আমেদাবাদ, 20 জুলাই: গুজরাতে দু'টি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে 9 জনের মৃত্যু ৷ জখম 13 জন ৷ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল দুর্ঘটনায় জখমদের 50 হাজার টাকা এবং নিহতদের পরিবারকে 4 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত 1টা নাগাদ আমেদাবাদে ৷ সারখেজ-গান্ধিনগর হাইওয়ের ইসকন ফ্লাইওভারের কাছে একটি মাহিন্দ্রা থর গাড়ি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল ৷ ওই গাড়িটি ডাম্পারের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে ৷
এই দুর্ঘটনাটি দেখতে সেখানে আশপাশ থেকে মানুষজন ভিড় করে ওই দুর্ঘটনাস্থলে ৷ একটি জাগুয়ার গাড়িও তীব্র গতিতে আসছিল ৷ সেটি ওই ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সেখানেই উপস্থিত অনেককে পরপর ধাক্কা মারতে থাকে ৷ জানা গিয়েছে, গাড়িটির গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় 160 কিলোমিটারের আশপাশে ছিল ৷ ঘটনাস্থলেই 6 জনের মৃত্যু হয় ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার অভিঘাতে জাগুয়ার গাড়িটিও 25-30 ফুট দূরে ছিটকে যায় ৷
পুলিশের সহকারি কমিশনার (ট্র্যাফিক) এসজে মোদি জানিয়েছেন, একটি মাহিন্দ্রা থর গাড়ির সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষ হয় ৷ মাহিন্দ্রাটি সারখেজ-গান্ধিনগর হাইওয়ে দিয়ে ইসকন ব্রিজের দিকে যাচ্ছিল ৷ এই দুর্ঘটনাটি দেখতে বহু লোক ভিড় করে দুর্ঘটনাস্থলে ৷ এদিকে ওই সময়ই কর্ণাবতী ক্লাবের দিক থেকে একটি জাগুয়ার গাড়িও দুর্ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসছিল ৷ গাড়িটির গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় 160 কিলোমিটার ছিল ৷ সেটি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে ৷ ভিড়কে ধাক্কা মারে ৷ এতে ঘটনাস্থলেই 6 জনের মৃত্যু হয় ৷ তাঁরা গুজরাতের বোটাড এবং সুরেন্দ্রনগর জেলার বাসিন্দা ৷ পড়াশোনার জন্য আমেদাবাদে এসে থাকছিলেন ৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাতক জাগুয়ার গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়েছে ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে দু'জন পুলিশ কর্মী ৷
আরও পড়ুন: ট্রাক ও জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত 6
আহতদের স্থানীয় সোলা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আপাতত, সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷ পুলিশের উচ্চাধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ৷ তাছাড়া পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে জাগুয়ারে এক মহিলাও ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