হরিয়ানা, 20 এপ্রিল: দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতেও দিল্লির সীমান্তে টিকরি-সিঙ্ঘু-গাজিয়াবাদে অবস্থানে রয়েছেন কৃষকরা ৷ সেখানে বিক্ষোভরত কৃষকদের অনেকেই হরিয়ানার বাসিন্দা ৷ তাই তাঁদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ ৷ সেই সব কৃষকদের করোনা টেস্টের, পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশনের প্রস্তুতি নিতে ইতিমধ্যেই একটি দল তৈরি করেছেন তিনি ৷
রাজ্যের করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ ৷ রাজ্যের পর্যবেক্ষণ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, হরিদ্বারের কুম্ভ থেকে রাজ্যে ঢোকার পথে প্রতিটি চেক-পয়েন্টে তীর্থযাত্রীদের করোনা পরীক্ষা অবশ্যই করতে হবে ৷
রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন যে, এখুনি হরিয়ানায় কোনো লকডাউন নয় ৷ অন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কোনো রটনায় কান না দিয়ে আগের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন ভিজ ৷
সংলগ্ন রাজ্য দিল্লির থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, বেড আর ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত আছে ঘোষণা করে মানুষকে ভরসা জুগিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন: ভারতের পরিস্থিতি বুঝলেও দেশের প্রয়োজনকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বাইডেন
স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, হরিয়ানার বর্তমান অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা 42000-এর বেশি ৷ আর তার বেশিরভাগই দিল্লির গুরগাঁও, ফরিদাবাদ, সোনিপাতের বাসিন্দা ৷ তবে মোট অ্যাকটিভ রোগীর মধ্যে 30,000 রোগীকে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে ৷ মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাব বা তা নিয়ে কোনো কালোবাজারি হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছে ড্রাগ আর পুলিশ কর্তৃপক্ষ ৷
হরিয়ানায় করোনা সংক্রমণের কোনো রকম লক্ষণ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে ৷ রাজ্যের কোথাও কোনো ধর্মীয়, রাজনৈতিক আর সামাজিক জমায়েতের ক্ষেত্রে কড়া নিরাপত্তাবিধি মেনে চলতে হবে ৷ কোনো আবদ্ধ জায়গায় 50 জন আর বাইরে কোথাও একসঙ্গে 200 জন পর্যন্ত মানুষকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা করা হচ্ছে ৷ এমনকি রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে রেমডেসিভির ইনজেকশন আছে বলেও নিশ্চিত করেছেন অনিল ৷
দেশজুড়ে চরম দুরবস্থা চললেও রাজ্যবাসীর জন্য আশার বাণীই শোনালেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৷ আন্দোলনরত কৃষকদের কাছেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন তিনি ৷ মন্ত্রীর কথায়, "প্রত্যেক দু'দিনে আমাদের চিকিৎসকরা কৃষকদের পরীক্ষা করবেন ৷ তাঁদের প্রয়োজনীয় কিট, ওষুধ, অক্সিমিটার দেওয়া হচ্ছে ৷"