কোটা, 13 জুলাই: মেডিক্যাল কলেজের নতুন হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর তোলপাড় শুরু হয়েছে । ওই রোগীর মুখ, ঘাড়-সহ শরীরের বেশ কিছুটা অংশে পুড়ে যায় ৷ যার জেরেই মৃত্যু বলে অভিযোগ৷ পরিবারের দাবি, চিকিৎসা চলাকালীন অক্সিজেন মাস্কে হঠাৎ আগুন লাগে । তার জেরেই শরীরের বেশ কিছুটা অংশ ঝলসে যায় বৈভব শর্মা নামে ওই ব্যক্তির ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটায় ৷ এর জেরে মৃতের পরিজনরা বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালে ৷ তাঁদের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷ তাদের দাবি, রোগীর মৃত্যুর পর অগ্নিকাণ্ড হয় ৷
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের অনন্তপুরার বাসিন্দা বৈভব শর্মা কোটা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ড. অতুল শর্মার ইউনিটে ভর্তি ছিলেন । চার-পাঁচ দিন আগে অন্ত্র ফেটে যাওয়ায় ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । বৈভবের অস্ত্রোপচারও করেছিলেন ড. অতুল শর্মা । বুধবার রাত সাড়ে 11টা নাগাদ রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । এই সময় তাঁর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিতে গিয়ে আগুন ধরে যায় । তখন তাঁর মুখ, মুখ, ঘাড় ও বুকের কিছুটা অংশ পুড়ে যায় ।
পরিবারের দাবি, যখন মাস্ক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে । বৈভবের শরীরে পোড়ার চিহ্ন ছিল । রোগীর আত্মীয় অনিল তিওয়ারি বলছেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল । সরকারের উচিত যন্ত্রপাতি ঠিক রাখা । বৈভব শর্মার চিকিৎসা চলছিল এবং তাঁর অবস্থাও ভালো ছিল । তা সত্ত্বেও এই দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয় । এমন পরিস্থিতিতে বৈভব শর্মার পরিবারের সদস্যদের বিচার পাওয়া উচিত ।’’
আরও পড়ুন: পিত্তথলি থেকে 630 টি পাথর বার করে তাক লাগালেন চিকিৎসকরা
ওই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ড. সঙ্গীতা সাক্সেনা জানান, তিনি এই পুরো বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাব চেয়েছেন ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে । প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছে যে রোগীর অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল । সেই কারণে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে ভেন্টিলেটর রাখা হয়েছিল ৷
ওই অবস্থাতেই রোগীর মৃত্যু হয় ৷ তখন চিকিৎসকরা একবার তাঁকে সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন । সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হচ্ছিল । এদিকে, বৈদ্যুতিক শক থেকে একটি স্পার্ক বেরিয়ে আসে এবং তা অক্সিজেন মাস্কে চলে যায় । এতে সামান্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এরই মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়েছে । আগুনে রোগীর মৃত্যু হয়নি ।