নয়াদিল্লি, 30 এপ্রিল : করোনা আবহে তথ্য জানার অধিকার এবং সাধারণ মানুষের বাক-স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের ৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, করোনা আবহে কোনও নাগরিক যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পেশ করেন, তবে কোনও রাজ্য়েরই তা দমন করা বা প্রকৃত তথ্য গোপন করা উচিত নয় ৷ পাশাপাশি, আদালত জানিয়েছে, যদি কোনও নাগরিকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে এবং এর জন্য তাঁকে যদি হেনস্থা করা হয়, তবে তা আদালত অবমাননা হিসাবেই গণ্য করা হবে ৷
এদিন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ তিনি বলেন, ‘‘একজন নাগরিক এবং বিচারপতি হিসাবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ৷ নাগরিকরা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের অভিযোগ জানান, তাহলে কোনও ভাবেই কোনও তথ্য দমন হোক, তা আমরা চাই না ৷ আমাদের তাঁদের আওয়াজ শুনতে দেওয়া হোক ৷ যদি কোনও নাগরিক অক্সিজেন বা হাসপাতালের শয্যা চেয়ে হেনস্থার শিকার হন, তাহলে আমরা সেটাকে আবমাননা হিসাবে গণ্য করব ৷ আমরা একটা মানবিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি ৷’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যন্ত হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছেন না ৷
আরও পড়ুন : 40-এর নীচে বেশি ওজনে প্রাণঘাতী হতে পারে করোনা, দাবি সমীক্ষায়
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কোভিড আবহে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা ভারতের ৷ আক্রান্তের দৈনিক পরিসংখ্যান রোজই নয়া রেকর্ড তৈরি করছে ৷ মেডিক্য়াল অক্সিজেনের অভাবে হাহাকার শুরু হয়েছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে ৷ অক্সিজেন পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন আক্রান্তের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা ৷ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্সিজেন ও হাসপাতালের শয্যার সন্ধান চেয়ে পোস্ট করছেন ৷ সাহায্যের আশায় সেইসব পোস্ট শেয়ারও হচ্ছে প্রচুর ৷ এই প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের পর্যবেক্ষণ নিঃসন্দেহ তাৎপর্যপূর্ণ ৷