ETV Bharat / bharat

Padmashree Rahibai Popere: ছোটবেলা কেটেছে অভাবে, মেলেনি প্রথাগত শিক্ষা ! পদ্মশ্রী রাহিবাই এখন দেশের 'বীজমাতা'

পদ্মশ্রী রাহিবাই পোপেড়ে (Padmashree Rahibai Popere) ৷ সবাই তাঁকে সম্বোধন করেন 'বীজমাতা' (Seed Mother) বলে ৷ কেন এমন সম্বোধন ?

Padmashree Rahibai Popere tells her struggle to become Seed Mother
Padmashree Rahibai Popere: দারিদ্র্য জয় করে কীভাবে 'বীজমাতা' হয়ে উঠলেন পদ্মশ্রী রাহিবাই পোপেড়ে ?
author img

By

Published : Nov 27, 2022, 4:10 PM IST

নয়াদিল্লি, 27 নভেম্বর: শিক্ষা এমন একটি অস্ত্র, যার মাধ্যমে জীবনের সবথেকে কঠিন যুদ্ধেও জয়লাভ করা যায় ৷ কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতেও গ্রামাঞ্চলে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ! তাদের অধিকাংশকেই স্কুলে পাঠানোর বদলে ঘরের কাজ, চাষের কাজ শেখানো হয় ৷ ফলে শুধুমাত্র তাদের শৈশবই নয়, জীবনের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় ৷ তবে, কেউ কেউ আছেন, যাঁরা প্রথাগত শিক্ষা না-পেয়েও নিজের এমন একটি পরিচয় তৈরি করেন, যাকে সারা দেশ কুর্নিশ করে ৷ আজ ইটিভি ভারতে, আমরা আপনাদের এমনই একজন মহিলার সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছি, যিনি দারিদ্র্যের কারণে কখনও স্কুলে যেতে পারেননি ৷ কিন্তু, তারপরও নিজের অবদানের জন্য পদ্মশ্রী (Padmashree) সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ৷ সেই মহিলা হলেন 'বীজমাতা' (Seed Mother) পদ্মশ্রী রাহিবাই পোপেড়ে (Padmashree Rahibai Popere) ৷

রাহিবাই পোপেড়ে এখন 72 বছরের বৃদ্ধা ৷ তাঁর জন্ম হয়েছিল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোলে আদিবাসী ব্লকের কোম্বলে গ্রামে ৷ তিনি মহাদেব কলি আদিবাসী জনজাতির প্রতিনিধি ৷ দেশীয় বীজ সংরক্ষণে তাঁর অবদানের জন্যই তাঁকে 'বীজমাতা' নামে সম্বোধন করা হয় ৷ রাহিবাইয়ের আরও পাঁচ ভাইবোন ছিলেন ৷ অভাবের সংসারে তাই আর স্কুলের পাঠ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ কিন্তু, তিনি নিয়মিত বাবা-মাকে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন ৷ মাত্র 12 বছর বয়সে একই গ্রামের বাসিন্দা একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর স্বামীকেও চাষের কাজে সাহায্য করতেন রাহিবাই ৷ তাঁর জীবনের 40টা বছর কেটেছিল পার্বত্য এলাকায় ৷ একটি কুঁড়েঘরে থাকতেন তিনি ৷ সেখানে জলের সমস্যা ছিল মারাত্মক ৷

আরও পড়ুন: কালাবুর্গির জলাধারে মিলল নিউজিল্যান্ডের মাছ

মাঠে কাজ করার সময় রাহিবাই লক্ষ করেন, রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদন বাড়লেও তাতে চাষের খরচ বেড়ে যায় ৷ তাছাড়া, এর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে ৷ ফলে চিকিৎসার জন্যও খরচ বাড়ে ৷ এই কারণেই রাসায়নি সার ও কীটনাশক ব্যবহার একেবারে বন্ধ করেন দেন রাহিবাই ৷ তাঁর রান্নাঘরের পিছনে ছোট্ট একফালি বাগান ছিল ৷ সেখানে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে দেশীয় বীজের ফসল চাষ করতে শুরু করেন রাহিবাই ৷ আর সেটা করতে গিয়ে শুরু হয় বীজ সংগ্রহের কাজ ৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন রাহিবাই ৷ বর্তমানে তিনি এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই 50 একর জমিতে 17টিরও বেশি দেশীয় ফসল ফলানোর কাজ করছেন ৷ তাঁরই উদ্যোগে বহু মহিলার উপার্জনের রাস্তা খুলে গিয়েছে ৷ রাহিবাইয়ের এই অবদানের জন্যই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে ৷

