ETV Bharat / bharat

Railway Safety Drives: টনক নড়ল রেলের, দুর্ঘটনা এড়াতে সেফটি ড্রাইভ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ

কয়েকমাসের মধ্যে একাধিক দুর্ঘটনায় প্রশ্নচিহ্নের মুখে ভারতীয় রেল ৷ তড়িঘড়ি এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে পদক্ষেপ নিল রেল কর্তৃপক্ষ ৷ সেফটি ড্রাইভ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।

ETV Bharat
ভারতীয় রেল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 1, 2023, 12:00 PM IST

নয়াদিল্লি, 1 নভেম্বর: পরপর দুর্ঘটনার জেরে একাধিক প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল ৷ বড়সড় প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তাও। এরই মধ্যে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশে ফের দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কমপক্ষে 14 জনের ৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে বোর্ড 31 অক্টোবর থেকে আগামী দুই সপ্তাহ সকল বিভাগে সেফটি ড্রাইভ পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ 30 অক্টোবর রেলওয়ে সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, SPADs (Signal Passed at Danger) অর্থাৎ, বিপদের সংকেত ও সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সতর্কতার পাশাপাশি বিধিবদ্ধ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ৷ ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রোটোকলগুলির প্রয়োগকে শক্তিশালী করার জন্য একটি সংকল্প নেওয়া হয়েছে ৷

রেলওয়ে বোর্ড এই সেফটি ড্রাইভে 23টি নিরাপত্তার দিক তালিকাভুক্ত করেছে ৷ ট্রেন চালানোর সময় জোনাল রেলওয়েকে এগুলির উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও অফিসার ও লোকো ইন্সপেক্টরদের ট্রেনের ইঞ্জিনগুলি ঘুরে দেখতে হবে ৷ বিশেষ করে রাতে রেলকর্মীরা নিরাপত্তার নিয়মগুলি ঠিকমতো মেনে চলছে কি না, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

লোকো ইন্সপেক্টরদের শারীরিকভাবে পরীক্ষা করতে হবে ৷ ভয়েস ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে হবে ৷ লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলটরা এগুলি ব্যবহার করে সবাইকে ডাকছেন কিনা, তা দেখতে হবে ৷ ট্রেন চালানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ম মেনে একে অপরকে জোরে ও স্পষ্টভাবে সংকেত দিচ্ছে কিনা, এই সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ৷ ট্রেন চালানোর সময় কর্মীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন কি না তা দেখতে হবে লোকো ইন্সপেক্টরদের ৷ কারণ ট্রেন চালানোর সময় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ৷

আরও পড়ুন : অন্ধ্রে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত কমপক্ষে 6

রেলওয়ে বোর্ড চায়, হলুদ সিগন্যাল ও গ্রেডিয়েন্টে ট্রেন পরিচালনা করার ক্ষমতার জন্য কর্মীদের বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হোক ৷ যাতে তারা লাল সংকেতগুলিতে অবিলম্বে ট্রেন থামাতে পারে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র অফিসার জানান, রেলের চিঠিটি লোকো ইন্সপেক্টরদের দেখতে বলেছে যে যেখানে সিগন্যালগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের পাসের মাধ্যমে কাজ করে, সেখানে কর্মীরা কীভাবে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্লক সিস্টেমে ট্রেনটিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ বোর্ড জোনগুলিকে কর্মীদের নিরীক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে । যেখানে সমস্ত গতির বিধিনিষেধগুলি সাবধানতার সঙ্গে অনুসরণ এবং বিভিন্ন ধরণের লোডের জন্য সঠিক ব্রেকিং কৌশল ব্যবহার করছে কিনা তা দেখা হবে।

তবে কর্মীদের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে । সেক্ষেত্রে বোর্ড, জোনগুলিকে দেখতে বলেছে যে কর্মীদের জন্য গুণগত পারিবারিক কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা, তারা যথাযথ বিশ্রাম পায় কিনা । অস্বাভাবিক ঘটনা ও কর্মীদের রিপোর্ট করা অভিযোগগুলি সময়মতো সমাধান করা হয়েছে কিনা ৷ সমস্ত বিভাগকে তাদের সিস্টেমে ট্রেন চলাচলের সাপ্তাহিক অগ্রগতির রিপোর্ট আপলোড করতে হবে ৷

আরও পড়ুন : ক্যামেরাবন্দি করমণ্ডলে দুর্ঘটনার মুহূর্ত, ভাইরাল শিউরে ওঠার মত ভিডিয়ো

