নয়া দিল্লি, 26 অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি দ্রুত রেকর্ড করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সঙ্গে লখিমপুর খেরির হিংসাত্মক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলল সর্বোচ্চ আদালত ৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) এন ভি রামানার (N V Ramana) নেতৃত্বে বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice surya kant) এবং বিচারপতি হিমা কোহলির (Justice Hima Kohli) 3 সদস্যের এই বেঞ্চে লখিমপুর খেরি মামলার শুনানি চলছে ৷
মঙ্গলবার ঘটনার শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে হাজির ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে (Harish Salve) এবং আইনজীবী গরিমা প্রসাদ (Garima Prasad) ৷ 3 সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ যোগী সরকারের আইনজীবীদের সিআরপিসি-র (Code of Criminal Procedure, CrPC) 164 ধারায় (Section 164) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে লখিমপুর খেরির প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করতে বলেন ৷
বেঞ্চ আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়, "আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা বিচারককে নিকটবর্তী কোনও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সিআরপিসি-র 164 ধারার আওতায় প্রমাণ রেকর্ডের কাজটি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিচ্ছি ৷"
3 অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ ওঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ এদিন বেঞ্চ আইনজীবী সালভেকে ঘটনার ইলেকট্রনিক এভিডেন্স (electronic evidence) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর কথা জানান ৷
এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত রাজ্য সরকারকে সাংবাদিক রমন কাশ্যপ (Raman Kashyap) এবং শ্যাম সুন্দরের (Shyam Sundar) মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট ফাইল করার কথা জানিয়ে বলেন, "এই মামলায় রাজ্যকে আলাদা আলাদা করে রিপোর্ট ফাইল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ৷"
মঙ্গলবার শুনানিতে বেঞ্চ এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে বলে, "মামলায় হাজারে হাজারে কৃষক যাচ্ছিলেন এবং একটি ব়্যালি হচ্ছিল ৷ আর মাত্র 23 জন প্রত্যক্ষদর্শীই এখানে প্রত্যক্ষ সাক্ষী ?" উত্তরে আইনজীবী সালভে জানান, 68 জন প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে 164 ধারায় 30 জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ আরও কিছু করা বাকি আছে ৷ তিনি বলেন, "30 জন প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে 23 জন প্রত্যক্ষ সাক্ষী ৷"
এর আগে 20 অক্টোবর লখিমপুর খেরির হিংসাকাণ্ডের (Lakhimpur Kheri violence) তদন্ত পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ আদালত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে এই মামলা যেন কোনও ভাবে "অসমাপ্ত গল্প"-তে (unending story) পরিণত না হয় ৷ সেদিন 3 সদস্যের বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে "অহেতুক দেরি হচ্ছে" (dragging its feet) বলে তিরস্কার করে ৷ আদালতের তরফে পরবর্তী শুনানির দিন 8 নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে ৷