নয়াদিল্লি, 5 মার্চ: ভুয়ো এনকাউন্টারে (Staged Encounter) তিন যুবককে হত্যা করার অভিযোগে একজন সেনা ক্যাপ্টেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment for Army Captain) সুপারিশ করেছে একটি সেনা আদালত ৷ 2020 সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের আমশিপুরা গ্রামে সেই ভুয়ো এনকাউন্টার হয়েছিল ৷ রবিবার সরকারি সূত্রে এই খবর মিলেছে । তারা আরও প্রকাশ করেছে যে, এই ঘটনায় এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কোর্ট-মার্শালের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল ।
সরকারি সূত্র অনুসারে, ক্যাপ্টেন ভূপেন্দ্র সিং-কে কোর্ট অফ ইনকোয়ারি এবং সামারি অফ এভিডেন্সের আওতায় কোর্ট মার্শাল করা হয়েছিল ৷ জানানো হয়েছে, তিনি সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন আফস্পা (AFSPA)-এর অধীনে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন ৷ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, যে সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে তা সেনাবাহিনীর উচ্চতর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করলে তবেই মিলবে ৷ এ বিষয়ে আরও কোনও তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করে সেনা সূত্র জানিয়েছে যে, মামলার প্রক্রিয়া এখনও চলছে ৷
ইমতিয়াজ আহমেদ, আবরার আহমেদ এবং মহম্মদ ইবরার নামে চিহ্নিত তিন যুবক - 2020 সালের 18 জুলাই শোপিয়ান জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভুয়ো এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিলেন । তাঁদের জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল । এনকাউন্টারের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে, নেট নাগরিকরা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ৷ ওই এনকাউন্টারের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ৷
আরও পড়ুন: ডিভোর্স চাওয়ায় স্বামীকে জঙ্গি বলে এনআইএ-কে ভুয়ো মেল চিনা মহিলার!
এর পরেই সেনাবাহিনী একটি তদন্ত আদালত গঠন করে, যেখানে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায় যে জওয়ানরা আফস্পার অধীনে অর্পিত তাঁদের যে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে তার অপব্যবহার করেছেন তাঁরা ৷ আদালতের তদন্তের পরে 2020 সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সামারি অফ এভিডেন্সের কাজ শেষ হয় ৷
সেনাবাহিনী একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, "প্রমাণের সারসংক্ষেপ রেকর্ড করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে" ৷ এ বিষয়ে অগ্রহতির জন্য আইনী উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখছে ৷ সরকারী সূত্র অনুসারে, ক্যাপ্টেন সিংকে আফস্পা-এর অধীনে অর্পিত ক্ষমতা লঙ্ঘন করার জন্য এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সেনাবাহিনীর নিয়ম না মানার জন্য কোর্ট মার্শাল করা হয়েছিল ।