করিমগঞ্জ (অসম), 26 জুন: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে ৷ তার মাঝেই অসমের কুশিয়ারা নদীর জল বাংলাদেশে পাঠাতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হল ৷ রবিবার অসমের করিমগঞ্জে এই নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয় ৷ এটাই ছিল এই নদীর জলবণ্টন নিয়ে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের প্রথম বৈঠক ৷ জানা গিয়েছে, অসমের কুশিয়ারা নদীর জল বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের রহিম খাল দিয়ে সেখানে যাবে ৷
রবিবার অসমের বরাক ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলায় জলসম্পদ বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়র সমীরণ ডেকার নেতৃত্বে বৈঠক হয় । বাংলাদেশের জল উন্নয়ন বোর্ডের হেড ইঞ্জিনিয়র খুশি মোহন সরকার ও সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়র প্রবীর কুমার গোস্বামী ওয়া এবং আরও পাঁচজন ওই দেশের হয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে । রহিম খালে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর অংশ পরিদর্শন করবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল ।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে । বাংলাদেশের সিলেট এলাকার রহিম খালে তিন বছর আগে পাম্প হাউসের নির্মাণ কাজ শেষ হয় । কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে কুশিয়ারা নদীর জল রহিম খালে প্রবাহিত করা সম্ভব হয়নি । তবে গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সরকারের একটি চুক্তি হয় । সেই চুক্তি মোতাবেকই এই নদীর জল বাংলাদেশে যাবে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ জলবণ্টন চুক্তির শুরুতে নামল গঙ্গার জলস্তর
প্রসঙ্গত, চুক্তিটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে 2022 সালের 6 সেপ্টেম্বর কার্যকর হয় । দুই দেশের মধ্যে জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । সমঝোতা স্মারক হিসেবে বাংলাদেশ শুকনো মরসুমে কুশিয়ারা থেকে প্রতি সেকেন্ডে 153 কিউসেক জল পাবে ৷