ETV Bharat / state

শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর ! আত্মঘাতী নিজেও

মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ পরে আত্মঘাতী নিজেও।

MURDER OF BARRACKPUR
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

ব‍্যারাকপুর, 2 নভেম্বর: মদ্যপ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল স্ত্রী'র উপর অত্যাচার। এরই মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হয় ওই ব্যক্তি।

শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ব্যারাকপুরের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্যপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম বিমলা কর্মকার এবং কমল কর্মকার। বিমলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাপের বাড়ির ঘর থেকে। আর তাঁর স্বামী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন শ্বশুরবাড়ির ঘরের বাইরে। পরে অবশ্য তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব‍্যাক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মোহনপুর থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী প্রায়শই মদ খেয়ে ঝামেলা করতেন বাড়িতে। স্ত্রীকে মারধরও করতেন বলেও অভিযোগ। মদ‍্যপ স্বামীর অত‍্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে লিটনকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন বিমলা। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্ত্রী'র গায়ে হাত তুলতেন স্বামী। এমনই অভিযোগ করেছেন দম্পতির ছেলে লিটন। সে জানিয়েছে, বাবা প্রায়ই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করত। তাই ছোটবেলাতেই তাকে নিয়ে মামারবাড়িতে চলে এসেছিলেন বিমলা। কিন্তু সেখানেও গিয়ে তার বাবা অত্যাচার চালাতেন মায়ের উপর। তাই বাবার সঙ্গে বেশি কথাও বলত না ছেলেটি।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মায়ের ঘরেই ছিল লিটন। বাবা কমল এসে স্ত্রী'র খোঁজ শুরু করেন। লিটন সে সময় বাবাকে জানায়, তার মায়ের জ্বর হয়েছে ৷ সে কথা শুনে বাবা প্রথমে চলে গেলেও পরে ফিরে আবার স্ত্রী'র শারীরিক অবস্থা কেমন আছে জানতে চান। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েছিলেন।

শনিবার সকালে মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন লক্ষ্য করে, ঘরের দরজার সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জামাই কমল কর্মকার। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছিল। এরপর ঘরের ভিতরে গিয়ে তারা দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন বিমলা। সঙ্গে সঙ্গে কমলকে উদ্ধার করে ব‍্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে, মহিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। পরে, তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে। জোড়া মৃত্যুতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ব‍্যারাকপুরের শিউলি পঞ্চায়েত এলাকায়।

ব‍্যারাকপুর, 2 নভেম্বর: মদ্যপ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল স্ত্রী'র উপর অত্যাচার। এরই মধ্যে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে নিজেও আত্মঘাতী হয় ওই ব্যক্তি।

শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ব্যারাকপুরের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্যপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম বিমলা কর্মকার এবং কমল কর্মকার। বিমলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাপের বাড়ির ঘর থেকে। আর তাঁর স্বামী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন শ্বশুরবাড়ির ঘরের বাইরে। পরে অবশ্য তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব‍্যাক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মোহনপুর থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী প্রায়শই মদ খেয়ে ঝামেলা করতেন বাড়িতে। স্ত্রীকে মারধরও করতেন বলেও অভিযোগ। মদ‍্যপ স্বামীর অত‍্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে লিটনকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন বিমলা। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্ত্রী'র গায়ে হাত তুলতেন স্বামী। এমনই অভিযোগ করেছেন দম্পতির ছেলে লিটন। সে জানিয়েছে, বাবা প্রায়ই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করত। তাই ছোটবেলাতেই তাকে নিয়ে মামারবাড়িতে চলে এসেছিলেন বিমলা। কিন্তু সেখানেও গিয়ে তার বাবা অত্যাচার চালাতেন মায়ের উপর। তাই বাবার সঙ্গে বেশি কথাও বলত না ছেলেটি।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মায়ের ঘরেই ছিল লিটন। বাবা কমল এসে স্ত্রী'র খোঁজ শুরু করেন। লিটন সে সময় বাবাকে জানায়, তার মায়ের জ্বর হয়েছে ৷ সে কথা শুনে বাবা প্রথমে চলে গেলেও পরে ফিরে আবার স্ত্রী'র শারীরিক অবস্থা কেমন আছে জানতে চান। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েও পড়েছিলেন।

শনিবার সকালে মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন লক্ষ্য করে, ঘরের দরজার সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জামাই কমল কর্মকার। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছিল। এরপর ঘরের ভিতরে গিয়ে তারা দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন বিমলা। সঙ্গে সঙ্গে কমলকে উদ্ধার করে ব‍্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে, মহিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। পরে, তা ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে। জোড়া মৃত্যুতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ব‍্যারাকপুরের শিউলি পঞ্চায়েত এলাকায়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.