শ্রীহরিকোটা, 1 জানুয়ারি: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, অর্থাৎ, ইসরো শ্রীহরিকোটা থেকে তাদের প্রথম 'ব্ল্যাক হোলস' বা 'কৃষ্ণগহ্বর' অনুসন্ধান অভিযান শুরু করল ৷ এই অনুসন্ধান অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরো নতুন বছরের প্রথমদিনে প্রথম এক্স-রে স্পেস অবজারভেটরি মহাকাশযান 'এক্সপোস্যাট'-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করল ৷ এর আগে একমাত্র নাসা কৃষ্ণগহ্বরের অনুসন্ধানে মহাকাশযান যান পাঠিয়েছে ৷
'এক্সপোস্যাট', যা ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড পোলারিমেট্রি মিশন ৷ এর লক্ষ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন ঘটনা যেমন, ব্ল্যাক হোল, নিউট্রন নক্ষত্র, সক্রিয় গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস, পালসার এবং নীহারিকা ইত্যাদির নির্গমন প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণা করা ৷ ইসরো জানিয়েছে, 'এক্সপোস্যাট'-এর লক্ষ্য মহাকাশে বিভিন্ন এক্স-রে এর উৎসের অনুসন্ধান করা ৷ যা এক্স-রে জ্যোতির্বিজ্ঞানে একটি অভিনব মাত্রা যোগ করবে ৷
-
PSLV-C58/XPoSat Mission:
— ISRO (@isro) January 1, 2024 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Lift-off normal 🙂
🛰️XPoSat satellite is launched successfully.
🚀PSLV-C58 vehicle placed the satellite precisely into the intended orbit of 650 km with 6-degree inclination🎯.
The POEM-3 is being scripted ...#XPoSat
">PSLV-C58/XPoSat Mission:
— ISRO (@isro) January 1, 2024
Lift-off normal 🙂
🛰️XPoSat satellite is launched successfully.
🚀PSLV-C58 vehicle placed the satellite precisely into the intended orbit of 650 km with 6-degree inclination🎯.
The POEM-3 is being scripted ...#XPoSatPSLV-C58/XPoSat Mission:
— ISRO (@isro) January 1, 2024
Lift-off normal 🙂
🛰️XPoSat satellite is launched successfully.
🚀PSLV-C58 vehicle placed the satellite precisely into the intended orbit of 650 km with 6-degree inclination🎯.
The POEM-3 is being scripted ...#XPoSat
'এক্সপোস্যাট' মহাকাশযান পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে দু’টি সায়েন্টিফিক পেলোড বয়ে নিয়ে গিয়েছে ৷ প্রাথমিক পেলোড 'পলিক্স' বা এক্স-রে পোলারিমিটার যন্ত্রটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের উৎসের 8-30 keV ফোটনের মাঝারি শক্তির পোলারিমেট্রি প্যারামিটার (ডিগ্রি এবং মেরুকরণের কোণ) পরিমাপ করবে ৷ আর এক্স-স্পেকট বা এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি এবং টাইমিং পেলোডের কাজ হবে, 0.8-15 keV শক্তি পরিসরের স্পেকট্রোস্কোপিক তথ্য ইসরোতে পাঠানো ৷
ব্ল্যাকহোল, নিউট্রন নক্ষত্র, সক্রিয় গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াস, গ্যাস এবং ধূলিকণার আন্তঃনাক্ষত্রিক মেঘ বা নীহারিকার মতো বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর নির্গমন প্রক্রিয়ার উৎস খুবই জটিল পদার্থ বিদ্যার অংশ এবং এটি বোঝা খুবই কঠিন ৷ সেই কাজটাই করবে 'এক্সপোস্যাট'-এর মধ্যে থাকা দু’টি সায়েন্টিফিক পেলোড ৷ যদিও, বিভিন্ন পর্যবেক্ষক মহাকাশযান সময়ে সময়ে প্রচুর তথ্য সরবরাহ করে ৷ কিন্তু, এই ব্ল্যাকহোল বা নিউট্রন নক্ষত্রের মতো মহাজাগতিক বস্তু থেকে নির্গত এক্স-রে এর সঠিক ধরন বোঝা এখনও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে গভীর রহস্য ও চ্যালেঞ্জিং ৷
আরও পড়ুন: