঠির উপর নির্ভর করবে ।"
আরও পড়ুন : দত্তাবাদে কোরোনার প্রতিষেধকের মহড়া
উদাহরণস্বরূপ, ধরে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কেউ তবে নিয়ন্ত্রিত ডায়েটে এবং অন্য একজন 10 বছর ধরে ইনসুলিনে রয়েছেন । এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি ডায়াবেটিস বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন, ভ্যাকসিনের প্রয়োগের সময় তিনি অগ্রাধিকার পাবেন ।