ETV Bharat / bharat

ব্রিটিশ আমলের দেশদ্রোহ বিরোধী আইন কেন বাতিল হবে না, কেন্দ্রকে সুপ্রিম প্রশ্ন - british era

দেশদ্রোহ সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে ৷ স্বাধীনতার পর 70 বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছে ৷ তার পরও কেন এই আইন বাতিল হয়নি ? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট ৷

supreme-court-ask-why-centre-not-repealing-british-era-sedition-law
ব্রিটিশ আমলের দেশদ্রোহ বিরোধী আইন কেন বাতিল হবে না, কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
author img

By

Published : Jul 15, 2021, 4:59 PM IST

নয়াদিল্লি, 15 জুলাই : যে আইনের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধি-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘চুপ’ করিয়ে রাখত ব্রিটিশ শাসকরা, সেই আইন স্বাধীন ভারতে কেন বলবৎ থাকবে ? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নই তুলল সুপ্রিম কোর্ট ৷ স্বাধীনতার পর 70 বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও কেন দেশদ্রোহ সংক্রান্ত এই আইন বাতিল করল না কেন্দ্রীয় সরকার ? এদিন এই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত ৷

সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা করা হয় ৷ সেখানে দেশদ্রোহ বিরোধী এই আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয় ৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিনের শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি এন বি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ৷ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এই আইনের ‘অপব্যবহার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছেন ৷ এই আইনে জামিন অযোগ্য় ধারায় গ্রেফতার করা হয় ৷ আর দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাজা হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৷

আরও পড়ুন : সংসদীয় কমিটির বৈঠক সেরে সোজা ককপিটে মোদির দলের সাংসদ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই মামলার শুনানির বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ঋষিকেশ রায় ৷ তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এই আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি আইনের 66এ ধারারও অপব্যবহার হচ্ছে ৷ যে আইনকে আগেই বাতিল করেছিল শীর্ষ আদালত ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটাকে একজন কাঠমিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে ৷ যাঁকে একটা কাঠ কাটতে বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি গোটা জঙ্গলই সাফ করে দিলেন ৷’’

প্রধান বিচারপতির মতে, কারও কথা যদি ভালো না লাগে, তাহলে এই আইন অনেকেই ব্যবহার করতে চাইবেন ৷ তাই স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন কেন্দ্র এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি ৷ তবে এই নিয়ে যে কোনও রাজ্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আদালত জানিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানের হাতে এই আইনের ব্যবহারের দায়িত্ব রয়েছে, তারাই এর অপব্যবহার করছে ৷ প্রত্যন্ত গ্রামে কোনও পুলিশ আধিকারিক যদি কোনও ব্যক্তিকে বিপাকে ফেলতে চায় ৷ তাহলে তিনি এই আইন ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারেন ৷

আরও পড়ুন : Post Poll Violence : সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন, আদালতকে সুপারিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এদিনের শুনানিতে ৷ যেখানে আদালতের তরফে চিন্তা ব্যক্ত করা হয়েছে যে এই আইনে ধৃতদের মধ্যে খুব সংখ্যকের এই বিচার শেষ হয়েছে ৷ এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আদালত মনে করে ৷ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যে এই আইনের অপব্যবহার রুখতে আদালত কোনও নিয়ম বেঁধে দিক ৷ একই দাবি এডিটর্স গিল্ডের তরফেও করা হয়েছে ৷

দেশদ্রোহ আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে ৷ তার মধ্যে একটি মামলা এডিটর্স গিল্ডের তরফে করা হয়েছে ৷ আবার একটি মামলা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এস জি ভোম্বাটকেরে ৷ তাঁর মামলা নিয়ে আদালতের বক্তব্য, যেহেতু তিনি সেনাবাহিনী থেকে দেশের জন্য সারা জীবন দিয়েছেন, তাই মামলা দায়ের নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলাই উচিত নয় ৷

আরও পড়ুন : Coronavirus India: দেশে আরও বাড়ল করোনার সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যু

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে এই ধরনের একটি মামলা দায়ের হয়েছিল ৷ সেখানে কেন্দ্রের উত্তর চাওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে ৷

নয়াদিল্লি, 15 জুলাই : যে আইনের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধি-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘চুপ’ করিয়ে রাখত ব্রিটিশ শাসকরা, সেই আইন স্বাধীন ভারতে কেন বলবৎ থাকবে ? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নই তুলল সুপ্রিম কোর্ট ৷ স্বাধীনতার পর 70 বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও কেন দেশদ্রোহ সংক্রান্ত এই আইন বাতিল করল না কেন্দ্রীয় সরকার ? এদিন এই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত ৷

সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা করা হয় ৷ সেখানে দেশদ্রোহ বিরোধী এই আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয় ৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিনের শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি এন বি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ৷ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এই আইনের ‘অপব্যবহার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছেন ৷ এই আইনে জামিন অযোগ্য় ধারায় গ্রেফতার করা হয় ৷ আর দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাজা হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৷

আরও পড়ুন : সংসদীয় কমিটির বৈঠক সেরে সোজা ককপিটে মোদির দলের সাংসদ

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই মামলার শুনানির বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ঋষিকেশ রায় ৷ তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এই আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি আইনের 66এ ধারারও অপব্যবহার হচ্ছে ৷ যে আইনকে আগেই বাতিল করেছিল শীর্ষ আদালত ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটাকে একজন কাঠমিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে ৷ যাঁকে একটা কাঠ কাটতে বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি গোটা জঙ্গলই সাফ করে দিলেন ৷’’

প্রধান বিচারপতির মতে, কারও কথা যদি ভালো না লাগে, তাহলে এই আইন অনেকেই ব্যবহার করতে চাইবেন ৷ তাই স্বাধীনতার এত বছর পরও কেন কেন্দ্র এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি ৷ তবে এই নিয়ে যে কোনও রাজ্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আদালত জানিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানের হাতে এই আইনের ব্যবহারের দায়িত্ব রয়েছে, তারাই এর অপব্যবহার করছে ৷ প্রত্যন্ত গ্রামে কোনও পুলিশ আধিকারিক যদি কোনও ব্যক্তিকে বিপাকে ফেলতে চায় ৷ তাহলে তিনি এই আইন ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারেন ৷

আরও পড়ুন : Post Poll Violence : সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন, আদালতকে সুপারিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এদিনের শুনানিতে ৷ যেখানে আদালতের তরফে চিন্তা ব্যক্ত করা হয়েছে যে এই আইনে ধৃতদের মধ্যে খুব সংখ্যকের এই বিচার শেষ হয়েছে ৷ এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আদালত মনে করে ৷ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যে এই আইনের অপব্যবহার রুখতে আদালত কোনও নিয়ম বেঁধে দিক ৷ একই দাবি এডিটর্স গিল্ডের তরফেও করা হয়েছে ৷

দেশদ্রোহ আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে ৷ তার মধ্যে একটি মামলা এডিটর্স গিল্ডের তরফে করা হয়েছে ৷ আবার একটি মামলা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এস জি ভোম্বাটকেরে ৷ তাঁর মামলা নিয়ে আদালতের বক্তব্য, যেহেতু তিনি সেনাবাহিনী থেকে দেশের জন্য সারা জীবন দিয়েছেন, তাই মামলা দায়ের নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলাই উচিত নয় ৷

আরও পড়ুন : Coronavirus India: দেশে আরও বাড়ল করোনার সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যু

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে এই ধরনের একটি মামলা দায়ের হয়েছিল ৷ সেখানে কেন্দ্রের উত্তর চাওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.