হান্দওয়ানা (তেলঙ্গানা), 3 নভেম্বর: পরকীয়ায় (Extra Marital Affair) বাধা দেওয়ার সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার মাহাবুবনগর জেলায় ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 30 বছর আগে হান্দোয়ানার (Hanwada) টানকারা গ্রামের পাপায়ার সঙ্গে বিয়ে হয় মাহাবুবনগরের দয়াম্মার ৷ তাঁদের দু’টি মেয়ে ও এক ছেলে ভেঙ্কটেশ (29) ৷ অসুস্থতার কারণে পাপায়া প্রায় দশ বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরে ওই গ্রামেরই শ্রীনিবাসের সঙ্গে পরিচয় হয় দয়াম্মার ৷ তার পর তাঁদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় ৷ সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল ভেঙ্কটেশের ৷ এই নিয়ে মা ও শ্রীনিবাসের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝামেলা হত ৷ পুলিশের দাবি, সেই কারণে তাঁদের সম্পর্কের কাঁটাকে সরাতে খুনের ছক কষেন দয়াম্মা ও শ্রীনিবাস ৷
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে ভেঙ্কটেশ ৷ সেই সময় তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় ৷ ঘটনাস্থলেই ভেঙ্কটেশের মৃত্যু হয় (Mother Allegedly Killed her Son) ৷ তার পর তাঁর দেহ গ্রামের মটুকুলাকুন্তার জলে ফেলে দেওয়া হয় ৷ এই ঘটনায় দয়াম্মা ও শ্রীনিবাসের সঙ্গে শ্রীনিবাসের জামাইও জড়িত ছিলেন ৷
এদিকে বুধবার থেকে কান্নাকাটি শুরু করেন দয়াম্মা ৷ স্থানীয়দের জানান যে তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ স্থানীয়রা ভেঙ্কটেশের খোঁজখবর শুরু করে ৷ কিন্তু তখন দয়াম্মা গ্রাম ছেড়ে চলে যান ৷ সেই সঙ্গে পালিয়ে যান শ্রীনিবাস ও তাঁর জামাই নরিশিমুলু ৷
পরে স্থানয়ীরা ভেঙ্কটেশের মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয় ৷ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ আপাতত তদন্ত করছে পুলিশ ৷ দয়াম্মা ও অন্য অভিযুক্তদের সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা ৷ দয়াম্মার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনের পর কিশোরীকে কুপিয়ে খুন ! ধৃত নাবালক