কোলার (কর্ণাটক), 30 এপ্রিল: কংগ্রেসকে 'পুরনো ইঞ্জিন' বলে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কর্ণাটকের কোলারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রবিবার এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, কংগ্রেসের জন্য কর্ণাটক-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে উন্নয়ন থমকে রয়েছে ৷ আর গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়াই কংগ্রেসের কাজ বলেও সমালোচনা করেন মোদি ৷ উল্লেখ্য, গতকাল কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস এবং তার নেতাদের বিরুদ্ধে, তাঁকে গালাগালি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ এমনকী মোট কতবার তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে সেই হিসেবও তুলে ধরেনে মোদি ।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে সেরাজ্য জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী । প্রচারে জনসভার পাশাপাশি পদযাত্রাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ আজ কোলার জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন তিনি ৷ আর সেখানেও মোদির নিশানায় কংগ্রেস ৷ এবার অভিনব কায়দা করলেন হাত শিবিরকে ৷ তিনি বলেন, "কংগ্রেস একটা পুরনো ইঞ্জিন ৷ তাদের জন্যই উন্নয়ন থমকে রয়েছে ৷ কংগ্রেসের কাছে শুধু গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে ৷ মানুষের কাছে করা কোনও প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেনি ৷"
এখাই শেষ নয়, কংগ্রেসের সাফল্য নিয়েও এ দিন কটাক্ষ করতে ছাড়েনি প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, "কংগ্রেসের প্রাপ্তি শুধু 'তাদের পূরণ না করা একাধিক প্রতিশ্রুতি ৷' পাশাপাশি, কর্ণাটকের উন্নয়নে কংগ্রেসই সবচেয়ে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদি ৷" সেই সঙ্গে জেডিএস-কেও তিনি ৷ কোলারের প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "কংগ্রেস ও জেডিএস কর্ণাটকের উন্নতিতে সবচেয়ে বড় বাধা ৷ রাজ্যের মানুষই তাদের ক্লিন বোল্ড করবে ৷"
এ দিনও মোদির ভাষণে দীর্ঘ সময়ের একক সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকারের কথা উঠে আসে ৷ কর্ণাটক তথা দেশের উন্নয়নে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার সবচেয়ে লাভজনক ৷ আর সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি ৷ একই সঙ্গে ফের একবার ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুবিধার কথাও মনে করিয়ে দেন মোদি ৷ উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠন করে ৷ এমনকি মুখ্য়মন্ত্রী পদে তিনি ফের একবার শপথও নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় বিজেপি ৷ ভোটাভুটিতে হেরে শপথের একদিনের মাথায় পদত্যাগ করতে হয় ইয়েদুরাপ্পাকে ৷
আরও পড়ুন: '91 বার অপমানিত হয়েছি', খাড়গের মন্তব্যের জবাব মানুষ ভোটবাক্সে দেবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
2018 সাল থেকে একাধিক রাজনৈতিক কার্যক্রম দেখেছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যটি । কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকার গঠন করে কর্ণাটকে ৷ এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে জোট সরকার মাত্র 1 বছরের মধ্যে ভেঙে যায় ৷ বহু কংগ্রেস সাংসদ কুমারস্বামীর সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ৷
ঘটনাটক্রে 2019 সালে ফের ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হন ৷ কিন্তু, তিনিও 2 বছরের বেশি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারেননি ৷ বিজেপির অন্দরে ইয়েদুরাপ্পা এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷ শেষমেশ শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগ করতে হয় তাঁকে ৷ 2021 সালে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই ৷