নয়াদিল্লি, 3 নভেম্বর: তাঁর 'মৌখিক বস্ত্রহরণ' হয়েছে বলে আগেই সরব হয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নির্ভয়াকাণ্ডের সময় কবি পুষ্যমিত্র উপাধ্যায়ের লেখা একটি কবিতাকে হাতিয়ার করে নিজের পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রৌপদীর তুলনা করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দি ভাষায় পোস্ট করা এই কবিতার একদম শেষে লেখা- "ভগবান কৃষ্ণ তোমাকে রক্ষা করতে আসবেন না। তাই দ্রৌপদী তুমি নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নাও।"
2012 সালে হওয়া দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের প্রভাব পড়েছিল গোটা দেশে। ঘৃণ্য অপরাধ করলে নাবালকদের সাজা দেওয়া সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন এসেছিল এই ঘটনার পর। এছাড়া গত দশ বছরেরও বেশি সময়ে নির্যাতিতাদের প্রতিবাদে সরব হতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে এই ঘটনা। সেই সময় কলম ধরেন কবি পুষ্যমিত্র উপাধ্যায়। তাঁর লেখা এই কবিতা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার আবারও সেই প্রসঙ্গ উঠল।
-
कब तक आस लगाओगी तुम,
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 2, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
बिक़े हुए अखबारों से,
कैसी रक्षा मांग रही हो
दुशासन दरबारों से |
स्वयं जो लज्जा हीन पड़े हैं
वे क्या लाज बचायेंगे
सुनो द्रोपदी शस्त्र उठालो, अब गोविंद ना आयंगे |
">कब तक आस लगाओगी तुम,
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 2, 2023
बिक़े हुए अखबारों से,
कैसी रक्षा मांग रही हो
दुशासन दरबारों से |
स्वयं जो लज्जा हीन पड़े हैं
वे क्या लाज बचायेंगे
सुनो द्रोपदी शस्त्र उठालो, अब गोविंद ना आयंगे |कब तक आस लगाओगी तुम,
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 2, 2023
बिक़े हुए अखबारों से,
कैसी रक्षा मांग रही हो
दुशासन दरबारों से |
स्वयं जो लज्जा हीन पड़े हैं
वे क्या लाज बचायेंगे
सुनो द्रोपदी शस्त्र उठालो, अब गोविंद ना आयंगे |
নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীদের নিজেদেরই মুখর হতে হবে এমন বার্তা দিতে গিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে দুঃশাসনের সঙ্গে তুলনা করেন কবি। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়েও। একইসঙ্গে কবির প্রশ্ন ছিল, যাদের নিজেদেরই লজ্জা নেই তারা কীভাবে নারীদের সম্মান রক্ষা করবে? আর তাই কবি মনে করেন ভগবান কৃষ্ণের আশায় বসে না থেকে নারীদের নিজেদেরই প্রতিবাদ করতে হবে। একালের দ্রৌপদীদের নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এবার এই কবিতার কয়েকটি লাইন লিখে আক্রমণ শানালেন মহুয়া।
আরও পড়ুন: এথিক্স কমিটির কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে জয়ের বিরুদ্ধেই দায় চাপালেন মহুয়া !
নগদের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে সাংসদকে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠিয়েছিল সংসদের এথিক্স কমিটি। আচমকাই সেই বৈঠক ছেড়ে মহুয়া বেরিয়ে যান। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদরাও ওয়াক আউট করেন। সাংবাদিকদের কাছে মহুয়া-সহ বাকিরা দাবি করেন, তৃণমূল সাংসদকে অসম্মানজনক প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি রাতে কার সঙ্গে কথা বলেন সেই প্রশ্নও নাকি উঠেছে এথিক্স কমিটির বৈঠকে। তারই প্রতিবাদে মহুয়ারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ করেন মহুয়া। সেখানেই এই 'মৌখিক বস্ত্রহরণ' প্রসঙ্গে সরব হন। আরও পরে বেশি রাতের দিকে কবিতার লাইন তুলে ধরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সরব হন। কমিটিতে থাকা বিজেপির সাংসদের অবশ্য দাবি, বৈঠকে বিরোধীরা জাত তুলে আক্রমণ করেছেন। রাতের দিকে সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই দাবি খারিজ করেছেন মহুয়া।
অন্যদিকে, পুষ্যমিত্র উপাধ্যায়ের লেখা কবিতা রাজনৈতিক পরিসরে আগেও ব্যবহৃত হয়েছে। 2021 সালে মধ্যপ্রদেশের একটি সভা থেকে এই কবিতার কয়েকটি লাইন তুলে ধরে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। সে সময় পুষ্যমিত্র জানান, রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য তিনি এই কবিতা লেখেননি। নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করতেই কলম ধরেছেন। এবার আবারও মহুয়া কবিতার ব্যবহার করলেন। এক্ষেত্রে পুষ্যমিত্র কোনও প্রতিক্রিয়া দেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: 'রাতে কার সঙ্গে কথা', এথিক্স কমিটির নোংরা প্রশ্নে স্পিকারকে চিঠি ক্ষুব্ধ মহুয়া