আঙ্গুল (ওডিশা), 2 নভেম্বর: নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালানোর মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এক যুবককে 20 বছরের কারাদণ্ড (20 Years Imprisonment ) দিল ফাস্ট ট্র্য়াক আদালত ৷ প্রসঙ্গত, যে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে তিনি এই সাজা পেলেন, বর্তমানে সেই তরুণীই সাজাপ্রাপ্ত যুবকের বিবাহিতা স্ত্রী ! যদিও এখন তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় ৷
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যৌন নিগ্রহে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই যুবকের বর্তমানে বয়স 29 বছর ৷ গত বছর এই যুবককে পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয় ৷ অভিযোগ ছিল, এক নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার করেছেন তিনি ৷ পুলিশের তদন্তে এবং আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয় ৷
আরও পড়ুন: 'যৌন নিগ্রহের শিকার' নাবালিকাকে ভবিষ্যতে বিয়ের শর্তে অভিযুক্তকে জামিন
ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল 2021 সালের জানুয়ারি মাসে ৷ অভিযোগকারী তরুণী বানরপোল এলাকার বাসিন্দা ৷ সেই সময় তাঁর দাবি ছিল, ওই যুবক তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন ৷ তবে, ঘটনাটি ঘটে পাঁচ বছর আগে ! অর্থাৎ 2016 সালে ৷ সেই সময় অভিযোগকারিণীর বয়স ছিল 18 বছরের কম ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত ও মামলা শুরু হয় ৷ মামলা চলাকালীন দীর্ঘকাল তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকতে হয় ৷ ইতিমধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে নিগৃহীতার বয়স 18 বছর পূর্ণ হয় ৷ এরপরই নিগৃহীতাকে বিয়ে করেন ওই যুবক ৷ এর জন্য কিছুদিনের জন্য তাঁকে জামিন দেয় আদালত ৷
এত কিছুর পরও ওই যুবককে 20 বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক ৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, দোষী যুবক নিগৃহীতাকে বিয়ে করলেই তাঁর দোষ মাফ হয়ে যায় না ৷ এই ধরনের ঘটনা কিশোর মনে গভীর প্রভাব ফেলে ৷ দোষী ব্যক্তিকে তার জন্য শাস্তি পেতেই হবে ৷ এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত যুবককে 10 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় ৷
যুবকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরোধিতায় উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন ৷ স্বামীর সাজা ঘোষণা হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে নিগৃহীতা বলেন, "আমরা টানা কয়েক বছর ধরে একে অপরকে ভালোবাসতাম ৷ কিন্তু, আমার পরিবার এই সম্পর্ক মানতে চায়নি ৷ আমার পরিবারের সদস্যদের চাপে পড়েই আমি ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম ৷ কিন্তু, ওঁর কোনও দোষ নেই ৷ আমি এবার আমার স্বামীকে আমার কাছে ফেরত পেতে চাই ৷"