বেঙ্গালুরু, 14 ফেব্রুয়ারি: ধর্ষিতাকে বিয়ে করেছে অভিযুক্ত ধর্ষক (Rape Accused Weds Victim)৷ সে জন্য তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পকসো ও ভারতীয় দণ্ডবিধির (POCSO Act and Rape Charges) বিভিন্ন ধারায় চলা যাবতীয় ফৌজদারী প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট ৷ নিগৃহীতা সাবালিকা হওয়ার পর তাঁকে বিয়ে করেছেন অভিযুক্ত ৷ মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওই দম্পতির একটি সন্তানও হয়েছে ।
শিশু ও মায়ের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ও পকসো ধারার অধীনে ধর্ষণের অভিযোগ বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন মান্ডিয়ার বাসিন্দা ৷ সোমবার সেই আবেদনের শুনানিতে এই রায় দেয় বিচারপতি কে নটরাজনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৷ আদালত বলেছে যে, শিশু এবং মায়ের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
আদালতের মতামত: বেঞ্চ বলেছে, নিগৃহীতা বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক এবং তিনি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে এবং জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে সক্ষম । তিনি অভিযুক্তকে বিয়ে করেছেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তাঁদের একটি ছেলেও হয়েছে ৷ এবং নিগৃহীতা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করতেও সম্মত হয়েছেন বলে জানায় বেঞ্চ ।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল: সেই কারণে নিগৃহীতা ও তাঁর শিশু এবং তাঁদের ভবিষ্যতের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো মামলা বাতিল করাই যথাযথ হবে বলে জানায় আদালত (Rape accused and victim got married hc free charge)। 2021 সালের 27 জানুয়ারি নিগৃহীতার বাবা আরেকেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর মেয়ে যখন তার দাদির বাড়িতে গিয়েছিল, তখন থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায় । পরে অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর মেয়েকে পাওয়া যায় । এরপরেই পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্সো ও ভারতীয় দণ্ডবিধির যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করে ৷ কারণ তখন নিগৃহীতা নাবালিকা ৷
আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে নাবালিকাকে 'ধর্ষণ' করে চম্পট দিল অভিযুক্ত
'স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে চলে যান নিগৃহীতা': মামলাটি মান্ডিয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারাধীন ছিল । এরপর অভিযুক্ত হাইকোর্টে আপিল করেন । তাঁর আইনজীবী সিএন রাজু আদালতে জানান যে, অভিযুক্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিল এবং জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর 2021সালের 31 মে নিগৃহীতাকে বিয়ে করে অভিযুক্ত । ওই দম্পতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছে এবং এই মামলা বাতিল করতে কোনও আপত্তি নেই নিগৃহীতার । এরপর সরকারি আইনজীবী দাবি করেন যে, নিগৃহীতা বাবার নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে চলে গিয়েছে ।