হায়দরাবাদ, 18 ডিসেম্বর: সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক বাংলার । বুধবার হায়দরাবাদের ডেকান এরিনায় রাজস্থানের বিরুদ্ধে 2-0 গোলে জয় ছিনিয়ে নিলেন রবিলাল-নরহরিরা । এই জয়ের ফলে সঞ্জয় সেনের বাংলা এখন শেষ আটে । সার্ভিসেস এবং মণিপুর ম্যাচ বাকি, তবুও বাংলার শেষ আটে পৌঁছনোয় আর কোনও বাধা রইল না । এককথায় সন্তোষ ট্রফিতে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে বাংলা ।
এদিন কোচ সঞ্জয় সেন কয়েকটি বদল করেন । ডান প্রান্তে খেলেন ইসরাফিল দেওয়ান এবং বাঁ-প্রান্তে শুরু করেন সুপ্রিয় পণ্ডিত । তবে তাতে আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি । 44 মিনিটে একক দক্ষতায় 1-0 করেন রবিলাল মাণ্ডি । বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে বাঁ-পায়ে গোলার মতো শটে জাল কাঁপান তিনি । পরের মিনিটেই ইসরাফিলের সেন্টার থেকে নেওয়া সুপ্রিয়র হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় ।
বিরতিতে দু’টি পরিবর্তন করেন সঞ্জয় । গোলরক্ষক আদিত্য পাত্রের পরিবর্তে নামেন সৌরভ সামন্ত । ইসরাফিলের জায়গায় মাঠে আসেন আবুসুফিয়ান শেখ । 55 মিনিটেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বাংলা । রবিলালের নেওয়া ফ্রি-কিক ধরতে এগিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক গৌরব কুমার সিংহ । কিন্তু তার আগেই চমৎকার গোলমুখী হেড করেন নরহরি । এর পরে মুহুর্মুহু আক্রমণ এলেও রাজস্থানের রক্ষণভাগ সজাগ ছিল । কিন্তু 77 মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে বাড়ানো আবুর সেন্টার ধরে রক্ষণভাগের ফুটবলারদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান অরিত্র ঘোষ । কিন্তু অফসাইডের কারণে রেফারি সেই গোল বাতিল বলে ঘোষণা করেন । তেলেঙ্গানার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে বুধবারও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান রবিলাল ।
সঞ্জয় সেন বলছেন, এই কৃতিত্ব ছেলেদের । প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোচ্ছে দল । কারণ স্কোরবোর্ড প্রতিটি ম্যাচের আগে শূন্যই থাকে । তাই তিন ম্যাচ জয় অবশ্যই আনন্দের । তবে আত্মতুষ্টির নয় । কারণ পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ যথেষ্ট শক্তিশালী । জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই লক্ষ্য । তবে এটা ঠিক, তিন জয়ে বাকি দু’ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকল।