রিয়াদ, 23 মে : গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বাড়ছে আর সেই কারণে সৌদি আরব আপাতত ভারত-সহ ষোলটি দেশে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে (Saudi Arabia bans travel) । ভারত ছাড়া সৌদি আরব তাদের নাগরিকদের যে দেশগুলিতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলির নাম লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, এবং ভেনিজুয়েলা ৷
জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছে যে, দেশে আর কোনও মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) ঘটনা সামনে আসেনি ৷ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যদি কোনও এমন সংক্রমণ দেখা দেয় তা মোকাবিলা করতে দেশ সবসময় তৈরি ৷ এখনও পর্যন্ত মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনাগুলি খুব সীমিত ৷ এটিকে নিয়ে ভয় পাবার কোনও কারণ নেই ৷
ইতিমধ্যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO) 11টি দেশে মাঙ্কিপক্সের 80টি ঘটনা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে তারা এই রোগের কারণ, লক্ষণ ও নিরাময়ের বিষয়গুলি জানার জন্য় চেষ্টা চালাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স ? নাকি ভয়ের ততখানি কিছু নেই জেনে নিন বিস্তারিত
শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে হু (WHO) বলেছে, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং প্রাইমেট জাতীয় বন্য প্রাণীর থেকে মানুষের মধ্য়ে ছড়িয়ে পড়ে ৷ বিশেষত তরুণদের মধ্য়ে মাঙ্কিপক্সের বেশ কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত করেছে ইউরোপিয়ান অ্যান্ড আমেরিকান হেলথ অথোরিটিস ৷ সাধারণত আফ্রিকার বাইরে কিন্তু এই রোগের প্রাদুর্ভাব সেভাবে চোখে পড়ে না ৷ কিন্তু এইবার সাম্প্রতিককালে আফ্রিকায় যাননি এমন বেশ কিছু ব্যক্তির মধ্যেও এই রোগের লক্ষণ দেখা গিয়েছে ৷ যার জেরে বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ৷ তবে তাঁদের মতে, এমতাবস্থাতেও এই রোগ জনসাধারণের মধ্য়ে বিশাল আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুবই কম ৷
এই রোগটির মূল জন্মস্থান আফ্রিকা ধরা যেতে পারে ৷ মধ্য় এবং পশ্চিম আফ্রিকাতেই বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন ৷ 1958 সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন ৷ বানরদের মধ্য়ে পক্সের মত একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখে তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা ৷ এই জন্যই রোগটির নাম দেওয়া হয় মাঙ্কিপক্স ৷ 1970 সালে প্রথম মানুষের দেহে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় ৷ কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে 9 বছরের একটি বাচ্চা প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয় ৷