হায়দরাবাদ, 27 জুন: দেশের বেশিরভাগ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বর্ষা, আর তার শুরুতেই বিপত্তি। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, অসম সহ-উত্তর-পূর্ব ভারতে শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি ৷ এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামতে শুরু করেছে। ধসের পাশাপাশি হড়পা বানেও ক্ষতিগ্রস্থ এই পাহাড়ি রাজ্য। বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে 9 জনের, আহতের সংখ্যাও দশের অধিক ৷ রাজস্থানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে 4 জনের ৷ রাজ্য়গুলির অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ রাস্তাঘাট ৷
হিমাচলে ভারী বৃষ্টির কারণে মোট 301টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে যানজট ৷ রাস্তাজুড়ে যানজটের কারণে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা । মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নামার খবর পাওয়া গিয়েছে। নিচু এলাকায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বহু বাড়ি। রাতভর বৃষ্টির জেরে মান্ডিতে বিপাশা নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। জলের তোড়ে ক্ষতি হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা পুনরুদ্ধার এবং উদ্ধারকাজের জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁদের কাজ করছেন।
রাজস্থানে, বজ্রপাতের তিনটি পৃথক ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন ৷ রবিবার সন্ধ্যায় পালি জেলায় বজ্রপাতে দিনেশ (21) মারা যান ৷ তাঁর ভাই হরিরাম (46) এবং কমলও (32) বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৷ 10 বছরের একটি মেয়েরও মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে ৷
অন্যদিকে অসমে, ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমলে, জলের স্তর নামতে শুরু করেছে। তবুও এখনও জলের তলায় বহু গ্রাম। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বক্সা, বারপেটা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, নলবাড়ি এবং উড়ালগুড়ি জেলা।
সোমবার আইএমডি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অসম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে 27, 28, 29 জুন পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ কেরলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কর্ণাটক, গুজরাত এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে 30 জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে হিমাচলে মৃত 6, একাধিক জায়গায় ধসের জেরে বন্ধ রাস্তা