বক্সার, (বিহার), 12 মে : বয়ে চলেছে নদী, তার সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে একটা নয়, দুটো নয়, প্রায় 40 থেকে 50 টার মতো মৃতদেহ ৷ সোমবার বিহারের বক্সারে গঙ্গায় এমন দৃশ্যে আঁতকে উঠেছিল গোটা দেশ ৷ কোথা থেকে আসছে, কারাই বা নদীতে ফেলে যাচ্ছে এই দেহগুলো, তাহলে কি করোনাআক্রান্ত দেহগুলো সৎকার করতে ভয় পাচ্ছে লোকজন, এমনই নানাবিধ প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল সাধারণ মানুষ-সহ পুলিশি মহল ৷ এবার হাতেনাতে ধরা পড়লেন বিহারি সাউ ৷
মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর প্রদেশের বড়া নগর পঞ্চায়েত এলাকার গঙ্গা নদীতে কেউ একজন ছুড়ে ফেলছিলেন একের পর এক মৃতদেহ ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ ৷
ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "আমার নাম বিহারি সাউ আর বাবার নাম দেহারি ৷ আমিই নদীতে দেহগুলো ফেলে দিচ্ছিলাম ৷ এখনও পর্যন্ত ছটা মৃতদেহ নদীতে ফেলেছি, আরও বেশ কিছু দেহ নদীতে ফেলতে বলা হয়েছে আমাকে ৷"
আরো পড়ুন: বেলাগাম করোনা ! দেশে একদিনে সর্বাধিক 4205 মৃত, বাড়ল দৈনিক সংক্রমণও
কে করতে বলেছে তাঁকে এই কাজ ? উত্তরে তিনি জানান, বড়া থানার আধিকারিকরা নাকি তাঁকে বলেছেন ৷ আর সংবাদমাধ্যমের লোকজন ওই জায়গা ছেড়ে চলে গেলে তিনি আরও অনেক মৃতদেহ ফেলবেন ৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বক্সারের ডিএম অমন সমীর জানান, পোড়ানোর কাঠ নেই অথবা গরিবদের মরা পোড়ানোর সামর্থ্য নেই বলে যে বক্সারের গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলা হচ্ছে, এটা মিথ্যে খবর ৷
যাই হোক, মঙ্গলবার আবার একই দৃশ্য দেখা যায় উত্তর প্রদেশের বাল্লিয়া আর গাজিপুর জেলার গঙ্গায় ৷ বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয়কুমার ঝায়ের বক্তব্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত অন্ততপক্ষে 71 টি পচা গলা মৃতদেহ কোনও রকমে বক্সারের গঙ্গা থেকে তুলে তাদের শেষকৃত্য করা হয়েছে ৷
তবু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে, বিহারি সাউ ধরা পড়লেও এভাবে নদীতে কেন ফেলা হচ্ছে মৃতদেহ ? আর তাঁর এই বক্তব্য কি আদৌ সত্য ?