দিল্লি, 29 জানুয়ারি: সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে হিংসার ঘটনার পর থেকে লালকেল্লার কিছু পুরাকীর্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । ভেঙে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি লাইট। শুধু তাই নয় একটি তথ্যকেন্দ্রে এবং সাধারণতন্ত্র দিবসের কয়েকটি ট্যাবলোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ''সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের পর সব ট্যাবলো লালকেল্লা প্রাঙ্গণে রাখা ছিল। মানুষ যাতে সেগুলি দেখতে পারে, সে জন্য 15দিন সেগুলি প্রকাশ্যে রাখা হয়। ওখানে গিয়ে দেখলাম সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে ট্যাবলোগুলি ভাঙা হয়েছে তার মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রক ও রাম মন্দিরের ট্যাবলোও রয়েছে।''
পুরাকীর্তি নিখোঁজ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রহ্লাদ। তিনি জানান, অমূল্য দুটি পিতলের পাত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর কথায়, ''পুরাকীর্তিগুলি অমূল্য। আমরা আর্থিক ক্ষতি পরিমাপ করতে পারি কিন্তু যে পুরাকীর্তিগুলি হারিয়েছে, সেই লোকসান কি পরিমাপ করা যায়? এটা বিরাট ক্ষতি।'' গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করে এএসআই-এর থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ''পেরিফেরাল লাইটগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একতলার তথ্যকেন্দ্রে ও যেখানে তেরঙা ওড়ে সেই এলাকায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুরাকীর্তির মধ্যে পিতলের দুটি পাত্রও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।''
আরও পড়ুন: নতুন কৃষি আইনে কৃষকরা লাভবান হবেন : রাষ্ট্রপতি
যাঁরা সেগুলি চুরি করেছে বলে প্রমাণিত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রহ্লাদ।
লালকেল্লা 27 জানুয়ারি থেকে 31 জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এএসআই।