কিন্তু ট্রেন চালকদের ইউনিয়নগুলি খুব কম সময়ের মধ্যে পর পর দুটি বড় দুর্ঘটনায় বোর্ডের এই উদ্যোগকে মুখরক্ষার পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করেছে ৷ তারা জানিয়েছে, বেশিরভাগ বিভাগে লোকো পাইলটের 10 থেকে 15 শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে এবং প্রায় একই শতাংশ সেই সমস্ত ট্রেন চালকদের যারা 12 ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য হন । ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংম্যান অর্গানাইজেশনের (আইআরএলআরও) কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি 2010 সালে RTI আইনের অধীনে একটি আবেদনের জন্য রেলওয়ে বোর্ডের একটি প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছিলেন ৷ যেখানে বোর্ড স্বীকার করেছিল যে ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের পর বিরতির কোনও ব্যবস্থা নেই ট্রেন চালকদের জন্য ৷

পান্ধির কথায়," আজও পরিস্থিতি বদলায়নি । রেলওয়ের কর্মঘণ্টার নির্দেশিকাতে 'অতিপ্রয়োজনীয়' বলে বিষয় আছে কেবল তাদের জন্য । তারা অতি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমার বাইরে রেল কর্মীদের ব্যবহার করতে পারে ৷ যেখানে যাত্রীদের এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে নিয়ে যাওয়াই একটা জরুরি বিষয় ৷ এরপরেও একটি জরুরি ধারার কথা বলে, ড্রাইভারদের প্রায়ই 15 ঘন্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করতে বলা হয় ৷ একজন চলমান কর্মীদের কীভাবে মুক্ত করা যায় এবং তাদের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব কার কাছে রয়েছে সে সম্পর্কে রেলের কোনও সঠিক নির্দেশিকা নেই ।"

পান্ধি 2023 সালের মে মাসে কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের সময় সম্পর্কিত আমেদাবাদ রেলওয়ে বিভাগের একটি সার্কুলারও উদ্ধৃত করেছেন, যাতে দেখা গিয়েছে যে 23 শতাংশ কর্মী 12 ঘন্টারও বেশি কাজ করেছিলেন ৷ নাইট ডিউটির ক্ষেত্রে কোনও সময় নেই ৷ ড্রাইভাররা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বিরতি নিতে পারে না ৷ কারণ অনেক ইঞ্জিনে কোনও ওয়াশরুম নেই ৷ বোর্ডকে এই দিকগুলিতেও নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন পান্ধি ।

আরও পড়ুন : হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন ! পুড়ল 6টি বগি

নয়াদিল্লি, 1 নভেম্বর: পরপর দুর্ঘটনার জেরে একাধিক প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল ৷ বড়সড় প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তাও। এরই মধ্যে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশে ফের দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কমপক্ষে 14 জনের ৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে বোর্ড 31 অক্টোবর থেকে আগামী দুই সপ্তাহ সকল বিভাগে সেফটি ড্রাইভ পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ 30 অক্টোবর রেলওয়ে সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, SPADs (Signal Passed at Danger) অর্থাৎ, বিপদের সংকেত ও সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সতর্কতার পাশাপাশি বিধিবদ্ধ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ৷ ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রোটোকলগুলির প্রয়োগকে শক্তিশালী করার জন্য একটি সংকল্প নেওয়া হয়েছে ৷

রেলওয়ে বোর্ড এই সেফটি ড্রাইভে 23টি নিরাপত্তার দিক তালিকাভুক্ত করেছে ৷ ট্রেন চালানোর সময় জোনাল রেলওয়েকে এগুলির উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়াও অফিসার ও লোকো ইন্সপেক্টরদের ট্রেনের ইঞ্জিনগুলি ঘুরে দেখতে হবে ৷ বিশেষ করে রাতে রেলকর্মীরা নিরাপত্তার নিয়মগুলি ঠিকমতো মেনে চলছে কি না, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

লোকো ইন্সপেক্টরদের শারীরিকভাবে পরীক্ষা করতে হবে ৷ ভয়েস ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে হবে ৷ লোকো পাইলট ও সহকারী লোকো পাইলটরা এগুলি ব্যবহার করে সবাইকে ডাকছেন কিনা, তা দেখতে হবে ৷ ট্রেন চালানোর সময় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ম মেনে একে অপরকে জোরে ও স্পষ্টভাবে সংকেত দিচ্ছে কিনা, এই সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ৷ ট্রেন চালানোর সময় কর্মীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন কি না তা দেখতে হবে লোকো ইন্সপেক্টরদের ৷ কারণ ট্রেন চালানোর সময় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ৷

আরও পড়ুন : অন্ধ্রে দুই ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত কমপক্ষে 6

রেলওয়ে বোর্ড চায়, হলুদ সিগন্যাল ও গ্রেডিয়েন্টে ট্রেন পরিচালনা করার ক্ষমতার জন্য কর্মীদের বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হোক ৷ যাতে তারা লাল সংকেতগুলিতে অবিলম্বে ট্রেন থামাতে পারে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র অফিসার জানান, রেলের চিঠিটি লোকো ইন্সপেক্টরদের দেখতে বলেছে যে যেখানে সিগন্যালগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের পাসের মাধ্যমে কাজ করে, সেখানে কর্মীরা কীভাবে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্লক সিস্টেমে ট্রেনটিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ বোর্ড জোনগুলিকে কর্মীদের নিরীক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে । যেখানে সমস্ত গতির বিধিনিষেধগুলি সাবধানতার সঙ্গে অনুসরণ এবং বিভিন্ন ধরণের লোডের জন্য সঠিক ব্রেকিং কৌশল ব্যবহার করছে কিনা তা দেখা হবে।

তবে কর্মীদের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে । সেক্ষেত্রে বোর্ড, জোনগুলিকে দেখতে বলেছে যে কর্মীদের জন্য গুণগত পারিবারিক কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা, তারা যথাযথ বিশ্রাম পায় কিনা । অস্বাভাবিক ঘটনা ও কর্মীদের রিপোর্ট করা অভিযোগগুলি সময়মতো সমাধান করা হয়েছে কিনা ৷ সমস্ত বিভাগকে তাদের সিস্টেমে ট্রেন চলাচলের সাপ্তাহিক অগ্রগতির রিপোর্ট আপলোড করতে হবে ৷

আরও পড়ুন : ক্যামেরাবন্দি করমণ্ডলে দুর্ঘটনার মুহূর্ত, ভাইরাল শিউরে ওঠার মত ভিডিয়ো

কিন্তু ট্রেন চালকদের ইউনিয়নগুলি খুব কম সময়ের মধ্যে পর পর দুটি বড় দুর্ঘটনায় বোর্ডের এই উদ্যোগকে মুখরক্ষার পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করেছে ৷ তারা জানিয়েছে, বেশিরভাগ বিভাগে লোকো পাইলটের 10 থেকে 15 শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে এবং প্রায় একই শতাংশ সেই সমস্ত ট্রেন চালকদের যারা 12 ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য হন । ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংম্যান অর্গানাইজেশনের (আইআরএলআরও) কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি 2010 সালে RTI আইনের অধীনে একটি আবেদনের জন্য রেলওয়ে বোর্ডের একটি প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছিলেন ৷ যেখানে বোর্ড স্বীকার করেছিল যে ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের পর বিরতির কোনও ব্যবস্থা নেই ট্রেন চালকদের জন্য ৷

পান্ধির কথায়," আজও পরিস্থিতি বদলায়নি । রেলওয়ের কর্মঘণ্টার নির্দেশিকাতে 'অতিপ্রয়োজনীয়' বলে বিষয় আছে কেবল তাদের জন্য । তারা অতি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমার বাইরে রেল কর্মীদের ব্যবহার করতে পারে ৷ যেখানে যাত্রীদের এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে নিয়ে যাওয়াই একটা জরুরি বিষয় ৷ এরপরেও একটি জরুরি ধারার কথা বলে, ড্রাইভারদের প্রায়ই 15 ঘন্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করতে বলা হয় ৷ একজন চলমান কর্মীদের কীভাবে মুক্ত করা যায় এবং তাদের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব কার কাছে রয়েছে সে সম্পর্কে রেলের কোনও সঠিক নির্দেশিকা নেই ।"

পান্ধি 2023 সালের মে মাসে কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের সময় সম্পর্কিত আমেদাবাদ রেলওয়ে বিভাগের একটি সার্কুলারও উদ্ধৃত করেছেন, যাতে দেখা গিয়েছে যে 23 শতাংশ কর্মী 12 ঘন্টারও বেশি কাজ করেছিলেন ৷ নাইট ডিউটির ক্ষেত্রে কোনও সময় নেই ৷ ড্রাইভাররা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বিরতি নিতে পারে না ৷ কারণ অনেক ইঞ্জিনে কোনও ওয়াশরুম নেই ৷ বোর্ডকে এই দিকগুলিতেও নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন পান্ধি ।

আরও পড়ুন : হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন ! পুড়ল 6টি বগি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.