হাওড়া, 24 অক্টোবর : একদিন আগেই হাওড়া পৌরনিগমের পৌর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসনের দফতরের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠিত হয়েছে । আজ নবান্ন থেকে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণকে রোখার জন্য নতুন করে মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হল । হাওড়া পৌরনিগম এলাকায় বেশ কিছু ওয়ার্ডের এলাকাকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
হাওড়া পৌরনিগমের 13, 32, 33, 34, 39, 41, 44, 47, 48 মোট 9 টি ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকাকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আন্দুল রোড, হাটপুকুর জিআইপি কলোনি, ব্রজনাথ লাহিড়ি লেন, সার্কুলার রোড ফোর্থ বাই লেন, ডবসন রোড, পি কে রায় চৌধুরী লেন, শরৎ চট্টোপাধ্যায় রোড, শিবপুর রোড, অমৃতলাল মুখার্জি লেন, ধর্মতলা লেন, সাতাশী দক্ষিণ পাড়া ও দক্ষিণ বাঁকসারা ভিলেজ রোডের একাংশ নিয়ে হাওড়া পৌরনিগম এলাকায় মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে ।
আরও পড়ুন :বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের বিশ্বাস গণতন্ত্রের শক্তি, মন্তব্য দেশের প্রধান বিচারপতির
তবে এখনও নতুন করে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার জন্য কনটেনমেন্ট বা মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োনের ঘোষণা হয়নি । পাশাপাশি পৌরনিগম এলাকাতেও কনটেনমেন্ট জ়োন আলাদা করে করার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি নবান্নের তরফে । জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কনটেনমেন্ট জ়োনের থেকে মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োন করে বিশেষ নজরদারি চালানোর মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন ।
প্রসঙ্গত, এর আগে নবান্নের তরফ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে হাওড়ায় করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জেলার 30টি এলাকাকে মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল । এই মুহূর্তে হাওড়া জেলাতে কনটেনমেন্ট জ়োন না থাকলেও ছোট ছোট এলাকাকে মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োনের আওতায় এনে সংক্রমণ আটকাবার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে । দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পর থেকেই হাওড়া জেলাতে ধীরে ধীরে যেভাবে করোনার গ্রাফ ওপরে উঠছে, তার বিরুদ্ধে লড়াইতে মাইক্রো-কনটেনমেন্ট জ়োন বেশি কার্যকরী হবে বলেই মনে করছে হাওড়া জেলা প্রশাসন ।