ETV Bharat / bharat

খুচরো ব্যবসার সহায়তা প্রয়োজন ?

author img

By

Published : Jan 19, 2021, 2:22 PM IST

রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (রাই) দাবি তুলেছে, যদি খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়, তাহলে কেন্দ্রকে বাজেটে সহায়তা দিতে হবে । সংগঠনের তরফ থেকে আসন্ন বাজেটে রিটেল ক্ষেত্রের জন্য সাধারণ কার্যপ্রণালীর দাবি তোলা হয়েছে ।

loan
loan

মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণের রথের চাকার মতো, বহু ক্ষেত্রেই ধস নেমেছে কোরোনার জেরে । তার মধ্যে একটা খুচরো ব্যবসা । অসংখ্য সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যে খুচরো ব্যবসাক্ষেত্রের বৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু এই ক্ষেত্রকে বিপর্যস্ত করেছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এই মহামারী ।

40 হাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের জোট, কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স গত বছরের জুলাইতেই ঘোষণা করে, যে লকডাউনের প্রথম 100 দিনেই তাদের 15.5 লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । যদিও ধাপে ধাপে আনলকিংয়ের পর দোকানগুলো আবার চালু হয়েছে, কিন্তু হারানো ছন্দ এখনও না ফেরায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ ।

রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (রাই) দাবি তুলেছে, যদি খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়, তাহলে কেন্দ্রকে বাজেটে সহায়তা দিতে হবে । সংগঠনের তরফ থেকে আসন্ন বাজেটে রিটেল ক্ষেত্রের জন্য সাধারণ কার্যপ্রণালীর দাবি তোলা হয়েছে । ক্রেতাদের জিনিস কেনাই হল দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এবং খুচরো ব্যবসাই এর প্রবেশপথ । রাই-এর দাবির মূল বক্তব্য, খুচরো ব্যবসা তখনই শক্তিশালী হতে পারে, যদি তার বৃদ্ধির পথের নীতিগত বাধাগুলো সরানো যায়, এবং এর উন্নয়নের জন্য অর্থবরাদ্দ করা হয় । রাই চাইছে, গোটা দেশের জন্য একটা খুচরো ব্যবসা নীতি প্রণয়ন করা হোক, এবং দ্রুত কার্যকর করা হোক । তারা খুচরো ব্যবসাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মর্যাদা এবং কিরণ স্টোর্সের ডিজিটাইজেশনের জন্য মুদ্রা যোজনার অধীনে অর্থসাহায্য চাইছে । এটাই উপযুক্ত সময়, যখন কেন্দ্রকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে । সমীক্ষা বলছে, যে একটা সার্বিক জাতীয় খুচরো ব্যবসা নীতি যদি প্রণয়ন করা যায়, তাহলে 2014 সালের মধ্যে প্রায় 30 লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে ।

আরও পড়ুন : অরুণাচলপ্রদেশে গ্রাম তৈরি চিনের, ধরা পড়ল স্যাটেলাইটে

বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ক্ষেত্রে খুচরো ব্যবসার পরিমাণ, 2017 সালে 79500 কোটি টাকা থেকে বেড়ে, 2026 সালে 1.75 লাখ কোটি টাকা হবে । জিডিপির শতাংশ দখল করে আছে এই খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্র । দেশের প্রায় 8 শতাংশ কর্মসংস্থান এখানেই তৈরি হয় । কিন্তু খুচরো ব্যবসার 88 শতাংশই রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় । এই কারণেই রিটেল ক্ষেত্র জিডিপিতে আরও যোগদান রাখতে পারে না, যেমনটা পারে মালয়েশিয়া আর থাইল্যান্ড ।

লকডাউনের সময় অর্থের জোগানে ঘাটতির জেরে প্রায় 7 লাখ দোকান বন্ধ হয়ে যায় । এতেই বোঝা যায় যে চাহিদা ও সরবরাহে বাধার থেকেও এই সমস্যা আরও গভীর । অন্যদিকে কেন্দ্র বলছে, যে তারা জাতীয় খুচরো ব্যবসা নীতি প্রণয়ন প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে । যার লক্ষ্য ব্যবসা আরও সহজ করতে উৎসাহ দেওয়া, নিয়মকানুন শিথিল করা, ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করা এবং ইন্টারনেটের সুবিধা আরও ভালভাবে নেওয়া ।

আরও পড়ুন : 14 লাখ টাকা সমেত ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার যুগল

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর আক্ষেপ, যে একটা দোকান খুলতে গেলে 16 থেকে 25 টা লাইসেন্স নিতে হয় । বিভিন্ন রাজ্যে এই লাইসেন্স বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে । ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো চায় একটা সিঙ্গল উইন্ডো ছাড়পত্র, এবং তাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে । তারা চায়, যাতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য অর্থবরাদ্দ এবং ছাড় দেওয়া হয় ।

গুদামঘর, কোল্ড স্টোরেজ এবং পর্যাপ্ত পরিবহণ পরিষেবার অভাব প্রায় 8 শতাংশ খরচ বাড়িয়ে দেয় । খুচরো ব্যবসা তখনই সফল হতে পারে, যখন কেন্দ্রীয় নীতি এধরণের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাইবে ।

মহাভারতের যুদ্ধে কর্ণের রথের চাকার মতো, বহু ক্ষেত্রেই ধস নেমেছে কোরোনার জেরে । তার মধ্যে একটা খুচরো ব্যবসা । অসংখ্য সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যে খুচরো ব্যবসাক্ষেত্রের বৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু এই ক্ষেত্রকে বিপর্যস্ত করেছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এই মহামারী ।

40 হাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের জোট, কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স গত বছরের জুলাইতেই ঘোষণা করে, যে লকডাউনের প্রথম 100 দিনেই তাদের 15.5 লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । যদিও ধাপে ধাপে আনলকিংয়ের পর দোকানগুলো আবার চালু হয়েছে, কিন্তু হারানো ছন্দ এখনও না ফেরায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ ।

রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (রাই) দাবি তুলেছে, যদি খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হয়, তাহলে কেন্দ্রকে বাজেটে সহায়তা দিতে হবে । সংগঠনের তরফ থেকে আসন্ন বাজেটে রিটেল ক্ষেত্রের জন্য সাধারণ কার্যপ্রণালীর দাবি তোলা হয়েছে । ক্রেতাদের জিনিস কেনাই হল দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি এবং খুচরো ব্যবসাই এর প্রবেশপথ । রাই-এর দাবির মূল বক্তব্য, খুচরো ব্যবসা তখনই শক্তিশালী হতে পারে, যদি তার বৃদ্ধির পথের নীতিগত বাধাগুলো সরানো যায়, এবং এর উন্নয়নের জন্য অর্থবরাদ্দ করা হয় । রাই চাইছে, গোটা দেশের জন্য একটা খুচরো ব্যবসা নীতি প্রণয়ন করা হোক, এবং দ্রুত কার্যকর করা হোক । তারা খুচরো ব্যবসাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মর্যাদা এবং কিরণ স্টোর্সের ডিজিটাইজেশনের জন্য মুদ্রা যোজনার অধীনে অর্থসাহায্য চাইছে । এটাই উপযুক্ত সময়, যখন কেন্দ্রকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে । সমীক্ষা বলছে, যে একটা সার্বিক জাতীয় খুচরো ব্যবসা নীতি যদি প্রণয়ন করা যায়, তাহলে 2014 সালের মধ্যে প্রায় 30 লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে ।

আরও পড়ুন : অরুণাচলপ্রদেশে গ্রাম তৈরি চিনের, ধরা পড়ল স্যাটেলাইটে

বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় ক্ষেত্রে খুচরো ব্যবসার পরিমাণ, 2017 সালে 79500 কোটি টাকা থেকে বেড়ে, 2026 সালে 1.75 লাখ কোটি টাকা হবে । জিডিপির শতাংশ দখল করে আছে এই খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্র । দেশের প্রায় 8 শতাংশ কর্মসংস্থান এখানেই তৈরি হয় । কিন্তু খুচরো ব্যবসার 88 শতাংশই রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় । এই কারণেই রিটেল ক্ষেত্র জিডিপিতে আরও যোগদান রাখতে পারে না, যেমনটা পারে মালয়েশিয়া আর থাইল্যান্ড ।

লকডাউনের সময় অর্থের জোগানে ঘাটতির জেরে প্রায় 7 লাখ দোকান বন্ধ হয়ে যায় । এতেই বোঝা যায় যে চাহিদা ও সরবরাহে বাধার থেকেও এই সমস্যা আরও গভীর । অন্যদিকে কেন্দ্র বলছে, যে তারা জাতীয় খুচরো ব্যবসা নীতি প্রণয়ন প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে । যার লক্ষ্য ব্যবসা আরও সহজ করতে উৎসাহ দেওয়া, নিয়মকানুন শিথিল করা, ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করা এবং ইন্টারনেটের সুবিধা আরও ভালভাবে নেওয়া ।

আরও পড়ুন : 14 লাখ টাকা সমেত ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার যুগল

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর আক্ষেপ, যে একটা দোকান খুলতে গেলে 16 থেকে 25 টা লাইসেন্স নিতে হয় । বিভিন্ন রাজ্যে এই লাইসেন্স বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে । ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো চায় একটা সিঙ্গল উইন্ডো ছাড়পত্র, এবং তাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে । তারা চায়, যাতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য অর্থবরাদ্দ এবং ছাড় দেওয়া হয় ।

গুদামঘর, কোল্ড স্টোরেজ এবং পর্যাপ্ত পরিবহণ পরিষেবার অভাব প্রায় 8 শতাংশ খরচ বাড়িয়ে দেয় । খুচরো ব্যবসা তখনই সফল হতে পারে, যখন কেন্দ্রীয় নীতি এধরণের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাইবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.