নয়াদিল্লি, 9 ফেব্রুয়ারি: আদানিকাণ্ডে রুজু হওয়া আরও একটি জনস্বার্থ মামলা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট (SC agrees to hear PIL on Adani Controversy) ৷ সংশ্লিষ্ট মামলায় দাবি করা হয়েছে, মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটির গড়ে তোলা হোক ৷ সেই কমিটির মাথায় থাকুন শীর্ষ আদালতেরই কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ৷ আর কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই কমিটি গঠন করে, তাদের সেই নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই মামলা শুনবে ৷ শুক্রবার (10 ফেব্রুয়ারি, 2023) এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷
সংশ্লিষ্ট মামলাটি রুজু করেছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি শোনার আবেদন জানান তিনি ৷ তাঁর আর্জি ছিল, এই মামলাটির যেন জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করা হয় ৷ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই দাবি মেনে নিয়েছে ৷ আবেদনের 24 ঘণ্টার মধ্যেই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷ এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি পি এস নরোশিমা এবং বিচারপতি জে বি পরদিওয়ালা ৷
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের আগেও আদানিদের বিরুদ্ধে বেনিয়মের রিপোর্ট বেরিয়েছে ভারতে, দাবি পরঞ্জয় গুহঠাকুরতার
আইনজীবী তিওয়ারি এদিন আদালতকে আরও জানান, এই একই ইস্যুতে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ সেই মামলাটির শুনানি 10 ফেব্রুয়ারি করা হবে ৷ পাশাপাশি, শুক্রবারই আদানি ইস্যুতে আরও একটি মামলা রুজুর আবেদন করা হবে ৷ আইনজীবী তিওয়ারির বক্তব্য ছিল, আদানি-বিতর্কের জেরে সারা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং শেয়ারবাজারে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্য়েই একটি মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ যার শুনানি হবে 10 ফেব্রুয়ারি ৷ তাই একই ইস্যুতে রুজু করা তাঁর মামলাটিও একই দিনে একসঙ্গে শোনা হোক ৷ আদালত আইনজীবীর এই আবেদন মেনে নিয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে আদানি ইস্যুতে অন্য জনস্বার্থ মামলাটি রুজু করেছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা ৷
একইসঙ্গে, এদিন আদালতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আবেদন করেছেন আইনজীবী তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, এবার থেকে যেকোনও বড় এবং নামজাদা শিল্পসংস্থা বা কর্পোরেট হাউসকে 500 কোটি টাকার বেশি মূল্য়ের ঋণ দেওয়ার আগে ভালোভাবে সেই আবেদন যাচাই করে দেখা হোক ৷ এর জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হোক ৷ সেই কমিটির কাজ হবে, ঋণের আবেদন এবং তা মঞ্জুর করার প্রক্রিয়ার উপর নজরদারি চালানো ৷