হাওড়া, 1 নভেম্বর : 50 শতাংশ যাত্রী নিয়ে রবিবার থেকেই চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা ৷ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে রেলযাত্রীরা খুশি হলেও আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মধ্যে । তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন , লোকাল ট্রেনে কোভিড পরিস্থিতিতে 50 শতাংশ যাত্রী আদৌও বজায় থাকবে কিনা । বিশেষ করে দিনের ব্যস্ত সময়ে যেভাবে লোকাল ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়, সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে রেলযাত্রীদের একাংশকে । এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কাও করছেন কেউ কেউ । তবে আশঙ্কা থাকলেও লোকাল ট্রেনের পরিষেবার ওপর যে সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড নির্ভরশীল , সেকথাও বলতে ভুলছেন না যাত্রীরা । যদিও সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই দূরত্ববিধি শিকেয় উঠলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল হাওড়া স্টেশন ।
আরও পড়ুন: Varun Gandhi: দিদি প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কি কংগ্রেসে ঘর ওয়াপসি বরুণের, তুঙ্গে জল্পনা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ছ'মাস আগেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে । তবে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, জরুরি কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু রেখেছিল রেল কর্তৃপক্ষ । যদিও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সেই ট্রেনে যাতায়াত করছিলেন সাধারণ মানুষ । ফলে আশঙ্কা বাড়ছিল সংক্রমণ বৃদ্ধির । এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ক্রমাগত দাবি উঠছিল রেল যাত্রীদের তরফে । যাত্রীদের দাবি মেনে ট্রেন চালুর পরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই হাওড়া স্টেশনের প্লাটফর্মে দেখা গেল সেই চেনা ছবি । আর সেই ছবিতে শারীরিক দূরত্ববিধি কার্যত নেই বললেই চলে ।
আরও পড়ুন : Kolkata Police : নজরদারি শহরজুড়ে, বাজি পোড়ানো বা বিক্রিতে কড়া ব্যবস্থা পুলিশের
যাত্রীরা জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে তাঁদের । গন্তব্যে পৌঁছতে সুবিধা হচ্ছে । ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অনেকটা সময় হাতে নিয়ে তাদের বেরোতে হত । এখন অর্থ ও সময় দুইয়েরই সাশ্রয় হবে । অন্যদিকে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এমনিতেই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে বাসে যাতায়াত করাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল । লোকাল ট্রেনের ভাড়া অনেকটাই কম । ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করাটাই সুবিধার ।
সোমবারে ট্রেনে দেখা গেল থিকথিকে ভিড়, যাত্রীদের অধিকাংশের মুখেই নেই মাস্ক । যার ফলে দফারফা হল করোনা বিধি-নিষেধের । স্টেশনে আরপিএফ থাকলেও তাদের সংখ্যা হাতেগোনা । নেই কড়া নজরদারিও ৷ যাত্রীরা বলছেন, সংক্রমণ রুখতে এখনই বাড়ানো হোক ট্রেনের সংখ্যা ৷ একই কথা বলছেন ট্রেন-চালকরাও ৷