নয়াদিল্লি, 27 নভেম্বর: শিক্ষা এমন একটি অস্ত্র, যার মাধ্যমে জীবনের সবথেকে কঠিন যুদ্ধেও জয়লাভ করা যায় ৷ কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতেও গ্রামাঞ্চলে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ! তাদের অধিকাংশকেই স্কুলে পাঠানোর বদলে ঘরের কাজ, চাষের কাজ শেখানো হয় ৷ ফলে শুধুমাত্র তাদের শৈশবই নয়, জীবনের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় ৷ তবে, কেউ কেউ আছেন, যাঁরা প্রথাগত শিক্ষা না-পেয়েও নিজের এমন একটি পরিচয় তৈরি করেন, যাকে সারা দেশ কুর্নিশ করে ৷ আজ ইটিভি ভারতে, আমরা আপনাদের এমনই একজন মহিলার সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছি, যিনি দারিদ্র্যের কারণে কখনও স্কুলে যেতে পারেননি ৷ কিন্তু, তারপরও নিজের অবদানের জন্য পদ্মশ্রী (Padmashree) সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ৷ সেই মহিলা হলেন 'বীজমাতা' (Seed Mother) পদ্মশ্রী রাহিবাই পোপেড়ে (Padmashree Rahibai Popere) ৷

রাহিবাই পোপেড়ে এখন 72 বছরের বৃদ্ধা ৷ তাঁর জন্ম হয়েছিল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোলে আদিবাসী ব্লকের কোম্বলে গ্রামে ৷ তিনি মহাদেব কলি আদিবাসী জনজাতির প্রতিনিধি ৷ দেশীয় বীজ সংরক্ষণে তাঁর অবদানের জন্যই তাঁকে 'বীজমাতা' নামে সম্বোধন করা হয় ৷ রাহিবাইয়ের আরও পাঁচ ভাইবোন ছিলেন ৷ অভাবের সংসারে তাই আর স্কুলের পাঠ নেওয়া হয়নি তাঁর ৷ কিন্তু, তিনি নিয়মিত বাবা-মাকে কৃষিকাজে সাহায্য করতেন ৷ মাত্র 12 বছর বয়সে একই গ্রামের বাসিন্দা একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর স্বামীকেও চাষের কাজে সাহায্য করতেন রাহিবাই ৷ তাঁর জীবনের 40টা বছর কেটেছিল পার্বত্য এলাকায় ৷ একটি কুঁড়েঘরে থাকতেন তিনি ৷ সেখানে জলের সমস্যা ছিল মারাত্মক ৷

আরও পড়ুন: কালাবুর্গির জলাধারে মিলল নিউজিল্যান্ডের মাছ

মাঠে কাজ করার সময় রাহিবাই লক্ষ করেন, রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদন বাড়লেও তাতে চাষের খরচ বেড়ে যায় ৷ তাছাড়া, এর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে ৷ ফলে চিকিৎসার জন্যও খরচ বাড়ে ৷ এই কারণেই রাসায়নি সার ও কীটনাশক ব্যবহার একেবারে বন্ধ করেন দেন রাহিবাই ৷ তাঁর রান্নাঘরের পিছনে ছোট্ট একফালি বাগান ছিল ৷ সেখানে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে দেশীয় বীজের ফসল চাষ করতে শুরু করেন রাহিবাই ৷ আর সেটা করতে গিয়ে শুরু হয় বীজ সংগ্রহের কাজ ৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন রাহিবাই ৷ বর্তমানে তিনি এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই 50 একর জমিতে 17টিরও বেশি দেশীয় ফসল ফলানোর কাজ করছেন ৷ তাঁরই উদ্যোগে বহু মহিলার উপার্জনের রাস্তা খুলে গিয়েছে ৷ রাহিবাইয়ের এই অবদানের জন্যই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.