বক্সার, 24 জুন: ফের একবার বিহারের বক্সারে গঙ্গায় ভাসতে দেখা গেল মরদেহ ৷ চৌসা ব্লকের অন্তর্গত মহাদেব গঙ্গাঘাটে একসঙ্গে চারটি দেহকে ভাসতে দেখা যায় শনিবার। কুকুরের দল সেই দেহগুলিকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে । মনে করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহের জেরে রাজ্যে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ শ্মশানে ভিড়ের ঠেলায় দেহ পোড়াতে দেরি হচ্ছিল ৷ তাই আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা দেহ গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে । নদীতে স্রোত তেমন না-থাকায় দেহগুলি ঘাটের কাছে চলে এসেছে ।
ফিরল করোনা সময়কালের দৃশ্য : গঙ্গা নদীতে একসঙ্গে চারটি দেহ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । করোনা সময়কালের দৃশ্য মনে করতে শুরু করেছে জেলার বাসিন্দাদের । সেখানে 10 মে, 2020 সালে গঙ্গা নদীতে একসঙ্গে শত শত দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল । সেই সময় বিহার সরকার বলেছিল দেহগুলিকে উত্তরপ্রদেশের মানুষের ৷ অপরদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল ওই দেহগুলি বিহারের লোকেদের ৷ কিন্তু যারা মারা গিয়েছিলেন তারা এই দেশের বাসিন্দা । সেই ঘটনার পর তিন বছর পার হলেও দেহগুলি কাদের ছিল, সরকার এখনও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেনি ৷ ফলত তাদের মৃত্যুর কারণও জানতে পারা যায়নি ।
গঙ্গার ঘাটে উপস্থিত গ্রামবাসীরা জানান, এই একই গঙ্গার ঘাট করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় একসঙ্গে শতাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল । এই দেহগুলি নিয়ে বিহার সরকারের ভূমিকার উপর প্রশ্ন উঠেছিল । প্রশাসনিক আধিকারিকরা রাতারাতি সমস্ত দেহ নদী থেকে তুলে ময়নাতদন্ত শেষে গঙ্গা ঘাটেই মাটিতে পুঁতে দেয় । আজ আবারও নদীর ঘাটে চারটি দেহ মিলেছে । প্রচণ্ড গরমে অনেকে মারা গিয়েছে ৷ তাদের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের দেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়ারা জানান ।
আরও পড়ুন: উন্নাওয়ে গঙ্গায় ভাসছে সারি সারি দেহ, অস্বীকার জেলা প্রশাসনের
সরকারি আধিকারিকরা অবগত নন: এ প্রসঙ্গে চৌসার জোনাল অফিসার ব্রিজবিহারী কুমারের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, এ ধরনের ঘটনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি । মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে । নদীতে দেহ ভাসানোর ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ।