মণিপুর, 17 সেপ্টেম্বর: ফের অশান্ত মণিপুর। এবার প্রাণের বলি হলেন ভারতীয় সেনার এক কর্মী। ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শনিবার তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় ৷ আর আজ, রবিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে ওই সেনাকর্মীকে। তাঁর মাথায় গুলির আঘাত স্পষ্ট ৷ প্রয়াত সেনাকর্মীর এক মেয়ে, ছেলে ও স্ত্রী বর্তমান। সেনাবাহিনীর তরফে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে নিহত সেনাকর্মীর নাম থাংথাং কম। কয়েকদিন আগেই ছুটি পেয়ে মণিপুরের বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। পূর্ব ইম্ফলের বাসিন্দা থাংথাংয়ের পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে 10 বছর বয়সি এক ছেলে ও মেয়ে ৷ জানা গিয়েছে, শনিবার ছেলের চোখের সামনেই অপহরণ করা হয় থাংথাংকে। তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে এসে ভারতীয় সেনার ওই কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, সেনাকর্মীর সন্তানই এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। তার সামনেই বাবাকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে জোর করে নিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী।
পুলিশকে ওই কিশোর জানিয়েছে, বাড়ির সামনেই বাগানের মতো এক জায়গায় বসে কাজ করছিলেন থাংথাং ৷ সেইসময়েই তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ওই তিন দুষ্কৃতী। এসেই তার বাবার মাথায় পিস্তল ঠেকায় ওরা। একটি সাদা রঙের গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে। পরে রবিবার সকালে পূর্ব ইম্ফলের এক গ্রামে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর দেহ। থাংথাংয়ের দেহ সনাক্ত করতে গিয়েই দেখা যায়, মাথাতে একটি মাত্র গুলি লেগেছে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই সেনাকর্মীর। এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে ভারতীয় সেনা। রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এই কঠিন সময়ে থাংথাংয়ের পরিবারের পাশে রয়েছে সেনা। ইতিমধ্যেই মণিপুরে পৌঁছে গিয়েছে সেনার একটি বিশেষ দল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে তারা।
আরও পড়ুন: মণিপুরে পাঁচদিন সম্পূর্ণ কার্ফু, মোদি সরকারকে আক্রমণ কংগ্রেসের