নয়াদিল্লি, 27 এপ্রিল : দিল্লতে করোনায় মৃত্য়ুর সংখ্য়ার হিসেবে গড়মিলের অভিযোগ ৷ একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশ প্রায় 1150 জনের মৃত্য়ু কোভিডে হলেও তাদের তথ্য় সরকারি নথিতে নেই ৷
কী ঘটেছে ?
মৃতদেহ দাহ করার জন্য় দিল্লি পৌরনিগমের 26 টি শ্মশান রয়েছে ৷ সেই 26টি শ্মশান থেকে পাওয়া তথ্য়ে জানা গেছে চলতি মাসের 18 তারিখ থেকে 24 তারিখ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত 3096 জনের দেহ পোড়ানো হয়েছে ৷ কিন্তু ওই সময়ের মধ্য়েই দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে 1938 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এখানের প্রশ্ন উঠছে তাহলে 1158 জনের মৃত্য়ু করোনার কারণে হলেও তাদের নাম কেন সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত হয়নি ৷ অথচ শ্মশানগুলিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন- আত্মপ্রকাশ করল ছোটদের জন্য নতুন চ্যানেল ইটিভি বাল্যভারত
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিল্লি পৌরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব ব্য়ক্তি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং তাঁদের দেহ সরকারি হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুধুমাত্র তাদের নাম দিল্লি পৌরনিগমের তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ যদিও দুটি পরিসংখ্য়ান কেন ভিন্ন সেবিষয়ে পৌরনিগমের কোনও কর্মী মুখ খুলতে চাননি ৷
দিল্লির একটু বাইরের দিকে রয়েছে গাজ়িপুর শ্মশান ৷ সেখানেই মৃত পরিজনকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন এক পরিবারের সদস্য়রা ৷ ওই শ্মশানের এক কর্মী জানিয়েছেন, যে সব কোভিড রোগীরা বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন তাঁদের নাম পৌরনিগমের তালিকায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে না ৷ শুধুমাত্র শ্মশানের তালিকায় নথিভুক্ত করতে হচ্ছে ৷ সেকারণেই সম্ভবত করোনা মৃতদের তালিকায় সামঞ্জস্য় থাকছে না ৷
এ প্রসঙ্গে ওই কর্মী জানান, যাঁরা হাসপাতাল থেকে আসছে তাদের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটে করোনায় মৃত্য়ু হয়েছে কিনা স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও অনেক সময় বাড়িতে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেটে করোনার কথা উল্লেখ থাকছে না ৷